বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ (সম্পূর্ণ) - অধ্যায় ১৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-23361-post-1820541.html#pid1820541

🕰️ Posted on April 9, 2020 by ✍️ Biddut Roy (Profile)

🏷️ Tags:
📖 896 words / 4 min read

Parent
পর্ব-১৬ ------------------------------------ ফোনটা হাতে নিতেই আমি শেষ।আরে এতোগুলা কল কখন আসলো।আজ আর রক্ষা নেই। নিলা অনেকগুলো কল করেছে। আমি ও না। কিভাবে যে এতো গভীর ঘুমে তলিয়ে গেলাম। ঘড়ির কাঁটার দিকে তাকিয়ে দেখি আর বেশিক্ষন নেই সূর্যাস্তের। এক ঘন্টার কিছু বেশি আছে।তাড়াতাড়ি করি। সময় আছে এখনো। তাই এক লাফে উঠে কোনোরকমে ফ্রেশ হয়ে রওয়ানা দিলাম। :-----আম্মু আমি গেলাম।ফিরতে রাত হবে।(বলেই বের হয়ে গেলাম) বাইকটা নিয়ে খুব ভালো স্পিডে নিলাদের বাসার সামনে পৌছে গেলাম। স্বাভাবিক সময়ের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় লেগেছে। বাসা টা ভুতুড়ে লাগছে। বাসার সামনে এসে ফোন দিলাম নিলাকে। প্রথমবার ধরলো না।না জানি কি হবে আমার আজ। দ্বিতীয়বার ও ধরলো না। কয়েকবার ট্রাই করলাম। এখন বন্ধ। এখন তো আমার ভয় করছে। তাই সোজা নিলাদের বাসায় চলে গেলাম। কলিং বেল দিলাম। :-----আসসালামু আলাইকুম আন্টি।কেমন আছেন।(আমি) :-----হুমম।বাবা ভালো।তুমি কেমন আছো।আর তোমার বাসার সবাই কেমন আছে।(আন্টি) :-----হুমম।সবাই আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো। :-----ভিতরে আসো। :-----নিলা কোথায়। :-----ও তো ওর রোমেই আছে। :-----আচ্ছা আমি একটু নিলার সাথে দেখা করে আসছি। :-----আচ্ছা। সোজা নিলার রোমে চলে গেলাম। গিয়ে দেখি শাড়ি পরে আছে। চোখের কাজল নষ্ট হয়ে গেছে।কান্না করেছে মনে হয় আমার জন্যে সেজে বসে ছিলো। ভিতরে গেলাম। আমাকে দেখেই অন্যদিকে মুখ করলো। :-----কেনো এসেছো।(নিলা) :-----আমি আ....(শেষ করতে দিলো না) :-----ওহ আমি বেঁচে আছি কি না দেখতে এসেছো।(কান্না কান্না কন্ঠে) :-----আরে কি বলছো এগুলো। :-----চলে যাও আমাকে নিয়ে কোথাও যেতে হবে না।(কান্না করেই দিলো) :-----সত্যিই চলে যাবো। :-----চলে যেতে বলেছি না। :-----আচ্ছা আমি গেলাম।(আমি জানি নিলা আমাকে যেতে দেবে না) যা ভাবছিলাম। দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে কান্না শুরু করলো। :-----কতগুলো কল করেছি।তুমি জানো আমার কত চিন্তা আর কষ্ট হয়।(কান্না করেই যাচ্ছে) :-----আরে বাবু আমি একটু ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।ক্লান্ত লাগছিলো তাই। :-----আর কখনো এমনটা করবে না তো। :-----এই কান ধরছি।