বন্যা - সিকদার অনি ( completed ) - অধ্যায় ৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-40737-post-3683269.html#pid3683269

🕰️ Posted on September 9, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 357 words / 2 min read

Parent
আসলে, প্রেম করতে হলে অনেক কৌশল লাগে। আমি সেসব কৌশল গুলো জানিনা। আর নারীর বুঝি ষোল কলা জানা। সেগুলো বোধ হয় বন্যারও ভালো জানা। কেনোনা, দেখতে দেখতে একটি মাস চলে গেলো। অথচ, বন্যা মাঝে মাঝে খুব আগ্রহ করেই আমার সাথে কথা বলে, আবার মাঝে মাঝে কোন পাত্তাই দেয় না। এতে করে যে প্রেম জাতীয় কিছু হবে না, ভালো করেই টের পেলাম। ২০০৯সালের আগষ্ট মাসের কথা। ততদিনে, আমার বিভাগ এর সবাই হেড অফিসে চলে এসেছে।হঠাৎই একদিন বন্যা মেইল করে জানালো, এই সপ্তাহের ছুটির দিনে ক্রিকেট ম্যাচ এ খেলতে যাবো। তুমি খেলতে যাবে? আমি জানালাম, আমি তো কখনো ক্রিকেট খেলিনি। নিয়ম কানুনও জানিনা। তবে, দেখার জন্যে যেতে পারি। বন্যা জানালো, আমিও খেলতে জানিনা। যারা খেলবে তারাও সবাই সৌখিন খেলোয়ার। আমিও এবার প্রথম খেলবো। আমি জানালাম, কারা খেলবে, উদ্যোক্তা কারা কিছুই তো জানিনা। কি করে খেলতে যাই বলো? বন্যা জানালো, উদ্যোক্তা তো তোমার পাশের ডেস্ক এর নইম! আর খেলাটাও হচ্ছে, তোমাদের বিভাগ এর সাথে আমাদের বিভাগ এর ফ্রেন্ডলী ম্যাচ। নইম আমার পাশের ডেস্কে বসলেও, খুব একটা কথাবার্তা হয়না। কেনোনা, কাজের সাথে যেমনি সম্পর্ক নেই, বয়সেরও খানিকটা ব্যাবধান আছে। বন্যার মেইল পেয়েই তাকে আমি জিজ্ঞাসা করলাম, নইম, তোমরা নাকি ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছো? নইম আমতা আমতা করেই বললো, হ্যা অনি ভাই। স্যরি, আপনাকে আসলে বলা হয়নি। যাবেন না ভেবেই বলিনি। খেলবেন নাকি? আমি বললাম, না, তবে দেখতে যেতে পারি। আমি আসলে খেলতে পারিনা। নইম বললো, খেলা তো আমরা কেউ পারিনা। জাহিদ সাহেব আগে ক্রিকেট প্লেয়ার ছিলো।উনিই শখ করে সবাইকে মাঝে মাঝে ডাকেন। আমরা আসলে উনার কাছে শিখছি। মাঝে মাঝে ছুটির দিনটাও ভালো কাটে, তাই। আপনি যাবেনই যখন, তখন খেলবেনও। আমাদের টীমে এমনিতেই প্লেয়ার শর্ট আছে। আমি বললাম, দেখা যাক। কোথায় খেলবে? নইম বললো, নাগপুর স্টেডিয়াম এ। আমি বললাম, সে তো আমার বাসা থেকে মাত্র পাঁচ মিনিট এর পথ। ঠিক আছে, ধন্যবাদ। সেদিন খেলা শুরু হলো সকাল দশটায়। আসলে খেলা কিছুই না। ডেভেলপমেন্ট বিভাগ এর সব ছেলে আর কুয়ালীটি কন্ট্রোল বিভাগ এর সব মেয়ে গুলোই একত্রিত হয়েছে। তবে, খারাপ মনে হলো না। বন্যা আর নইম এর কথা মতোই সবাই এলোমেলো বলিং আর বেটিং করছে। সেই সাথে হৈ চৈ। খেলার চাইতে আনন্দ ফূর্তিটাই বেশী। একটু টায়ার্ড হলেই বিশ্রাম। এই কড়া রোদে আমিও কয়েকটা বলিং করে, ঘেমে টায়ার্ড হয়ে মাঠের পাশে একটা বেঞ্চিতে গিয়ে বসলাম।
Parent