অন্ধকারের গান --- রাখাল হাকিম - অধ্যায় ১১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-54659-post-5204948.html#pid5204948

🕰️ Posted on April 14, 2023 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 509 words / 2 min read

Parent
তানিয়ার মাকে কোন সহজ সরল মহিলা বলে মনে হলো না। বরং নিজেকেই খুব সহজ সরল মনে হলো। আর আমার সেই সরলতাপূর্ণ স্বভাব এর সুযোগ নিয়ে এক চরম বাজীর খেলাই খেলছে বলে মনে হলো তানিয়ার মাকে। আমার কথা বাড়াতে ইচ্ছে করলোনা। ভুলটাতো আমারই ছিলো। তানিয়ার মায়া ছেড়ে দিয়ে, তানিয়াদের বাড়ী থেকে বেড়িয়ে পরি অলস পায়ে। মাথাটাকে ঠাণ্ডা করা দরকার। মদের দোকানটাতেই পা বাড়াই। হুইস্কি আর ভালো লাগেনা। এক বোতল ভদকা কিনেই বাড়ী ফিরলাম। দুপুরের কিছু পর। আমি ভোদকার বোতলের ক্যাপটা খুলে, ভোদকা টানতে টানতেই এলোমেলো পা ফেলে বাড়ী পৌঁছালাম। ঘরে ঢুকতেই দেখলাম, সোফায় বসা পরীর মতো একটা মেয়ে। গায়ে লাল রং এর নেটের কামিজ। ভেতর থেকে লাল ব্রাটাও স্পষ্ট চোখে পরছে। খুবই সেক্সী লাগছিলো। নেশার ঘোরে চোখে এলোমেলো রঙীন স্বপ্ন দেখছিনা তো। আমি চোখ কচলে, আরেক ঢোক ভোদকা গিলে ভালো করেই তাঁকালাম। নাহ, গোল গাল চেহারার অতি ফর্সা একটা মেয়ে। যুবতী বললে ভুল হবে, তবে উঁচু উঁচু বুকের ধরন দেখলে যুবতী বলেই মনে হয়। আমি আরেক ঢোক ভদকা গিলতে গিলতে বললাম, এই মেয়ে, তুমি কে? মেয়েটি বললো, আপনি মনভুলা। এরই মাঝে সব ভুলে গেলেন? কথা ছিলো, দুপুরে বাড়ীতেই খাবেন। কিন্তু এলেন না। সমস্যা হয়নি, আপনার খাবার গুলো আমি খেয়ে নেয়েছি। নইলে নষ্ট হতো। কাক কুকুরকেই খেতে দিতে হতো। কলেজ থেকে ফিরে ক্ষুধাটা খুব ভালোই লেগেছিলো। ভাবলাম, কাক কুকুরকে খেতে দিয়ে কতই লাভ হবে আর? আমিও তো কাক কুকুরদের দলেই। আমি রাগ করেই বললাম, কথার তো একেবারে পণ্ডিৎ দেখছি। কি নাম তোমার? মেয়েটি আমার চোখে চোখে তাঁকিয়ে বললো, আর বলবো না। বলে কোন লাভ নেই। আপনার মনে থাকবে না। আপনার স্মরণ শক্তি খুবই কম। আমি আরেক ঢোক ভোদকা গিলে, তাল সামলাতে না পেরে মেঝেতেই বসে পরলাম। মেয়েটি রিনি ঝিনি সুরের গলায় বললো, আপনার সমস্যাটা কি বলুন তো? আবারো মদ টানছেন? কি মজা পান ওসব টেনে? আমার মাথাটা ঠিক ছিলোনা। নেশার ঘোরেই বললাম, মদের তুমি কি বুঝবে? বিয়ে করেছি, অথচ, বউ পাশে নেই। তোমাকেও বলে দিচ্ছি, কাউকে বিয়ে করলে স্বামীকে অবহেলা করবে না। আমি খানিক থেমে আবারো এক ঢোক ভদকা গিলে বললাম, এই মেয়ে, তোমার বয়স কত? মেয়েটি বললো, ষোল, কেনো, কোন সমস্যা আছে? আমি বললাম, সমস্যা থাকবে কেনো? ওই টিন, সিক্সটিন। ওই গানটা শুনেছো? কি জানি গান? আমার তখন পনেরো পেরিয়ে ষোল! তোমাকে ঠিক সেই গানের মেয়েটার মতোই লাগছে। কি নাম তোমার? মেয়েটি বললো, আর কতবার বলবো? ঠিক আছে বলছি, মিনা, আমার নাম মিনা। মিনা, মিনা, মিনা। মুখস্থ করে নিন। আমি নেশার ঘোরেই বললাম, ও আচ্ছা, মিনা। একটু গেয়ো নাম। তোমার এই নাম কে রাখলো? তোমার বাবা, নাকি তোমার মা? মিনা মুখ ঘুরিয়ে নিলো। অন্যত্র তাঁকিয়ে বললো, আমার বাবা নেই। আমার জন্মের আগেই মারা গেছে। আমার নাম গেয়ো হলেও, মায়ের দেয়া নাম। আপনি আমার সামনে আর কক্ষনো মদ টানবেন না। মেয়েটির সাহস দেখে আমি অবাক হলাম। আমি আরেক ঢোক ভদকা গিলে বললাম, এই মেয়ে, আমাকে বারণ করার তুমি কে? তুমি আমাকে চেনো? আমি রাখাল হাকিম। আমার নাম রাখাল হলেও গরু চড়াইনা। শুধু মানুষ চড়াই। মেয়েও চড়াই। তোমার মতো কত মেয়ে চড়িয়েছি জানো? মিনা বললো, ওসব আমার জানার দরকার নেই। আমার দরকার প্রতি মাসে দু হাজার টাকা। যে টাকায় আমাদের মা মেয়ের সংসার চলবে। তার বিনিময়ে আপনার রান্না বান্না, কাপর ধুয়া, ঘর গোছালী সব করে দেবো। তারপরো বলবো, আপনি মদ টানবেন না।
Parent