অপরাধ --- Koyek pata Golpo - অধ্যায় ৩৪

আমার গল্প ফুরোলো নোটে গাছটি মুড়োনো | কিন্তু যাওয়ার আগে কয়েক দানা নোটের বীজ ছড়িয়ে যাই | হাত ঘড়িতে রাত ৮ টা | সবাই চলে গেছে ঘরটা খাঁ খাঁ করছে | বিমর্ষ হয়ে বসে আছেন মনি মা | হুট্ করে উর্বী চলে যাবে আমিও ভাবি নি | মুক্তকেশীর উপর কেমন জানি না মায়া পরে গেছে | বয়সের ফারাক না থাকলে মুক্তকেশী কে আমার করে রাখতুম | হয়তো আজ একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে | ঝম ঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো | পলক ফেলে স্তম্বিত ফিরে পেয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মণিমা বললো : মণিমা: আর বাঁচতে ইচ্ছা করছে না বাবাই! আমি: সেকি কেন? বাবার জন্য মন কেমন করছে বুঝি? মণিমা: নঃ সে জন্য নয় ! কেউ অশরীরী হয়ে আমার সাথে সেক্স করছে ! আমি: কি বলছো কি তুমি ! এতো ভীষণ অপরাধ মনি মা ! মণিমা: না অপরাধ না , সমস্যা হচ্ছে আমি প্রেগনেন্ট ! সে যদি অশরীরী হয় তাহলে আমি প্রেগনেন্ট কেমন করে ? আমি: বেশ প্রমাদ গুনে , প্রেগনেট হতে পারে মুক্তকেশীও ! হা ভগবান ! মণিমা : কি করি বলতঃ ? আমি ভয় পাচ্ছি না , কিন্তু জানতে চাই কে আমার সাথে এমন করছে ! সে কোনো ভূত নয় ! খুব চেনা ! তাকে আমি খুব চিনতে পারি ! ওঃ যা যা , ছাদ থেকে তোর জামা প্যান্ট টা নামিয়ে নে, নাহলে সারা রাত কাপড় ভিজবে এই বৃষ্টি তে ! এসে খেয়ে নে দেরি করিস নি | আমিও লাফিয়ে সিঁড়ির ঘরে দৌড়ে ছাদে গেলাম | বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে | বৃষ্টির দাপট আছে বলতে হয় ! উফফ কি জ্বালা দিচ্ছে হাতে ! একি ঘড়িটা থেকে ধোয়া উঠছে কেন বৃষ্টির জলে ! তাড়াতাড়ি খুলে ফেললাম | পুড়ে গেছে হাতের অনেকটাই ! কত শখের ঘড়ি যদিও খুব সস্তার ইলেক্ট্রনিক মাত্র ২০ ডলারে জাপানের এক বুড়ির থেকে কিনেছিলাম পুরোনো ভাঙা মাল ! হরেক মাল ২০ টাকা | ঘড়ির মায়া নেই | জামা কাপড় নিয়ে পোড়া ঘড়িটা পকেটে গুঁজে নেমে এলাম ছাদ থেকে |