বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ (সম্পূর্ণ) - অধ্যায় ১৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-23361-post-1821712.html#pid1821712

🕰️ Posted on April 10, 2020 by ✍️ Biddut Roy (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1631 words / 7 min read

Parent
পর্ব-১৭ ------------------------------------ :-----মানে ওই আর কি।(আমি) :-----বুঝেছি।(নিলা) :-----সত্যিই। :-----কিন্তু আজ ঘুমের ওষুধ খাওয়ার দরকার নেই। :-----আচ্ছা তাহলে আর আজ ঘুমাবো না।(কিছুটা মন খারাপ করে) :-----আরে মন খারাপ করো কেনো। :-----তো আর কি করবো। :-----ওরে বাবু টা মন খারাপ করো না।(টুপ করে দুইটা ইয়ে দিয়ে দিলো।(ওই আর কি) :-----থ্যাংক ইউ বাবুটা :-----আচ্ছা এখন ঘুমাও। :-----হুমম।গুড নাইট। :-----হুমম। নিলাকে আজ রাখার কারণ হচ্ছে কাল আপু কে দেখতে আসবে।তাই আজ রাত টা আপুর সাথেই থাকবে শুয়ে পড়লাম। সারাদিনের ক্লান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লাম। আপাতত কোনো টেনশন নেই। তাই খুব শান্তিতে ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সকালে কারো ডাকে ঘুম ভাঙলো।হুমম সে অন্য কেউ না। ভাবছি এই ডাকেই সারাজীবন আমার ঘুম ভাঙবে। যদি আল্লাহ্ তায়ালার ইচ্ছা থাকে। :-----এই আকাশ ওঠো।অনেক বেলা হয়ে যাচ্ছে।(নিলা) :-----উমম।আরেকটু ঘুমাই না।(আমি) :-----না এখনই উঠবে।(আমার কিছুটা সামনে এসে) আমিও কম কিসে এক টানে নিলাকে জড়িয়ে নিলাম। :-----আরে আরে কি করছো।কেউ দেখে ফেললে খুব খারাপ হবে। :-----আরে কে দেখবে।আর দেখলেই বা কার কি।আমি তো আমার জান টাকে ধরেছি। :-----জান টান বাদ দিয়ে এখন উঠে ফ্রেশ হও।সবকিছু কি ভুলে গেছো নাকি। :-----ধ্যাত।এখনই উঠতে হবে। :-----হুমম।এখনই উঠতে হবে। :-----একটা ইয়ে দাও তাহলে। :-----না পারবো না। :-----আচ্ছা তাহলে আমিও ছাড়বো না। :-----তুমি আস্ত একটা পাগল। :-----হি হি। :-----চোখ বন্ধ করো। :-----চোখ আবার কেনো বন্ধ করবো। :-----করো নয়তো পাবে না। :-----আচ্ছা করলাম।তুমি কিন্তু চিটিং করতে পারবে না। :-----আচ্ছা করবো না। :-----এইযে চোখ বন্ধ করলাম।(চোখ বন্ধ করলাম) আমার ঠোঁটে কিছুর স্পর্শ অনুভব করলাম। তারপর একে একে গালে আর কপালেও অনুভব করলাম। :-----এবার চোখ খুলি। :-----হুমম। আমিও নিলার কপালে ছোট্টো করে একটা চুমু দিয়ে উঠে পড়লাম। প্রতিটা সকাল যাতে এভাবেই শুরু হয় এটাই আল্লাহ তায়ালার কাছে চাওয়া। ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি নিলা আমার রোম গুছিয়ে চলে গেছে। আমি নিচে গিয়ে গিয়ে দেখি সবাই আমার জন্য অপেক্ষা করছে। আপু আমার দিকে কেমন করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। :-----সবাই বসে আছো কেনো।খাওয়া শুরু করো।(আমি) সবাই একসাথে ব্রেক ফার্স্ট করলাম। :-----আব্বু ওনারা কিন্তু বিকালের দিকে চলে আসবেন।