বন্যা - সিকদার অনি ( completed ) - অধ্যায় ১১৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-40737-post-4631375.html#pid4631375

🕰️ Posted on January 15, 2022 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 458 words / 2 min read

Parent
আসলাম সাহেব ছেলেমেয়েদের কথা বিশ্বাস করেই ঘুমুতে গেলো। মহুয়াও ছেলেমেয়েদের লক্ষ্য করে বললো, অনেক আনন্দ করেছো! রাতও অনেক হয়েছে। তোমরাও ঘুমিয়ে পরো। মেঝো মেয়ে মলি বললো, এখন ঘুমাবো কি? আরেকটু মজা না করলে ঘুম আসবে নাকি? মহুয়া বললো, আর কি মজা করবে? মলি বললো, আরিফ আর ভাইয়ার নুনুটা তো ঠাণ্ডা হলো। আমার মাথাটা তো গরম হয়ে আছে! বড় মেয়ে জলিও বললো, মা আমারও! মহুয়া চোখ গোল গোল করে বললো, কি বলতে চাইছো তোমরা? ইনিয়ে বিনিয়ে, শেষ পর্যন্ত ভাই বোনে সেক্স করার কথা বলতে চাইছো না তো? ছোট মেয়ে কলি বললো, মা, তোমার মাথায় তো অনেক বুদ্ধি! একটা বুদ্ধি করা যায় না! ধরো, আমাদের সেক্স করতে হলো না, তবে সেক্সের মজাটা ঠিকই পেলাম। যেমন, ভাইয়ারা পেয়েছে! মহুয়া চোখ গোল গোল করেই বললো, ওমা, তুমি বুঝলে কেমনে, তোমার ভাইয়ারা সেক্সের মজা পেয়েছে! কলি বললো, কেনো বুঝবো না মা! আমি ক্লাশ নাইনে পড়ি! আমার ক্লাশ মেইট অনেক মেয়ে রেগুলার সেক্সও করছে সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে। মহুয়া মাথা হাত রেখেই বললো, তোমরা তো দেখছি আমাকেই হার মানাবে! ছোট ছেলে আরিফ বললো, মা, তুমি প্রথম সেক্স করেছো কত বছর বয়সে? মহুয়া মাথা টিপতে টিপতেই বললো, তোমরা তো দেখছি আমার মাথাটাই খারাপ করে দিচ্ছো! শরীফ প্যারডী গান ধরলো, পথের ক্লান্তি ভুলে, স্নেহ ভরা সন্তানেরে, বলো মা! কবে তা! কেমন ছিলো? বলো মা! মহুয়া খানিকটা স্বাভাবিক হয়েই বললো, ঠিক আছে, ঠিক আছে, বলছি। তখন আমার বয়স আঠারো! মলির চাইতে বোধ হয় একটু ছোটই ছিলাম। তোমাদের সাগর মামাকে তো চেনোই। এখনো তো প্রায়ই আসে। আমার চাচাতো ভাই। তার সাথেই প্রথম! জলি বললো, বলো কি? কি রোমান্টিক! তারপর? কিভাবে, কি করলে বলো না মা, প্লীজ! মহুয়া একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাসই ফেললো। তারপর জলিকে লক্ষ্য করেই বললো, সে অনেক কথা! শুনতে যখন চাইছো, তাহলে বলেই ফেলি। আসলে, তুম যাকে বাবা বলে ডাকো, সে তোমার আসল বাবা নয়। তোমার আসল বাবা কিন্তু সাগর! জলি চোখ কপালে তুলেই বললো, বলো কি? সাগর মামা? মহুয়া বললো, হুম, সন্তানদের বাবার আসল পরিচয় বোধ হয় এক মাত্র মা ছাড়া অন্য কেউ জানেনা। মহুয়া খানিকটা থেমে আবারও বলতে থাকলো, তোমরা হয়তো ভাববে, তোমাদের বাবাকে আমি ফাঁকি দিয়েছি। তা কিন্তু নয়। তোমাদের বাবা খুবি ভালো মানুষ! আমাকে পাগলের মতোই ভালোবাসে। আমার সব কিছু জেনে শুনেই। ছেলেমেয়ে গুলো খুব মনোযোগ দিয়েই মায়ের গলপো শুনছিলো! মহুয়া ছোট্ট একটা নিঃশ্বাস ফেলেই বললো, তোমরা হয়তো বলবে, এত কিছু জানার পরও সাগরকে দেখে তোমাদের বাবা রাগ করেনা কেনো? আসলে সাগরের তো কোন দোষ নেই। তার সাথে আমার প্রেম ছিলো। দৈহিক সম্পর্কও ছিলো। কিন্তু সেই সাগরই তোমাদের বাবাকে বাঁচানোর জন্যেই সব ত্যাগ স্বীকার করেছিলো। জলি হঠাৎই খুব আবেগ প্রবণ হয়ে উঠলো। সে বললো, মা, বাবার কথা আরো বলো! মানে সাগর মামার কথা! কিভাবে, কেমন করে তোমাদের জানা শুনা হয়েছিলো? মহুয়া বলতে থাকলো তার হারানো দিনের যৌবনের কথাই। তখন আমরা বড় শহরেই থাকতাম। তোমরা তো জানোই, আমার আর অন্য কোন ভাই বোন নেই। শৈশব থেকেই ভাইবোনের অভাবটা অনুভব করতাম। তখন আমি কলেজে পড়ি।
Parent