বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ (সম্পূর্ণ) - অধ্যায় ২০

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-23361-post-1836854.html#pid1836854

🕰️ Posted on April 13, 2020 by ✍️ Biddut Roy (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1531 words / 7 min read

Parent
পর্ব-২০ ------------------------------------ আরে এতো সকালে বৃষ্টির শব্দ।আরে এটা তো আমার মোবাইলের রিং টোন। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখি নিলা কল করেছে। কি আর করার। ঘুমের চোদ্দটা বেজে গেলো।ফোনটা ধরে.... :-----উমম হ্যালো।(আমি) :-----বিরক্ত করে ফেললাম নাকি।(নিলা) :-----আরে কি যে বলো না তুমি।তুমি বিরক্ত কেনো করতে যাবে :-----আমি তো এমনিতেই বলছিলাম।(বলেই হো হো করে হেসে উঠলো) :-----আজ আমার নিলা পরীটাকে খুব খুশি খুশি লাগছে।ব্যাপারটা কি। :-----ব্যাপারটা হচ্ছে কিছুই না।শুধু শুধু তোমার ঘুম ভাঙালাম।তুমি জানো না তোমার ঘুম ভাঙাতে আমার কত ভালো লাগে। :-----তা তো জানি ই।-(আমার জীবনটাকে তেজপাতা করছো আর কি)-বিড়বিড় করে কথাটা বললাম। :-----ওই বিড়বিড় করে কি বলছো। :-----না কিছু না। :-----আচ্ছা উঠেই যখন গেছো ফ্রেশ হয়ে আমাকে পিক করে নিয়ে যাও।একটু ঘোরাঘুরি করে কলেজে চলে যাবো। :-----সব ই তো বুঝলাম।কিন্তু আমার ঘুম ভাঙানোর ওষুধ কে দিবে। :-----তোমার আবার কিসের ওষুধ। :-----আমি কি জানি। :-----উম্মাহ।নাও এখন ওঠো।। :-----এইতো উঠে গেছি। :-----আচ্ছা বাই।ফ্রেশ হয়ে খাওয়া শেষ করে কল করবে।মনে যেনো থাকে। :-----যথা আজ্ঞা। কি করার উঠে গেলাম। হালকা হালকা শীত অনুভূত হচ্ছে। ধ্যাত এতো সকালে কেউ ঘুম ভাঙ্গায়। আম্মু বা আপু কেউই আমাকে এতো সকালে ডাকে না। আর ভুলেও যদি ডাকে তাহলে বাড়ি মাথায় তুলে ফেলি। কিন্তু এখানে আর কিছু বলার থাকে না। প্রতিদিন সময় করে আমার ঘুম ভাঙায়। যাইহোক উঠে ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। কলেজের এখনো অনেক বাকি। একে তো সকাল তার সাথে আবার হালকা শীত। তাই আর বাইক নিলাম না। গাড়ি নিয়ে নিলাম। নিলাদের বাসার সামনে পৌছে গেছি। এই রে কল করতে একদম ভুলে গেছিলাম। দেখি একটা কল করে। :-----ওই তোর ফ্রেশ হতে এতক্ষণ লাগে।তুই কি বাথরুমে ঘুমিয়ে পড়েছিলি।(কিছুটা রেগে) :-----আরে এতো রাগ করো কেনো বাবু।মনে ছিলো না।বাইরে দেখো আমি গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।(আমি) :-----সত্যি তো।(নিলা) :-----হ্যাঁ তিন সত্যি। :-----ওকে একটু ওয়েট করো আমি আসছি।আজ কলেজে যাবো না।ঘুরবো সারাদিন। :-----মানে কি। লাইনটা কেটে গেলো। কিছুক্ষন পরে নিলার আগমন। :-----এহুম এহুম।(কাশি দিলো) আমার কি ওইদিকে খেয়াল আছে নাকি। :-----এই আকাশ ।চলো আমি এসে পড়েছি তো। :-----ওহ।তুমি কখন আসলে। :-----যখন তুমি হা করে আমার দিকে তাকিয়ে ছিলে। :-----ওহ। :-----হুমম।এখন চলো। :-----হুমম।