অঞ্জলী দি - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-30921-post-2419798.html#pid2419798

🕰️ Posted on September 13, 2020 by ✍️ Kolir kesto (Profile)

🏷️ Tags:
📖 408 words / 2 min read

Parent
১৪ পর্ব অমিতের প্লেন সময়মতো ল্যান্ড করলো। রোহিত, মঞ্জু, বন্যা রিসিভ করতে এসেছে। মনি শংকর আর তার স্ত্রীও এসেছে। কোম্পানীর বেশ কিছু কর্মকর্তাও এসেছেন। তবে অঞ্জলীকে কোথাও দেখা গেল না। অমিত আসছে খবরটা পাবার পর থেকেই কি এক অজনা শংকায় বুকটা দুরু দুরু করছে অঞ্জলীর। থেকে থেকে লজ্জায় লাল হয়ে যাচ্ছে আবার পরক্ষণেই বিমর্ষ দেখাচ্ছে। এয়ার পোর্টে মনি শংকরের মূখোমূখি হওয়া এড়ানোর জন্যই অঞ্জলী ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও সাথে আসেনি। এদিকে ইমিগ্রেশন থেকে বেরিয়েই অমিত রোহিতকে দেখতে পেল। তাকে প্রণাম করলো। মনি শংকর প্রণাম করতে দিল না বুকে টেনে নিল। দুই বৌদিকেও প্রণাম করলো অমিত। মেঝ বৌদি বুকে জড়িয়ে ধরে কেদেঁ ফেললেন। মঞ্জুও চোখ মুছলো। অমিতের চোখ পড়লো অদূরে সিড়ির উপর দাড়ানো বন্যার উপর। বড় বৌদির কার্বন কপি। অঞ্জলীর চেহারার সাথেও কিছুটা মিল আছে। অমিতই প্রথম কথা বললো, “মাই সুইট লেডি, দূরে দাড়িয়ে কেন?” “যাক বাবা চোখে পড়লাম তাহলে? আমি তো ভেবেছিলাম তোমাদের সিনেমার আড়ালে আমি বুঝি হারিয়েই গেলাম।” অমিত কথা না বলে হাত বাড়াল। ঝাপ দিল বন্যা। আছড়ে পড়লো অমিতের বুকে। পলকা শরীরটাকে শূন্যেই ক্যাচ করলো অমিত। টেনে নিল বুকের মাঝে। আরও একজনকে খুজছে অমিতের চোখ। কিন্তু সে নেই এদের মাঝে। বুকের ভিতরটায় একটু মোচড় দিয়ে উঠলো। জেনেশুনেই অঞ্জলী আসলো না? রাজ্যের অভিমান বাসা বাধলো বুকে। কাউকেই কিছু জিজ্ঞেস করলো না। এয়ার পোর্টের ঝামেলা সেরে অমিত ইচ্ছা করেই মনি শংকরের গাড়িতে উঠলো। এটা আগে, রোহিতের গাড়ি পরে, তার পরে এল কোম্পানীর গাড়ি। গাড়ি থামলো এসে রোহিতের ফ্লাটের সামনে। মঞ্জূ মনি শংকরকে লক্ষ্য করে বললো, “মেজ ঠাকুর পো তোমরাও থেকে যাও। আজ রাতে সবাই এক সাথে ডিনার করবো।” “আমার একটু তাড়া আছে বৌদি, বিন্দু থাকুক। আমি রাতে এসে তোমাদের সাথে জয়েন করবো।” বিন্দু মনি শংকরের স্ত্রী। স্বামীর কানের কাছে মূখ নিয়ে ফিস ফিস করে বললো, “আবার গিলতে বসে যেও না। তাহলে কেলেংকারীর আর সীমা থাকবে না।” সবাইকে আড়াল করে মনি শংকরও চোখ রাঙ্গাল, “চুপ করো।” ঘরে ফিরেই বন্যা ফোন লাগাল অঞ্জলীকে। “জানো মাসিমনি, আমার ছোট কাকুকে তুমি যদি দেখতে। কি হ্যান্ডসাম। একদম প্রিন্স। তোমাদের শাহরুখ আর সালমান আমার কাকুর সামনে কিছু্*ই না।” “তাই নাকি” ওপাশ থেকে অঞ্জলী জবাব দেয়। “তা হলে তো একবার টিকেট করে দেখতে যেতে হয়। তা তোর কাকিমা দেখতে কেমন রে?” “কাকিমা? মেঝ খুড়ির কথা বলছ তুমি?” “তোর ছোট খুড়ির কথা বলছি।” “হায় ভগবান, ছোট কাকু তো বিয়েই করেনি।” “ওমা এত বড় ধেড়ে ছেলে এখনও বিয়ে করেনি?” “বাহ তাতে কি বিয়েতো তুমিও করনি?” “আচছা তোর ছোট কাকু আমার কথা কিছু জানতে চাইল?” “নাতো? তিনি কি তোমায় চেনেন?” “মনে হয় চেনেন না” অঞ্জলী ফোন রেখে দিল। “কেমন করে ভুলে গেলে রাজকুমার” অঞ্জলীর বুক চিরে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।
Parent