আর এরকম হবে না। :-----সত্যি তো।(বাচ্চাদের মতো মুখ বাঁকিয়ে কথাটা বললো) :-----হ্যাঁ।তিন সত্যি। :-----আচ্ছা আজ তাহলে ক্ষমা করলাম। :-----এখন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নাও। :-----আমি তো রেডি ই। :-----কাজলের অবস্থা দেখেছো। :-----একটু বসো। চোখের পলকেই নিলা পারফেক্ট হয়ে রেডি হয়ে চলে আসলো। :-----তোমাকে যা লাগছে না। :-----যাও কি বলো।লজ্জা করে না বুঝি। :-----আরে সত্যিই। :-----(লজ্জায় লাল হয়ে গেলো) আমি নিলার চোখ থেকে খানিকটা কাজল নিয়ে গালের এক কোনে ছোটো করে দিয়ে দিলাম। :-----আরে কি করছো। :-----যাতে কারো নজর না লাগে আমার নিলা পরীটার উপরে। :-----ধ্যাত কি যে বলো। :-----চলো এখন। :-----হুমম। দুজন বেরিয়ে পড়লাম সূর্যাস্ত দেখতে। মনোরম একটা পরিবেশ। আমার হাত ধরে মাথাটা আমার কাঁধে রেখে হাঁটছে। অন্যরকম লাগছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই সূর্যাস্ত যাবে। তাই এক যায়গায় বসলাম। সবুজ ঘাসের উপর আমি আর নিলা। সূর্যাস্তের দৃশ্যটা খুব সুন্দর লাগছে। নিলা সাথে থাকায় আরো ভালো লাগছে। কিছুক্ষণ পরে আবার হাঁটা শুরু করলাম। সূর্য অস্ত গেছে। :-----কেমন সময় কাটছে। :-----জানিনা। :-----এটা কেমন উত্তর হলো :-----হি হি। হঠাৎ একটা গাড়ি আমাদের সামনে এসে দাঁড়ালো। আরে এটাতো আমাদের গাড়ির মতোই। গাড়ি থেকে আপু বেরোলো। আমি দেখেই নিলাকে নিয়ে চলে যেতে লাগলাম। :-----তুই দাঁড়াবি।(আপু রাগে কথাটা বললো) :-----আরে রুহি তুই এখানে।(নিলা) :-----ওকে দাঁড়াতে বল।(আপু) :-----আরে আকাশ দাঁড়াও।(নিলা) :-----কি হলো।(আমি) :-----আরে শোনো তো আগে যে রুহি কি বলতে চাচ্ছে।(নিলা) :-----বলতে বলো।(আমি) :-----তুই আমাকে এমন এড়িয়ে চলছিস কেনো।(আপু) :-----কই আমি তো ঠিকই আছি।(আমি) :-----প্লিজ আমার সাথে এমন করিছ না।(আপু) :-----আমি আবার কেমন করলাম।(আমি) :-----কি হয়েছে একটু বলবি প্লিজ।(আপু) :-----কিছু হয়নি তো আমি কি বলবো।(আমি) :-----এই নিলা তুই একটু ওকে বুঝা প্লিজ।(আপু) :-----রুহি আসলে হয়েছে কি।(নিলা) :-----কি হয়েছে বল আমাকে।(আপু) :-----আকাশ না তোর জন্যে একটা ছেলে দেখেছে।(নিলা আমাকে একটা চোখ মারলো।বুঝলাম হয়তো কোনো প্লান করছে) :-----ছেলে দেখেছে মানে।(আপু) :-----আরে তোর বিয়ের জন্যে আর কি।(নিলা) :-----বিয়ের জন্যে মানে।তুই তো সব ই জানিস।এটা কি বলছিস তুই।(আপু) :-----আমি কি বলবো।আকাশের মুখের উপরে কি আমি কিছু বলতে পারি।