কিন্তু কোথায় যাবো :-----আগে চলো তো পরে দেখা যাবে কোথায় যাই। :-----আচ্ছা। :-----এইতো গুড বয়। :-----গান শুনবে। :-----উমম কথাটা মন্দ না। :-----(ফির মোহাব্বাত কারনে চালা) গান শুনছি দুজনেই। আর নিলা আমাকে রাস্তা বলে দিচ্ছে যে কোথায় যাব। রাস্তায় মার্কেটে নামলাম। বাচ্চাদের জন্য অনেক জামা-কাপড় শীতের। বৃদ্ধদের জন্যেও কিছু শীতের জামা-কাপড়। কিছুই বুঝলাম না কোথায় যাচ্ছি। নিলাকে জিজ্ঞেস করলাম। বললো গেলেই নাকি দেখতে পাবো। অনেকক্ষণ পরে গন্তব্যে পৌঁছালাম। কোথায় আসলাম। :-----নামো চলে এসেছি।(নিলা) :-----কিন্তু কোথায় আসলাম।(আমি) :-----আরে আগে চলো তো ভিতরে। :-----হ্যাঁ চলো। অনেক বড় যায়গাটা। অনেক বড় ঘাস যুক্ত মাঠ। মাঝে একটা রাস্তা। পরিবেশটা খুব মনোরম। :-----এই কোথায় সব।(নিলা) নিলার ডাক শুনেই কতগুলো বৃদ্ধ এবং শিশু চলে আসলো। এখন বুঝলাম এটা বৃদ্ধাশ্রম এবং এতিমখানা একসাথে। সবাই নিলাকে পেয়ে খুব খুশি। কেমন আছে,এতদিন পরে মনে পড়লো এইসব প্রশ্ন সবার মুখে। নিলাকে ও খুব খুশি দেখাচ্ছে। নিলাকে এর আগে অনেক খুশি দেখেছি কিন্তু আজ ওর চেহারাতে অন্যরকম একটা উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি। খুব ভালো লাগছে দেখতে। :-----এটা কে?(একজন বৃদ্ধা) :-----পরিচয় করিয়ে দিতে ভুলেই গিয়েছিলাম।এটা হচ্ছে তোমাদের মেয়ের জামাই।(নিলা) :-----আপু দুলাভাই না অনেক কিউট।(একটা বাচ্চা বলে উঠলো) :-----তোমাদের সবার জন্যে নতুন কাপড় এনেছি।শীত তো চলেই এসেছে।(নিলা) :-----এগুলো আবার কেনো আনতে গেলি।তুই এসেছিস এটাই বড় কথা।(একজন) :-----কি যে বলো না তোমরা।ভিতরে যাবো নাকি এখান থেকেই বিদায় করে দিবে।(নিলা) :-----তোকে পেয়ে সবকিছু একদম ভুলে গেছিলাম।(একজন) :-----হুমম চলো।(নিলা) আমি বোকার মতো দাঁড়িয়ে আছি। :-----এই আকাশ ভিতরে আসো।(নিলা) :-----হুমম।হ্যাঁ চলো।(আমি) ভিতরে গেলাম। :-----আরে নিলা মা কেমন আছো।(একজন মধ্য বয়স্ক ব্যক্তি) :-----হুমম।আঙ্কেল ভালো তুমি কেমন আছো।(নিলা) :-----এইতো ভালো।বাসায় সবাই ভালো আছে তো।(মধ্য বয়স্ক লোকটা) :-----হুমম।সবাই ভালো।এখানকার কি খবর।সবকিছু ঠিকঠাক চলছে তো।(নিলা) :-----হুমম। সবার সাথে অনেক মজা করলাম। নিলাকে খুব খুশি লাগছে। প্রায় দুপুর হয়ে গেছে। তাই বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। সবাইকে বিদায় জানিয়ে চলে আসলাম। আমারও খুব ভালো লাগলো সবার সাথে সময় কাটাতে। গাড়িতে ওঠলাম। :------এবার বলো।(আমি) :------এটা একটা বৃদ্ধাশ্রম।দেখতেই তো পেলে।আমি মাঝে মাঝে এখানকার মানুষের সাথে সময় কাটাই।এবার অনেকদিন পরে আসা হলো।(নিলা) :------হুমম।খুব ভালো কাজ করেছো আমাকে সাথে নিয়ে এসে। :------খুব ভালো লেগেছে না। :------হুমম খুব। নিলাকে বাসায় পৌছে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। খুব ক্লান্ত লাগছে। তাই বিশ্রাম নিতে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। উঠে দেখি সন্ধ্যা হয়ে গেছে। নিলা ও কল করেনি। কারণ ও জানে আমি খুব ক্লান্ত। দেখি নিলাকে একটা কল করে। :------হ্যালো ঘুম ভেঙেছে।(নিলা) :------তুমি কিভাবে জানলে আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।(আমি) :------তোমার বাসায় আমার সিক্রেট এজেন্ট লাগানো আছে। :------ওহ তাই বলো :------হুমম তাই। :------কি করো নিলা পরী। :------এইতো কারো সাথে কথা বলছি আর কি। :------আমি এখন কারো হয়ে গেলাম। :------আরে বাবু রাগ করো কেনো।