অন্তিম উদ্দেশ্য by pikkuboss - অধ্যায় ৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-6424-post-274886.html#pid274886

🕰️ Posted on March 21, 2019 by ✍️ ronylol (Profile)

🏷️ Tags:
📖 960 words / 4 min read

Parent
ইশিকার এই আচরন রাহুলের অদ্ভুত লাগে আর সাথে সাথে একটু খারাপও লাগে। রাহুলঃ সরি ইশিকা, আমি শুধু... সরি।(কথা শেষ না করে মুখ নিচু করে চলে যায়) ইশিকা মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়ে, নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে, এ আমি কি করলাম। কার রাগ কার উপরে ঝাড়লাম।(নিজের উপরেই রাগ হয় ইশিকার।) রাহুল মুখ নিচু করে বিড়বিড় করে," জানিনা কি ভাবে নিজেকে!" বলতে বলতে ক্লাসের দিকে যাত্রা করে। তখনই রাহুলের চোখ বাগানের দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেমেয়েদের উপর পড়ে আর বিল্ডিং এর উপরে রাখা একটি মাটির মুর্তির উপর পরে। রাহুল মুর্তির দিকে তাকিয়ে থাকে। হঠাং একটি ছেলের হাত মুর্তিটিতে লাগে আর মুর্তিটি নড়তে থাকে। রাহুলের চোখ আবার বাগানের দিকে পড়ে। মুর্তির ঠিক নিচে একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এবার মুর্তিটি নড়তে নড়তে সিলিং টপকে নিচে পড়তে থাকে। রাহুল ভাবনা চিন্তা বা কাল বিলম্ব না করে দ্রুত মেয়েটির দিকে ছুটে যায় আর জোরে চেঁচিয়ে ওঠে "সরে যাও" বলতে বলতে রাহুল মেয়টির কাছে পৌঁছে মেয়েটিকে ঠেলে দেয় আর মেয়েটি সমেত রাহুল হালকা ঘাসে ভরা ঘাসের উপর পড়ে যায়। মেয়েটি হালকা চেঁচিয়ে ওঠে "আউউফফ্"। কিছুক্ষনের জন্য সারা কলেজ থমথমে হয়ে যায়। রাহুলের যখন হুঁস ফেরে, দেখে একটি ছেলে ওর জামার কলার ধরে আছে। ছেলেটি চিত্*কার করে ওঠে,"শালা, আমার গার্লফ্রেন্ডের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কীকরে হল তোর? এখুনি ঘুসি মেরে তোর মুখ ভেঙে দেব তোর।" কিন্তু রাহুল ছেলেটির কথায় কান দেয় না। ঘাড় ঘুড়িয়ে উপরের দিকে তাকায় যেখানে মুর্তিটি রাখা ছিল। মুর্তিটি এখনও ওখানেই রাখা আছে। তারপর মেয়েটির দিকে তাকায়। মেয়েটি এখনও ভয়ে কুকড়ে মাটিতে বসে আছে। তারপর রাহুল ছেলেটির দিকে তাকিয়ে বলে,"দেখো, প্লিজ আমাকে ছেড়ে দাও। আমি দেখলাম যে মুর্তিটি মেয়েটির উপর পড়ছিল। তাই আমি ওকে বাঁচাতে..." কথা শেষ করতে না দিয় ছেলেটি রাহুলের দিকে তাকিয়ে বলে,"শালা, আমাকে বোকাচোদা পেয়েছ। তোকে দেখাচ্ছি শালা" (বলে ছেলেটি রাহুলকে মারবার জন্য হাত তোলে) ততক্ষনে ইশিকা ওখানে এসে যায় "আরে, ছাড়ো ওকে, কেন ধরে রেখেছ, ছেড়ে দাও ওকে।" ছেলেটি চোখ লাল করে ইশিকার দিকে তাকিয়ে বলে,"ছাড়বো না, ও আমার গার্লফ্রেন্ডের গায়ে হাত দিয়েছে। ওকে আমি শেষ করে ফেলবো।" ইশিকাও দমবার পাত্রী নয়, ভয় দেখিয়ে বলে, তুমি ওকে ছাড়বে, না আমি ডিরেক্টরকে ডেকে তোমার গুন্ডামি বার করবো। ছেলেটি একটু ভয় পেয়ে যায় আর রাহুলকে ছেড়ে দেয়। রাহুল"ইশিকা আমি কারো গায়ে হাত দিইনি। আমি একটু আগে দেখলাম ওই বিল্ডিং এর উপরের মুর্তিটা মেয়েটির উপর পরছে। এই অবস্থায় আমি যদি না বাঁচাতে আসতাম তাহলে মুর্তিটা মেয়েটির মাথায় পরে মাথা ফাটিয়ে দিত।"(রাহুল ব্যাপারটা খুলে বলছিল তখনই ক্যান্টিন থেকে সব বন্ধুরা বেড়িয়ে ওদের কাছে এসে জড়ো হয় আর ওদের চারধারে ভীর জমে যায়) ইশিকা নাক কুঁচকে বলে, "দেখেছিলে, কী দেখেছিলে রাহুল? মুর্তি তো ওখানেই আছে আর মেয়েটিও ঠিক আছে।" রাহুল,"কিন্তু স্পষ্ট দেখেছিলাম মুর্তিটা মেয়েটির মাথার উপরেই পড়ছে। বিশ্বাস করো..