(আমি) :-----ছেলেদের বাসা কোথায় সেটাও তো বললি না।(আব্বু) :-----এতো প্রশ্ন কেনো করো তোমরা।(আমি) :-----আচ্ছা আমি সব ব্যবস্থা করছি।(আব্বু) :-----আচ্ছা।আর হ্যাঁ বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম।(আমি) :-----কি।(আব্বু) :-----আজকে রাত্রি আপুর বিয়ের রিসিপশন।(আমি) :-----তা ভালো তো।তুই রুহি আর নিলাকে নিয়ে চলে যাস।(আব্বু) :-----কেনো তোমরা যাবে না।(আমি) :-----না।(আব্বু) :-----আচ্ছা এখন বাই।(আমি) :-----ওকে।(আব্বু) দেখতে দেখতে বিকাল হয়ে যাচ্ছে। দেখি রাফি কে একটা কল করে।টুং টুং.... :-----হ্যাঁ বল।(রাফি) :-----তুই কোথায়।(আমি) :-----এইতো আর বেশিক্ষণ লাগবে না। :-----সবকিছু প্লান মাফিক করছিস তো। :-----আরে হ্যাঁ বাবা।সব তোর প্লান মাফিক ই হচ্ছে। :-----আচ্ছা তাহলে বাই। :-----ওকে। ইতিমধ্যে আল-আমীন চলে এসেছে। কিছুক্ষণ পরে রাফির পরিবারও আমাদের বাসায় উপস্থিত হলো। আর বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম রাফির পরিবারের সাথে আমাদের পরিবারের খুব ভালো সম্পর্ক। তাই আব্বু ওনাদের কে দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে গেছে। আপুকে সাজাচ্ছে নিলা। তাই আর ডিসটার্ব করিনি। রাকিব ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি অবাক হয়ে বসে আছে। কি বলবে ভেবেই পাচ্ছে না। আসলে এগুলো সব আমার প্লান। কালকে রাতে রাফিকে সব বলেছি প্লানের কথা। তারপরেই সব কিছু করা। একটু পরে আপু কে নিয়ে আসা হলো। আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি মুখটা শুকিয়ে গেছে। আর মনমরা হয়ে আছে। আমার তো হাসি পাচ্ছে। এদিকে রাকিব ভাইয়া হা করে সব দেখছে। কিছু বলছে না। :-----ভাই রাফি আমাদের আগে কিছুই জানায়নি।শুধু আজ আমরা কোথাও মেয়ে দেখতে যাবো এটা বলেছে।(রাফির আম্মু) :-----আকাশ ও আমাদের কিছুই বলেনি।শুধু বলেছে আজ মেহমান আসবে।(আব্বু) :-----তোর মেয়ে আমার মেয়ে।এতে আর কোনো কিছু বলার দরকার নেই।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তোর মেয়েকে আমাদের ঘরে তুলবো।(রাফির আব্বু আর আমার আব্বু বন্ধু।তাই একে অপরকে তুই বলেই সম্বোধন করে) :-----তুই যা ভালো বুঝিস।তোর সাথে কি আমি কখনো কথায় পেরেছি।(আব্বু) :-----হা হা হা।(রাফির আব্বু) :-----তুই কি আলাদা করে কিছু বলবি।(রাফির আম্মু) :-----হ্যাঁ...না...মানে...না..না..কি বলবো।তোমরা যা বলার বলো।(রাকিব ভাইয়ার ধ্যান মাত্র ভাঙলো।বাস্তবতা বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে) আপু এখনো কাউকে দেখেনি। নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। :-----তাহলে তো আলহামদুলিল্লাহ্।আমাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক এখন আরো গভীর হলো।(রাফির আব্বু) :-----হ্যাঁ।(আব্বু) :-----নে এটা পড়িয়ে দে।