বহ্নিশিখা by BOURSES_BRAQUE - অধ্যায় ২৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39386-post-3781627.html#pid3781627

🕰️ Posted on October 5, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 412 words / 2 min read

Parent
পেরি পোপ, আদালত যে অ্যাটর্নিকে ট্রেসির জন্য নিযুক্ত করেছে, ট্রেসির সেলে পরদিন সকালে দেখা করতে এল। কত হবে বয়স... খুব বেশি হলে তিরিশের ওপারে। বেশ বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা আর সেই সাথে সহানুভূতী মাখা নীল চোখ। প্রথম দর্শনেই ট্রেসির ভালো লেগে গেল। ট্রেসির সেলের মধ্যে ঢুকে বিছানায় বসে বলে উঠল, ‘ওয়েল, আপনি তো শহরে মাত্র চব্বিশ ঘন্টা আগে এসেছেন, আর এর মধ্যেই একেবারে ধামাকা করে দিয়েছেন! তবে আপনি যথেষ্ট ভাগ্যবতী বলতে হবে। যে গুলিটা করেছিলেন সেটা একদম ঠিকঠাক হয় নি। সামান্য মাংস ছুয়ে বেরিয়ে গেছে। আর তাই রোম্যানো বেঁচে যাবে মনে হচ্ছে। নয়তো...’ নিজের পকেট থেকে পাইপ বের করে ট্রেসির উদ্দেশ্যে বলে উঠল, ‘যদি কিছু মনে না করেন...’ ‘না, না। ঠিক আছে’ ধীরে সুস্থে পাইপের মধ্যে তামাক ভরে লাইটার বের করে সেটা জ্বালিয়ে ট্রেসির দিকে তাকালো। ট্রেসিকে ভালো করে দেখে নিয়ে বলল, ‘আপনাকে দেখে তো একেবারেই অপরাধী বলে মনে হয় না? মিস হুইটনি!’ ‘আমি নই। বিশ্বাস করুন, আমি একেবারেই নই।’ ‘আমাকে পুরো ঘটনাটা খুলে বলুন তো। একদম শুরু থেকে। সময় নিন, কোন তাড়াহুড়ো নেই... কিন্তু সবটা বলুন।’ ট্রেসি প্রথম থেকে একে একে সমস্ত ঘটনা তাকে খুলে বলতে লাগল। কিচ্ছু বাদ দিল না। সব কিছু। তার মায়ের ফোন পাওয়া থেকে শুরু করে এই মুহুর্তে সেলের কুঠুরীতে পৌছানো অবধি। পেরী পোপ চুপ করে শুনে যেতে লাগল। ট্রেসির বলা শেষ না হওয়া অবধি একটা কথাও বলল না। ট্রেসির সমস্ত বলা শেষ হতে সেলের দেওয়ালে হেলান দিয়ে বসে বলে উঠল, ‘বাস্টার্ড।’ তারপর নরম গলায় ট্রেসিকে বলল, ‘কিন্তু আমি তো বুঝতে পারছি না ওরা তাহলে কি বলতে চাইছে?’ ট্রেসির চোখেও দ্বিধা, ‘বিশ্বাস করুন, আমিও ওই ছবির ব্যাপারে কিচ্ছু জানি না।’ ‘হু। বুঝলাম। খুব সামান্য ব্যাপার। জো রোম্যানো আপনাকে ফাঁসিয়েছে, ঠিক যে ভাবে আপনার মাকে সে ফাঁসিয়েছিল, একদম সেই ভাবে। আর আপনি সরাসরি ওর ফাঁদে পা দিয়েছেন।’ ‘আমি কিন্তু এখনও বুঝতে পারলাম না কি বলতে চাইছেন।’ ‘আপনাকে বরং পরিষ্কার করে বোঝাই ব্যাপারটা। রোম্যানো কি করবে দেখুন, ও ইন্সিওরেন্স কোম্পানীর কাছে একটা আধ মিলিয়ন ডলারের ক্লেম করবে ওই জঁ রনোয়ার ছবিটার জন্য, যদিও সে নিজেই হয়তো ছবিটাকে লুকিয়ে রেখে দিয়েছে। হয়তো পেয়েও যাবে টাকাটা ইন্সিওরেন্স বাবদ। এবার ইন্সিওরেন্স কোম্পানী আপনার পেছনে পড়ে যাবে, তার নয়। তারপর যখন সব কিছু শান্ত হয়ে যাবে, তখন সে ছবিটাকে বের করে গোপনে কোন প্রাইভেট পার্টিকে বিক্রি করে দেবে আরো আধ মিলিয়ন ডলারে। ব্যস। আর এটা সম্পূর্ণ সম্ভব হয়েছে এই আপনার একলা কিছু করার তাগিদে। এখন বুঝতে পারছেন তো যে সব সময় বন্দুক দেখিয়ে স্বীকারক্তি আদায় করা যায় না।’ ‘এ--এখন তো পারছি বুঝতে। আসলে আমি ভেবেছিলাম যদি ওর মুখ থেকে সত্যিটাকে সামনে নিয়ে আসতে পারি তাহলে হয়তো কেউ ব্যাপারটা নিয়ে তদন্ত করবে আর তাতে আমার মা...’
Parent