বাঁশিওয়ালা by kaamdhenu - অধ্যায় ২৮

প্রথম মেসেজ : সাবিত্রী বলে কারুর নম্বর আমার কাছে নেই , মিথ্যে বলোনা , সবিতা ! সাবিত্রী হাসলেন নিজের মনে ! পরের মেসেজে গেলেন ! দ্বিতীয় মেসেজ , আধ ঘন্টাটাক বাদে : তবে কি তুমি নাম পাল্টেছো ? সবিতা থেকে সাবিত্রী হয়ে গেছো ? সাবিত্রী আবার হাসলেন ! পাগল একটা ! তৃতীয় : উত্তর দাও ! সাবিত্রী এবার একটু গম্ভীর হলেন ! ফোর্থ মেসেজ : উত্তর দাও না গো ,সবিতা ! সাবিত্রী বিষন্ন এবং বিপন্ন বোধ করলেন একটু ! ফিফ্থ : আমি তোমার কখনো ক্ষতি তো করবো না , এটা তো তুমি জানো সবিতা ! সাবিত্রী একটা দীর্ঘ নিঃশাস ত্যাগ করলেন এবার ! ষষ্ঠ মেসেজ : অনেক কষ্ট করে এই মোবাইলটা জোগাড় করেছি , সবিতা , শুধু তোমার সঙ্গে বাংলায় কথা বলবো বলে ! তুমি অমন করো না সবিতা ! মনটা ভারী ভারী লাগলো সাবিত্রীর ! চোখ বুঁজলেন তিনি ! নানা রকম ভাব খেলা করতে লাগলো বুকের মাঝে ! ….. এই ছেলেটা কী-ই- রকম ? …. কেমন ছেলে এটা ? এরকম প্রেমেও মানুষ পড়ে ?..... এ তো উপন্যাসে দেখা যায় কেবল ! সবিতাটা কে ? ওর গ্রামের কেউ...... ? সাবিত্রী খুব দুঃখিত বোধ করলেন ! আহা, সে জানলও না , ওর জন্য এমন একটা পাগল এই পৃথিবীতেই আছে ! ……কত জন্মে এমন ভালোবাসা ভরা মন পাওয়া যায় , ভগবান ? আহা ! বুকের এক কোন একটু যেন চিন চিন করলো সাবিত্রীর ! বিশেষ কোনো কারণ ছাড়াই ! এবার ,…. তিনি কী করবেন ? কী করা উচিত তাঁর ? আবারো মেসেজ করে জানাবেন যে , এটা সবিতার নম্বর নয় ? লাভ হবে কিছু তাতে ? না কি,..... সরাসরি কথা বলবেন এবার ? সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতে যেন অকুল পাথারে পড়লেন সাবিত্রী ! বহু,.. বহু…ক্ষণ পরে মনস্থির করলেন সাবিত্রী ! ঘর থেকে বেরোলেন ! এগিয়ে গেলেন সিঁড়ির দিকে ! সিঁড়ির মাথায় দাঁড়িয়ে ডাক দিলেন , --- ' আলতাফ ' আসলে ডাক দিলেন না ঠিক , ডাক দেবার জন্য ঠোঁট দুটো ফাঁক করলেন ! কোনো শব্দ মুখ থেকে বেরোনোর আগেই দেখলেন , আলতাফ সিঁড়ি ধরে উঠে আসছে ওপরে !