(রাহুল পুরো ঘেমে স্নান করে গিয়েছিল) আর আজ সকালেও..." বলতে বলতে থেমে যায়। ইশিকা, "সকালে কী হয়েছিল?" রাহুলের আবার মনে পড়ে যায় আজ সকালের ঘটনাগুলো। আজ দুবার এধরনের ঘটনা ঘটল। রাহুলের মাথা ওলট পালট হয়ে যায়। নিজের ব্যাগ কাঁধে উঠিয়ে ওখান থেকে চলে যেতে থাকে। সবাই ওকে পিছন থেকে ডাক দেয়। কিন্তু রাহুল কারো কথায় কান না দিয়ে এগিয়ে যায় কলেজের গেঁটের দিকে। অজিত"রাহুলের কী হল আবার?" ইশিকা একবার অজিতের দিকে তাকায়, আবার রাহুলের চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। রাহুল ক্যাম্পাস থেকে বেড়িয়ে রাস্তায় মিলিয়ে যায়। সন্ধ্যাবেলা, সময় ৫ টার মতো হবে, রাহুল বিছানায় শুয়েছিল, আর চোখ বন্ধ করে ভাবনার মধ্যে ডুবে ছিল। রাহুলের মাথার মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সকাল থেকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলি। রাহুল একপ্রকার অস্বস্থির মধ্যে ছিল। ওর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো কারো সাথে সেয়ার করতেও পারছিল না। কী বলবে? ওর বারে বারে মতিভ্রম হচ্ছে। দুঃস্বপ্ন দেখছে বারেবারে। কিন্তু বাস্তবের সাথে এর কোনো সম্পর্ক আছে কি না রাহুল তো জানে না। যদি কাউকে বলে তাহলে সে ওকে পাগল ছাড়া কিছুই ভাববে না। কিন্তু কেন এরকম হচ্ছে? একবার নয়, দু-দুবার...(এইসব ভাবছিল হঠাং রাহুলের ফোন বেজে উঠল) রাহুল ফোনটা হাতে নিয়ে দেখে UNKNOWN NUMBER । নাম্বারটা আরো একবার চোখ বুলিয়ে ফোনটা ধরে। রাহুলঃ HELLO! হঠাং ফোনের স্পিকার থেকে বেশ জোরে কিন্তু খুব মিষ্টি একটা আওয়াজ এসে রাহুলের কানে লাগে "HELLOOO RAHULL.." রাহুলঃ হ্যাঁ, আমি রাহুল, আপনি কে? "হি হি হি, আমি ইশিকা" নাম শুনে রাহুল বিছানায় শোয়া থেকে উঠে বসে আর ভাবতে থাকে ইশিকা ওর নাম্বার কোথা থেকে পেল? ওতো কাউকে ওর নাম্বার দেয়নি আর কারো থেকে নাম্বার নেওয়াও হয়নি। ইশিকাঃ হ্যালো, লাইনে আছো। রাহুলঃ হ্যাঁ,হ্যাঁ, (ভাবনা থেকে বের হয়ে) ইশি তুমি..(নামটা বলার পর ভাবে একি বলে ফেলল) রাহুলের মুখ থেকে 'ইশি' ডাক শুনে ইশিকার রাগ হয় না, বরং লাজুক হেঁসে ফেলে বলে "তোমার নাম্বার কলেজের রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে নিয়েছি। ছাড়ো ওসব, কেমন আছো বলো?" রাহুলঃ আমি ভালো আছি। তোমার কথা বলো? - আমিও ভালো আছি। আমি তোমাকে এটা জানতে ফোন করেছি, হঠাং তখন তোমার কী হল, কলেজ ছেড়ে চলে গেলে? - কিছুই নয়, ওই...(বলতে বলতে থেমে যায়) - দেখো, আমাকে যদি তোমার বন্ধু বলে মনে হয় তাহলে বলো, নাহলে ছেড়ে দাও.. - না না, সেরকম কিছু নয়। কিন্তু আমার সাথে যা ঘটছে সেটা যদি কাউকে বলি তাহলে সে আমাকে পাগল ভাববে।(কিছুটা নিরাস হয়ে বলে) - পাগল! কেন? কেউ এরকম ভাববে কেন? আর আমি তো ভাববোই না। আর কাউকে ভাবতেও দেবো না। তুমি চিন্তা না করে বলে ফেলো। ইশিকার কথার রাহুল কিছুটা আশ্বাস পায়। তারপর একটা স্বস্থির নিঃশ্বাস ফেলে বলতে শুরু করে সকাল থেকে ওর সাথে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার কথা। শুনতে শুনকে ইশিকার চেহারাও ভরে ওঠে চিন্তায়। রাহুলের সব কথা বলা শেষ হলে কিছুক্ষনের দুজনের জন্যে দুজনে নীরব হয়ে থাকে। শুধু ভারী নিঃশ্বাসের আওয়াজ শোনা যায়। ইশিকাই প্রথমে মুখ খোলে, "হুঁ, বুঝলাম। এই ব্যাপার আমি শুধু এটাই বলবো যে সবকিছু ভুলে যাও আর বেশি ভেবো না। অনেক সময় এইরকম হয়ে যে, আমরা যেটা ভাবছি সেটা আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে। তাই, এই ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নেওয়ার দরকার নেই। আর বেশি চিন্তা কোরো না, তোমাকে আর কেউ এই ব্যাপারে কিছু জিজ্ঞেস করবে না। শুধু তুমি সবকিছু ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করো।" - হ্যাঁ, তুমি বোধ হয় ঠিকই বলছো। অনেক ধন্যবাদ। তোমার সাথে কথা বলে কিছুটা স্বস্থি বোধ হচ্ছে। ধন্যবাদ। - আর কত ধন্যবাদ বলবে? আমি নিজেই চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যখন তুমি...(বলতে বলতে থেমে যায়) আর এসব ব্যাপারে একটাও কথা নয়।(বলে মিষ্টি হেঁসে দেয়)
Parent