বিটারনেস ইজ সুইটার দ্যান হানি-১ (Bitterness is Sweeter than Honey) by Monirul - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39269-post-3508023.html#pid3508023

🕰️ Posted on July 18, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 380 words / 2 min read

Parent
বিটারনেস ইজ সুইটার দ্যান হানি-১ (Bitterness is Sweeter than Honey) Monirul আমার স্বপ্নের রাণী_পর্ব-১ “ব্যপারটা কি এ্যাঁ, আমার পিছু নিয়েছেন কেন? আমার পিছন পিছন আসবেন না, আমাকে ফলো করা আমি কিন্তু একদম লাইক করি না”। সিঁড়ি দিয়ে আমার আগে আগে উঠতে উঠতে পিছনে ঘুড়ে আমাকে কথাগুলো বললো মেয়েটা। কিন্তু আমি তো ওকে ফলো করছিলাম না। আমার ক্লাসের তাড়া ছিল তাই ওর পিছনে পিছনে ওঠা ছাড়া আমার কোন উপায় ছিল না। কারন মেয়েটা যে ফ্লোরে যাবে, আমিও তো একই ফ্লোরে যাবো। ঘটনাটা ঘটেছিল ঢাকায়, একটা ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের লবিতে। গ্রাজুয়েশন করার পরে কিছু বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয়-স্বজনদের পরামর্শে একটা ভাল চাকরী পাওয়ার আশায় কর্মমুখী কারিগরী প্রশিক্ষন নেওয়ার জন্য আমি তখন ঢাকায় একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের প্যাকেজ কোর্সে ভর্তি হই। ইনস্টিটিউটটা ছিল গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ এর একটা ৬ তলা বিল্ডিঙে আর আমাদের ক্লাস ছিল ৫ম তলায়। লিফট ছিল না, তাই আমাদেরকে সিঁড়ি ভেঙেই ওঠানামা করতে হতো। একই ইনস্টিটিউটের ফ্যাশন ডিজাইনের ক্লাশও একই ফ্লোরে হতো। স্বাভাবিকভাবেই ফ্যাশন ডিজাইনের কোর্সে কিছু মেয়েও পড়তো যারা আমাদের নিরস দিনগুলি একটু রসালো করে রাখতো। এদের মধ্যে একটা মেয়ে ছিল সবার চোখের মনি, স্বপ্নের রাণী। সবাই ওর দিকে আলাদা করে নজর দিতো, কিন্তু কেউই তার ধারে কাছে যাওয়ার সাহস করতো না। কারন, আমরা আগেই জেনে ফেলেছিলাম যে, ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি লম্বা তাগড়া শরীরের, ভারতীয় নায়িকাদের মত ফিগারের শ্যামলা মেয়েটা, যে কিনা সবসময় সানগ্লাস মাথার উপরে রেখে গটগট করে হাঁটতো, সে এক বিশাল বিজনেস ম্যাগনেটের একমাত্র মেয়ে। বাবা বড়লোক, অনেক টাকাপয়সা আছে, তাই নিজেই একটা গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রী দেবে বলে নিজে আগে ফ্যাশন ডিজাইনিং শিখে নিচ্ছে, যাতে ওকে কেউ ফাঁকি না দিতে পারে বা ঠকাতে না পারে। প্রাইভেট কারে ক্লাসে আসা-যাওয়া করে, ড্রাইভার সময়মতো নামিয়ে দিয়ে যায় আবার এসে নিয়ে যায়। আমাদের সহপাঠিরা কেউই অতোটা সামর্থওয়ালা বাবার সন্তান ছিলাম না যে ওকে কেউ লাভ লেটার দেবো, কার ঘাড়ে কয়টা মাথা আছে? মেয়েটা গটগট করে ক্লাসে আসতো আবার ক্লাস শেষে গটগট করে নেমে যেতো, এদিক ওদিক কখনো তাকাতো না। আমরা ওকে বড়লোক বাবার দেমাগী আর অহংকারী মেয়ে বলেই জানতাম। তবুও ওর অসামান্য রূপ আর যৌবনের ঢলঢলানী চুরি করে দেখার লোভ সামলাতে পারতাম না। কিন্তু সেদিন আমি বেশ আগে ক্লাসে চলে এসেছিলাম। তাই ক্লাসে ব্যাগটা রেখে আবার নিচে গেলাম চা খেতে। কিন্তু চা দিতে দেরি করায় তাড়াহুড়া করে ক্লাসে যাচ্ছিলাম, মেয়েটারও সম্ভবত দেরি হয়ে গিয়েছিল। সেজন্যেই আমি সিঁড়ির গোড়ায় পা রাখতেই আমার পাশ দিয়ে ঝড়ের বেগে উপরে উঠতে গেলো মেয়েটা আর তখনই বিপত্তিটা ঘটলো।
Parent