আমি তো এমনিই বলেছি। :------আমিও তো এমনিই রাগ করেছি। :------তুমি আসলেই পাগল হয়ে গেছো। :------হুমম।তোমার জন্যেই। :------জানি। কথা বলতে বলতে রাত হয়ে গেছে। :------এই শোনো না। :------হুমম।বলো আমি শুনছি। :------আমি ফুসকা আর আইসক্রিম খাবো। :------কি বলছো শুনতে পাচ্ছি না। :------আমার এখন ফুসকা আর আইসক্রিম খেতে ইচ্ছা করছে। :------মনে হয় নেটওয়ার্কে সমস্যা। :------রাখলাম বাই।তুই থাক তোর নেটওয়ার্ক নিয়ে। :------আরে.....হ্যালো হ্যালো...... কল টা কেটে দিলো। এ কেমন পেরায় পড়লাম। আল্লাহ্ বাঁচাও। কি করার নিলার বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম বাইক নিয়ে। . . . . পরের দিন সকালে নিলা মোবাইল অন করতেই অবাক। আকাশের একটাও কল নেই। একটা অপরিচিত নাম্বার থেকে অনেকবার কল এসেছে।(কল অ্যালার্ট অন থাকায়) নিলার মনে আলাদা একটা ভয় কাজ করছে। তবুও ফোনটা রিসিভ করলো।নিলাল মনে আলাদা একটা ভয় কাজ করছে।।তবুও ফোনটা রিসিভ করলো। ফোনটা রিসিভ করতেই নিলার হাত থেকে মোবাইলটা পড়ে গেলো। নিলা দাড়ানো থেকে বসে পড়লো। চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়ছে। কি এমন শুনলো যে এরূপ আচরণ করছে। চলুন নিলা আর অপরিচিত নাম্বারের কথপোকথন শুনি- :-----হ্যালো নিলা।(অপরিচিত) :-----কে আপনি।রাতেও এতোগুলা কল করেছেন?(নিলা) :-----আমি রাফি।তোমার মোবাইল বন্ধ কেনো ছিলো।(অনেকটা সংকোচ নিয়ে কথাগুলো বলছে রাফি) :-----কি হয়েছে তুমি এমন করে কথা বলছো কেনো।আকাশ....আকশের কিছু হয়নি তো।রাতে একটাও কল করেনি। :-----আ.....আকাশ....(বলেই কান্না শুরু করে দিলো রাফি) :-----কি হয়েছে কান্না করছো কেনো।বলো আমাকে।আকাশ ঠিক আছে তো। :-----কালকে রাতে আকাশের এক্সিডেন্ট হয়েছে।এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে।(বলেই কান্না শুরু করে দিলো রাফি।রাফি আকাশকে ছাড়া কিছুই বুঝে না।অনেক ছোটবেলার বন্ধুত্ব) এই কথা শুনেই নিলার এরূপ আচরণ করলো। নিলার পায়ের নিচের মাটি সরে যাচ্ছে মনে হচ্ছে। এটা আমি কি করলাম। আমি নিজেকে কখনো ক্ষমা করতে পারবো না। ইতিমধ্যে নিলার আম্মু আর নিশা হাজির। :-----কিরে নিলা ওভাবে কান্না করছিস কেনো।(নিলার আম্মু) নিলা কান্না করেই চলেছে। :-----কি হয়েছে কিছু বলছিস না কেনো। :-----আম্মু......আ.....আকাশ নাকি এক্সিডেন্ট হয়েছে।(বলেই হাউমাউ করে কেঁদে উঠলো। :-----কি বলছিস।এখন কোথায় আছে। :-----মেডিকেলে। :-----তাহলে বসে আছিস কেনো।তাড়াতাড়ি চল। :-----হ্যাঁ চলো। তারপর নিলার পরিবার ঢাকা মেডিকেলে চলে গেলো। গিয়ে দেখে সবাই বসে আছে। আকাশের আম্মু আর আপু অনেক কান্না করছে। :-----তুই এসেছিস নিলা।(আপু) :-----হুমম।(নিলা) :-----দেখ না কি থেকে কি হয়ে গেলো। :-----কি হয়েছে।আকাশ কোথায়।আমি ওর সাথে দেখা করবো। :-----কিছু যায়গায় ব্রোন ফ্রাকচার হয়ে গেছে।অনেক কেটে ও গেছে। :-----আমি ওর সাথে দেখা করবো। :-----এখন ঘুমের ইনজেকশন পুশ করেছে। :-----তবুও আমি দেখতে যাবো।আমাকে নিয়ে চল। :-----চল। তারপর নিলা আর আপু রোমে গেলো। গিয়ে দেখে আকাশ ঘুমিয়ে আছে। মাথায়,হাতে,পায়ে অনেক যায়গায় ব্যান্ডেজ করা। দেখেই নিলা আবারও কেঁদে উঠলো। দুপুরে নিলয়ের জ্ঞান ফিরলো। চারদিক তাকিয়ে দেখলাম আমি হসপিটালের বেডে আছি।