বহ্নিশিখা by BOURSES_BRAQUE - অধ্যায় ২১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39386-post-3737452.html#pid3737452

🕰️ Posted on September 24, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 413 words / 2 min read

Parent
‘হা যীশু!’ কঁকিয়ে উঠল রোম্যানো। সেই সাথে সহসা তার মুঠি আলগা হয়ে গেল। ট্রেসি ভয়ার্ত চোখে একটা লাল কুয়াশার মধ্য দিয়ে দেখল রোম্যানো তার শরীরের ওপর থেকে পড়ে গেল পাশে ধপ করে। ‘কুত্তি... আমাকে গুলি করে দিলি... গুলি করে মেরে ফেললি...’ ট্রেসি খানিকক্ষনের জন্য কেমন পাথর হয়ে গেছিল। নড়ার ক্ষমতাটাও হারিয়ে ফেলেছে যেন। সম্বিত পেতে ধড়মড় করে উঠে বসল সে। হোচট খেতে খেতে দৌড়ে গেল ঘরের অপরদিকে একটা দরজা লক্ষ্য করে। দড়াম করে খুলে দেখে সে ওটা একটা বাথরুম। তাড়াতাড়ি কল খুলে সিঙ্ক থেকে জল নিয়ে নিজের মুখে ছিটোতে লাগল। ঠান্ডা জল চোখে মুখে পড়তে একটু যেন ধাতস্থ হল। সামনের বেসিনের ওপর রাখা আয়নায় নিজের দিকে তাকাতে দেখে সারা মুখ চোখ রক্তে ভরে রয়েছে। বিভৎস দেখতে লাগছে তাকে। হে ভগবান। আমি একটা জলজ্যান্ত লোককে মেরে ফেললাম! দৌড়ে সে আবার বসার ঘরে ফিরে এল। জো রোম্যানো মেঝেতে পড়ে রয়েছে, আর তার বুকের পাশ থেকে রক্ত চুইয়ে বেরিয়ে সাদা কার্পেটটাকে রাঙিয়ে তুলেছে। কাছে এসে অসার গলায় বিড়বিড় করে বলতে লাগল, ‘সরি, আমি ভিষন দুঃখিত... আমি চাইনি এটা... এটা ভুল করে হয়ে গেছে... তারপরই যেন হটাৎ মাথায় আসতে বলে উঠল, ‘অ্যাম্বুলেন্স...’ তখনও লোকটার নিঃশ্বাস পড়ছে... সে দৌড়ে গেল টেবিলের ওপর রাখা টেলিফোনটার দিকে... ডায়াল করল অপরেটরকে... কথা বলবে কি, কথা যেন আটকে যাচ্ছে তার... তবুও হড়বড় করে বলতে থাকল সে, ‘অপরেটর, শিগগির একটা অ্যাম্বুলেন্স পাঠান। এক্ষুনি। ঠিকানা ফোর টোয়েন্টি ওয়ান, জ্যাকসন স্কোয়ার। একজন, একজন লোক গুলিবিদ্ধ হয়েছে...’ বলেই আবার রিসিভারটা ক্র্যাডেলে নামিয়ে রেখে দৌড়ে জো রোম্যানোর পাশে এসে দাঁড়ালো। হাত জোড় করে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করতে লাগল, ‘ওহ ভগবান, প্লিজ, একে মেরে ফেলো না। তুমি জানো আমি এটা করতে চাইনি। আমি মারতে চাইনি একে।’ রোম্যানোর দেহের পাশে নিচু হয়ে বসে বোঝার চেষ্টা করল সে এখনও বেঁচে আছে কি না। না, চোখ দুটো বন্ধ থাকলেও, নিঃশ্বাস এখনও পড়ছে। বেঁচে যাবে। নিশ্চয়ই বেঁচে যাবে। অ্যাম্বুলেন্স এক্ষুনি এসে পড়বে... আর সে দাঁড়ালো না। ওখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে পড়ল সে। ট্রেসি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে চেষ্টা করল না দৌড়বার। এতে লোকের সন্দেহ বাড়বে। গায়ের জ্যাকেটটাকে ভালো করে ঢেকে নিল শরীরটা যাতে ছেঁড়া ব্লাউজটা দেখা না যায়। একটা ট্যাক্সি ধরতে হবে। হাত বাড়িয়ে যতগুলো ট্যাক্সি পাশ দিয়ে যাচ্ছে, ধরার চেষ্টা করল, কিন্তু একটাও খালি নেই। সব কটা প্যাসেঞ্জারে ভর্তি। প্রত্যেকেই যেন কি খুশি, আনন্দে ভরপুর। দূর থেকে একটা সাইরেনের আওয়াজ ভেসে আসতে শুনল। পরক্ষনেই একটা অ্যাম্বুলেন্স হুস করে পাস দিয়ে বেরিয়ে গেল রোম্যানোর বাড়ি লক্ষ্য করে। পালাতে হবে। ট্রেসিকে যে করেই হোক এখান থেকে পালাতে হবে। সামনে একটা ট্যাক্সি এসে দাঁড়ালো, প্যাসেঞ্জার নামছে। দৌড়ে গিয়ে ট্যাক্সিটাকে ধরে জিজ্ঞাসা করল, ‘এটা খালি হচ্ছে?’ ‘কোথায় যাবেন?’ ‘এয়ারপোর্ট’ এক নিঃশ্বাসে উত্তর দিল সে। ‘উঠুন’
Parent