(নিলা) আমি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ওদের কথা শুনছি আর হাসছি। আপুর তো প্রায় কান্নামুখ হয়ে গেছে। আমি দেখে অনেক মজা পাচ্ছি। :-----নিলা এখন কি যেতে পারি আমরা।(আমি) :-----হুমম চলো।এই রুহি বাই।তোর ভাইটা না আমাকে খুব শাসনে রাখে।ওর কথার বাইরে কোনো জানি আমি যেতে পারি না।তাই গেলাম আমরা।(নিলা) :-----আচ্ছা।(আপু) আমরা চলে আসলাম ওই স্থান থেকে। কিন্তু একটু দুরেই আমরা দুজন লুকিয়ে রইলাম। :-----তখন তুমি এটা কি বললে।(আমি) :-----আরে বোকা দেখোই না কি হয়।(নিলা) :-----আচ্ছা দেখি তাহলে। :-----হুমম। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর আরো একটা গাড়ি আসলো। গাড়ি থেকে রাকিব ভাইয়া নামলো। :-----কি ব্যাপার এতো জরুরি তলব।কোনো জরুরি কাজ আছে নাকি।(রাকিব ভাইয়া) :-----তুমি আমাকে ভুলে যাও।(আপু) :-----আরে কি বলছো এগুলো।পাগল হয়ে গেছো নাকি। :-----আকাশ নাকি আমার জন্যে ছেলে দেখেছ।তুমি তো জানো আমি আকাশের সাথে কথা না বলে থাকতে পারি না।এখন ওর দেখা ছেলেকে যদি পছন্দ না করি তাহলে কি হবে তুমি বুঝতে পারছো। :-----প্লিজ এগুলো বলো না।আমি আকাশের সাথে কথা বলবো।তুমি তো জানো আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবো না।তুমি তো জানো আমি তোমাকে কত ভালোবাসি।ছয় বছর তোমার পিছনে ঘুরেছি।তারপরে আজ একটু কথা বলার সুযোগ পেয়েছি।আর আজ এগুলো কি বলছো। :-----সরি রাকিব।আমি আগে জানলে আজকেও তোমার সাথে কথা বলতাম না।আজ সারাদিন আকাশ আমাকে এড়িয়ে চলেছে আমার যে কি কষ্ট হচ্ছে তোমাকে বলে বোঝানো যাবে না।আমি আজ আসি। :-----রুহি প্লিজ কথাগুলো ভেবো। আপু বাসায় চলে গেলো।আমরাও চলে গেলাম। নিলাকে আজ আমার সাথেই নিয়ে গেলাম। আমাদের বাসায়। রাতে খাবার টেবিলে বসলাম। আজ আব্বু ও আছে সাথে। :-----আব্বু।(আমি) :-----হুমম বলো।(আব্বু) :-----আমি রুহির জন্যে একটা ছেলে দেখেছি।খুব ভালো ছেলে।আমার ক্লাসমেটের বড় ভাই।(আমি) :-----তুমি এখন বড় হয়েছো।তোমারো তো একটা কর্তব্য আছে।আর তুমি তো রুহির খারাপ চাইবে না।(আব্বু) :-----তোমার থেকে এটাই আশা করেছিলাম।কাল ওনারা আমার বাসায় আসবে।(আমি) :-----বেশ তো।খুব ভালো কথা।(আব্বু) :-----আচ্ছা গুড নাইট।আর নিলা একটু চলো কথা আছে।(আমি) :-----হুমম।(হালকা ভাবে কথাটা বললো) খাওয়া শেষ করে রোমে চলে গেলাম। ভাবছি কালকে কি কি করবো। ওদিকে রাফিকেও সেট করে রেখেছি।বাহ এতো বুদ্ধি কিভাবে আসলো আমার মাথায়। একটু পরেই নিলার আগমন। :-----কি কি প্লান সব মনে আছে তো।(আমি) :-----হুমম।সব মনে আছে।(নিলা) :-----আচ্ছা তাহলে ঘুমের ওষুধ টা দিয়ে তুমিও ঘুমিয়ে পড়ো। :-----ঘুমের ওষুধ মানে। :-----মানে ওই আর কি। চলবে......
Parent