(একটা আংটি দিয়ে রাফির আম্মু রাকিব ভাইয়াকে বললো) :-----হ্যাঁ।(রাকিব ভাইয়া) আপু মাত্র দেখলো যে রাকিব ভাইয়া তাকে আঙটি পড়াচ্ছে। আমার দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। :-----নিলা মা তুমি রুহি কে রোমে নিয়ে যাও।(আব্বু) :-----জ্বি আব্বু।(মায়া) তারপরে আপুকে রোমে নিয়ে গেলো। সবাই কথা বলছে আমি আর রাফি দুজন রাজ্য বিজয়ের হাসি দিলাম। সবার কথা শেষ হলো। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে আপুর বিয়ে। :-----দেখলি তোকেই আগেই বলেছিলাম তোকে আমার বিয়াই বানাবো।(রাফি) :-----হুমম।তোর কথা কি ফেলতে পারি।(আমি) সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। তারপর ওনারা চলে গেলেন। যাই একটু আপুর রিয়েকশন দেখে আসি। তাই আপুর রোমে গেলাম। :-----নিলা রেডি হয়ে নাও।রাত্রি আপুর বিয়েতে যাবে তো নাকি।(আমি) :-----যাবো তো।(নিলা) :-----সুন্দর করে সাজবে ঠিক আছে। :-----আমার মনে আছে। :-----মনে থাকলে ভালো।আর হ্যাঁ এই ছেলেকে কারো পছন্দ হোক বা না হোক।বিয়ে কিন্তু এখানেই হবে। ওমনি দৌড়ে এসে আমাকে জড়িয়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলো। :-----আরে কান্না করছেন কেনো আপনি।ছেলে আপনার পছন্দ না হলেও আমার কিছু করার নেই।(আমি) :-----তুই অনেক খারাপ।আমার সাথে কথা বন্ধ করেছিস কেনো।তুই জানিস না তোর সাথে কথা না বললে আমার কতো খারাপ লাগে।(আপু) :-----এই জন্যই তো কথা বলিনি।(আমি) :-----মানে কি।(আপু) :-----তুই আমাকে না জানিয়ে রাকিব ভাইয়ার সাথে কথা বলেছিস।তাই আমিও তোর সাথে কথা বলিনি।(আমি) :-----বিশ্বাস কর।এই প্রথম সেদিন রাকিবের সাথে কথা বলেছি।একটু কথা বলার জন্যে রিকোয়েস্ট করেছিলো।তাই কথা বলেছি।(আপু) :-----জানি আমি সবই।(আমি) :-----জেনেও আমাকে এতো কষ্ট দিয়ে আমার সাথে কথা বলিসনি।(আপু) :-----হি হি।তোকে সারপ্রাইজ দিলাম।(আমি) :-----দরকার নেই আমার এমন সারপ্রাইজ।(আপু) :-----আচ্ছা।এখন রেডি হ।কিছুক্ষণ পরে আবার রাত্রি আপুর বিয়েতে যেতে হবে।(আমি) :-----হুমম।(আপু) আমি চলে আসলাম নিজের রোমে। এখন ফ্রেশ লাগছে অনেকটা। আর খুব ভালো ও লাগছে। কিছুক্ষণ পরে রেডি হয়ে নিলাম। নীল একটা স্যুট। চুলগুলো স্পাইক করলাম সাথে একটা গ্লাস। এখন আপু আর নিলার জন্যে অপেক্ষা করছি। একটুপরে ওরা দুজন আসলো আমি গাড়িতে বসে আছি। বাইকে তো আর তিনজন যাবো না। নিলাকে দেখে আমার চোখ কপালে উঠে যাওয়ার অবস্থা। যা লাগছে কি আর বলবো। আমার সাথে ম্যাচ করে শাড়ি। আর নীল শাড়ির সাথে সবকিছু ম্যাচিং। একদম নীল পরী। :-----আজ কি আমরা যাবো।(আপু) আপুর কথায় আমার আর নিলার ধ্যান ভেঙে গেলো। আমরা এতক্ষণ একে অপরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। নিলা লজ্জায় মাথা নিচু করলো। :-----হ্যাঁ চল।(আমি) :-----আজ তাহলে যেতে পারবো।আমি তো ভেবেছি আজ এখানেই একে অপরকে দেখতে দেখতে শেষ করে দিবি।