ভালবাসার রাজপ্রাসাদ Written By Pinuram - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-5264-post-209684.html#pid209684

🕰️ Posted on February 27, 2019 by ✍️ sorbobhuk (Profile)

🏷️ Tags:
📖 529 words / 2 min read

Parent
Disclaimer : এই কাহিনীর কিছু চরিত্র এবং ঘটনা কাল্পনিক, কিছু চরিত্র এবং ঘটনা বাস্তব। পুরানো হলুদ কিছু পাতা নিয়ে আবার করে সামনে আসা, এক নতুন ভাবে পরিবেশন করা এই গল্প। ভুমিকাঃ এই জীবন ছিল নদীর মতন গতি হারা দিশা হারা ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তারা। ওগো আমি হয়ে গেছি তারা, ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তারা। আগে ছিল শুধু পরিচয় ,পরে হল মন বিনিময় আগে ছিল শুধু পরিচয় ,পরে হল মন বিনিময় শুভ লগ্নে হয়ে গেল শুভ পরিণয় আমি যখনি ডাকি জানি তুমি দেবে সারা এই জীবন ছিল নদীর মতন গতি হারা দিশা হারা ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়ে গেছি তারা। প্রথম অধ্যায়ঃ প্রথম প্রেম নিমন্ত্রন সন ২০০০, শীতকাল ঠিক দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে হাতছানি দিচ্ছে। নভেম্বর মাসের ঠাণ্ডা শীত তখন ঠিক মতন পড়েনি। । বাইশটা বসন্ত পেরিয়ে, অভিমন্যু তখন কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র। আবছা কুয়াশা মাখা মিষ্টি রোদ আর ঘাসের ডগায় শিশিরের চিকমিক যেন মন টাকে ব্যাকুল করে তোলে এক অজানা আনন্দের খোঁজে। দিনটা ছিল রবিবার। অভিমন্যু বসার ঘরে বসে আপনমনে খবরের কাগজ’টা পড়ছিল, না ঠিক পড়ছিল নয়, দেখছিল আর গরম চায়ে সুরত সুরুত করে চুমুক দিচ্ছিল। ওর মা রান্না ঘরে রান্না করছিলেন আরে বাবা বাজারে গেছিলেন। ঠিক সেই সময়ে কলিং বেল বেজে ওঠে। মা বললেন এক বার দেখতে, হয়ত পেপারওয়ালা মাসের টাকা নিতে এসেছে। অভি দৌড়ে নিচে গিয়ে দেখে যে দরজায় একজন মধ্য বয়স্ক ভদ্রলোক এবং এক ভদ্রমহিলা দাঁড়িয়ে। অভি তাদের কাউকেই চেনেনা। ভদ্রলোক অভি কে জিজ্ঞেস করলেন, "তোমার মা বাড়িতে আছেন?" মাথা নাড়িয়ে জবাব দেয় অভি যে মা বাড়িতে আছেন। ভদ্রলোক নিজের পরিচয়ে বললেন যে তিনি মায়ের দূর সম্পর্কের ভাই হন। অভি ওদেরকে বাড়ির মধ্যে আসার জন্য বলল এবং বসার ঘরে বসতে বলে মাকে ডাকতে গেল। মা বসার ঘরে ঢুকে অবাক, "আরে শশাঙ্ক, কি ব্যাপার? অনেক দিন পরে। এটা তোর বউ, মেঘনা? ভাল ভাল, তা অনেক দিন পরে কি মনে করে আসা হল?" কথাবার্তায় জানা গেল যে, শশাঙ্ক অভির মায়ের খুব দূর সম্পর্কের ভাই হন। তাঁরা তিন ভাই, তিন বোন। ছোটো ভাই সুব্রতর বিয়ে উপলক্ষে নিমন্ত্রন করতে এসেছে। কথাবার্তার পরিপ্রেক্ষিতে জানা গেল যে, শশাঙ্কর ছোটো বোন তখন অবিবাহিতা আর তাঁরা এক উপযুক্ত পাত্রের খোঁজে করছেন। তাঁরা সবাই গ্রামের বাড়িতে এক যৌথ পরিবারে থাকে, গ্রামের নাম বসিরহাট। অভি’র মা একজন শিক্ষিকা, মায়ের স্কুলও বসিরহাটে। মা যখন স্কুলের চাকরি শুরু করেন তখন তিনি ওদের বাড়িতে থাকতেন। অভির জন্মের বছর দুই আগে, মায়ের ছোটো মাসি, শশাঙ্কের মা, এক কন্যে সন্তানের জন্ম দেন। মায়ের ছোট্ট কুট্টী বোন, শুচিস্মিতা। মায়ের মুখে অভি তার কথা অনেক শুনেছে, কেমন করে অভি কে নিয়ে সারাদিন খেলে বেড়াত শুচিস্মিতা। অভিমন্যুর যখন দুষ্টুমি করার বয়স হল এবং স্কুল যেতে শুরু করল তখন অভির বাবা মা, কলকাতা চলে আসেন। অভির মনে সেই ছোটো বেলার কোন কথাই মনে নেই। সব তাই যেন এক স্বপ্ন ধোঁয়াটে। অভির মা অভিকে বললেন যে, শুচিস্মিতা বাড়ির ছোটো মেয়ে সেই জন্য সব থেকে দুষ্টু ছিল। ওর চেয়ে শুধু অভি ছোটো ছিল তাই অভিকে নিয়ে ওর যত খেলাধুলা চলত। টানতে টানতে নিয়ে যেত আমের বাগানে, পুকুর পাড়ে, ধানের ক্ষেতে। অভি ছিল তার জলজ্যান্ত খেলার পুতুল, যাকে নিয়ে ওর সারাদিন কেটে যেত শুধু খেলায়। গ্রামে সবারই বড় এবং যৌথ পরিবার হয়ে থাকে। শশাঙ্কের দেরও যৌথ পরিবার এবং ওদের এক ছেলে, নাম নীলাঞ্জন, ক্লাস ফোরে পড়ে। মা শশাঙ্কের নিমন্ত্রন স্বীকার করলেন আর জানালেন যে তাঁরা সবাই সুব্রতর বিয়েতে যাবেন।
Parent