(আপু) :-----চল তো। :-----হুমম চল। আমি আপন মনে ড্রাইভিং করছি। ওদিকে আপু আর নিলা কথার ফুলঝুরি বের করছে। আমার কানের চোদ্দটা বাজাচ্ছে আর কি। রাত্রি আপুর বাসা আমাদের বাসা থেকে কিছুটা দূরে। তাই একটু সময় লাগলো পৌঁছাতে পৌঁছাতে। পৌছে গেছি। :-----নামো আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি।(আমি) :-----হুমম।(নিলা) ওদের নামিয়ে আমি গাড়ি পার্ক করতে চলে গেলাম। :-----আচ্ছা তুই ভেতরে যা।আমি আকাশের সাথে আসছি।(নিলা) :-----হুমম আচ্ছা গেলাম আমি।(আপু) :-----হুমম।(নিলা) এসে দেখি নিলা একা একা দাঁড়িয়ে আছে। :-----আপু কোথায়।(আমি) :-----রুহি কে ভেতরে পাঠিয়ে দিয়েছি।(নিলা) :-----খুব ভালো করেছো।এখন চলো। :-----হুমম চলো ভেতরে যাচ্ছি। সবাই কেমন করে আমাদের দিকে তাকাচ্ছে। নিলা আমার হাতের ভেতরে হাত দিয়ে আমাকে হালকা জড়িয়ে ধরে হাঁটছে। অন্যরকম আরেকটা অনুভূতি হচ্ছে। পাশ থেকে কেউ বলে উঠলো :-----জোড়া টা খুব মানিয়েছে। আমি এগুলোতে কান না দিয়ে অনুষ্ঠানে যোগদান করলাম। রাত্রি আপুর সাথে একজন অপরিচিত লোক বসে আছে। বুঝলাম এটাই রাত্রি আপুর বর। রাত্রি আপুর সাথে মানিয়েছে। রাত্রি আপুর দিকে তাকিয়ে দেখি আমাকে ইশারায় বলছে আমাকে আর নিলাকে খুব সুন্দর লাগছে। রাত্রি আপুর সামনে গেলাম। কনগ্রাচুলেশন আপু। :-----তুমি এখনো আমাকে আপু বলবে।বাই দ্য ওয়ে ও হচ্ছে আকাশ।যার কথা তোমাকে বলেছিলাম।(রাত্রি আপুর বর কে উদ্দেশ্য করে বললো) :-----হাই ব্রো।তুমি আসলেই খুব কিউট।(রাত্রি আপুর বর) :-----থ্যাংকস।আপনিও কম না।(আমি) :-----থ্যাংক ইউ।(রাত্রি আপুর বর) :-----আর হ্যাঁ।ও হচ্ছে সেই ভাগ্যবতী মেয়েটা নিলা।আকাশের হবু জীবনসঙ্গীনী।(রাত্রি আপু) :-----আপুর তো আগামী মাসে বিয়ে।(আমি) :-----কি বলো কার সাথে।(রাত্রি আপু) :-----রাফির বড় ভাই আছে না।তার সাথে।(আমি) :-----ওহ।খুব ভালো লাগলো।(রাত্রি আপু) কিছুক্ষণ কথা বলে চলে আসলাম। বাড়িটা একটু ঘুরলাম। দেখি আপু তার ফ্রেন্ড দের সাথে কথা বলছে আর হাসছে। নিলা আমার সাথে থাকায় এখনো বান্ধুবীদের সাথে দেখা করেনি। তাই নিলাকে নিয়ে আপুর কাছে গেলাম। :-----আরে নিলা আকাশ কে পেয়ে তো আমাদের ভুলেই গেছিস।(আপুর বান্ধুবী রা হাসাহাসি করছে) :-----কি যে বলিস না তোরা।(নিলা) :-----হয়েছে হয়েছে আর বলতে হবে না।সব তো চোখের সামনেই হচ্ছে। সবাই কথা বলছে আমি আর এখানে কি করবো। তাই একটু ওপাশে গেলাম। গিয়ে দেখি রাফি আর আল-আমীন। সাথে রাকিব ভাইয়া ও আছে। :-----কিরে তুই এখানে।(আমি) :-----আরে দোস্ত তুই এখানে।(রাফি) :-----আমারো তো একই প্রশ্ন।(আমি) :-----বিয়ের বর ভাইয়ার বন্ধু।(রাফি) :-----আর আমার আত্মীয়।(আল-আমীন) :-----যাক ভালোই হলো।একা একা বোরিং লাগছিলো।তোদের দেখে ভালোই লাগছে।(আমি) :-----আমাদের ও তোকে ছাড়া একদম ভালো লাগছিলো না রে।আল-আমীনকে জিজ্ঞেস কর।তোর কথা বারবার বলছিলাম।(রাফি) :-----আচ্ছা চল তাহলে।এখন অনুষ্ঠান টা ইনজয় করি।(আমি) :-----এখন তুই এসে গেছিস।সেলিব্রেট হবে সেই ভাবে।(রাফি) :-----হুমম।(আমি) কিছুক্ষণ ঘুরা ঘুরি করলাম আমরা তিনজন। আপু আর নিলার দিকে আসার সময় হলো আরো এক ভেজাল। দুইটা ছেলে আপু আর নিলাকে উত্যক্ত করছে। অনিচ্ছাকৃতভাবে কথা বলছে। আমার তো রাগ মাথায় চড়ে বসলো। আজ এদের একটা কিছু করতে হবে। সামনে গেলাম। রাফি আর আল-আমীন একটু দূরে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। এখানো খেয়াল করেনি। ওদের উদ্দেশ্যে বলতে লাগলাম। :-----কি ভাই পছন্দ হয়েছে।(আমি) :-----তোকে বলবো কেনো রে।(একজন) আমার তো আরো রাগ উঠে গেলো। :-----না আমি সাহায্য করতে পারতাম আর কি।(আমি) :-----না আমরাই পারবো।(একজন) :-----তাই নাকি।(আমি) :-----হুমম। :-----আমার বোন আর গার্লেফ্রন্ড কে নিবেন।এতো সাহস আপনাদের।(আমি) :-----সাহসের দেখেছিস কি রে। কথা না বাড়িয়ে দিলাম টুস্ করে একটা। এটা দেখে অপর ছেলেটা আমার দিকে তেড়ে আসতে লাগলো। আমি ঘুষি দিতে যাবো। এমন সময় দেখি কুপকাৎ হয়ে গেলো। হ্যাঁ রাফি আর আল-আমীন শুরু করে দিয়েছে। আমাদের তিনজনের এটার এক্সপেরিয়েন্স আছে। আনেক মানুষ পিটিয়েছি। তিনজন শুরু করে দিলাম। ঘুষি আর লাথি মারতেই আছি। ইতিমধ্যে ছেলে দুইটা আধমরা। শেষে রাকিব ভাইয়া এসে ছাড়িয়ে দিলো। :-----কি হচ্ছে রাফি এটা।(রাকিব ভাইয়া) :-----ওরা দুইটায় আমার দুই ভাবি কে ডিসটার্ব করেছে।নোংরা কথা বলতে চেয়েছিলো।(রাফি) :-----আরে রাকিব ভাই আপনে।(ওই দুইটার মধ্যে একজন) :-----ওনারা কারা জানিস।(রাকিব ভাইয়া) :-----এইযে এই পিচ্চু টা বলছে একটা নাকি ওর গার্লেফ্রন্ড।আর একটা বোন।(একজন) :-----তাহলে তো বলেছে ই।তারপরও আবার কথা বলছিস।তোদের কি জীবনের মায়া নাই।(রাকিব ভাইয়া) এই কথা শুনেই ওই ছেলে দুইটা দিলো ভো দৌড়। :-----আচ্ছা এখন বাড়ি চলো।(আমি) :-----আচ্ছা বাই।পরে দেখা হবে।(রাকিব ভাইয়া) :-----বাই রে দোস্ত।(রাফি) :-----আল-আমীন আমাদের সাথে চল।(আমি) :-----আচ্ছা চল।(আল-আমীন) রাত্রি আপুকে বিদায় জানিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। যাক এবার আমিও কথা বলতে পারবো। এই জন্যই আল-আমীনকে সাথে নিয়ে এসেছি। :-----রুহি আজ তাহলে যাই।(মন খারাপ করে নিলা) :-----আচ্ছা ।(আপু) আপুকে বাসায় ড্রপ করে নিলার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। নিলার বাসার সামনে চলে এসেছি। :-----নামো এসে গেছি। :-----এতো তাড়াতাড়ি। :-----হুমম। :-----যেতেই হবে। :-----আরে হ্যাঁ রে বাবা। :-----আচ্ছা বাই। :-----কিছু কি ভুলে গেছো। :-----না তো।কি ভুলবো আবার। :-----আচ্ছা গেলাম বাই। :-----আরে রাগ করো কেনো।ভুলিনি তো। :-----সত্যিই। :-----হুমম। :-----আচ্ছা তাহলে..... কথাটা শেষ করার আগেই..... চলবে......
Parent