কালকে রাতের কথা মনে পড়লো।নিলাদের বাসায় যাচ্ছিলাম।তখনই একটা ট্রাক ব্রেক ফেইল হয়ে আমার দিকে আসছিলো।আমি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে রাস্তার রেলিংয়ের সাথে ধাক্কা খাই।পরে আর কিছু মনে নেই। পুরো শরীর ব্যথা করছে। ইতিমধ্যে বাসার সবাই উপস্থিত হলো। নিলা,রাফি,নিশা আর আন্টি ও আছে সাথে। :-----আকাশ বাবা কিভাবে এমন হলো।(আম্মু) :-----আর বলো না।(আমি) :-----এতো রাতে তুই কেনো বেরোতে গেলি।(আম্মু) :-----এইতো একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলাম।ভাগ্য ভালো নয়তো ট্রাকের নিচে চাপা পড়তাম।(আমি) :-----এসব কি বলছিস।(আম্মু) :-----একটা ব্রেক ফেইল ট্রাক থেকে বাঁচার জন্য গাড়ি অন্য দিকে নিতে গিয়ে এই অবস্থা যাক আল্লাহ্ তায়ালা বাঁচিয়েছে।(আমি) :-----আচ্ছা রেস্ট নে।(আম্মু) :-----হুমম।(আমি) নিলা আমার সাথেই থেকে গেলো। মুখটা একদম শুকিয়ে গেছে। খুব করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। :-----সবকিছু আমার জন্য হয়েছে।(কান্না শুরু করে দিয়েছে) :-----কি বলো।তোমার জন্য কেনো হবে।(আমি) :-----হুমম।আমি এতো রাতে জেদ না করলে এমনটা হতো না।(নিলা) :-----কিছু হয়নি আমার। :-----তা তো দেখতেই পাচ্ছি। :-----হুমম।আমি একদম ঠিক আছি। :-----হুমম।চুপ করে শুয়ে থাকো।আমি খাইয়ে দিচ্ছি চুপ করে খেয়ে নাও।। :-----হুমম। :-----আমি রাগ করলেই কি সব করতে হবে।(আমাকে খাইয়ে দিতে দিতে বললো) :-----আমার নিলা পরী বলেছে আমি না করে পারি। :-----তোমার যদি কিছু হয়ে যেত।(বলেই কান্না শুরু করে দিয়েছে) :-----কান্না করছো কেনো। কান্না করেই চলেছে। :-----কান্না বন্ধ করো। :-----হুমম।(চোখের পানি মুছতে মুছতে) আমাকে খাইয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলো। :-----আমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছি।ঘুমোনোর চেষ্টা করো। :-----সারাদিন তো ঘুমিয়েই ছিলাম। :-----তবুও। :-----আচ্ছা।সব ওষুধ দিয়েছো। :-----হুমম। :-----সব দিয়েছো। :-----ওহ ভুলে গিয়েছিলাম। (কপালে একটা ছোট্ট করে চুমু দিয়ে দিলো) :-----খুশি।এখন ঘুমাও। :-----হুমম। ঘুম ভাঙলো। বুকের উপরে কিছু অনুভব করলাম। নিলা আমার বুকের উপরে মাথা রেখে ঘুমিয়ে আছে। কি মায়াবি লাগছে। অবাধ্য চুলগুলো এলোমেলো হয়ে মুখে এসে পড়েছে। এটা যেনো নিলাকে আরো মায়াবি করে তুলছে। আমি নিলার অবাধ্য চুলগুলো সরিয়ে দিলাম। একটু পরে নিলার ঘুম ভাঙলো। আমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়ায় কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে লজ্জা পেয়ে গেলো। :-----তোমার ঘুম কখন ভেঙেছে।(নিলা) :-----এইতো একটু আগে।(নিলা) :-----একটু ফ্রেশ হয়ে চলো খেয়ে ওষুধ খাবে। :-----হুমম। নিলা আমাকে ধরে ওয়াশরুমে নিয়ে গেলো। রাতে হালকা কিছু খেয়ে ওষুধ খেয়ে নিলাম। রাতে ঘুমিয়ে পড়লাম।(ঘুমের ওষুধ সাথে আছে) পরের দিন সকালে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে আসা হলো। হাসপাতালে আমার ভালো লাগে না তাই। কিছুদিনের জন্য বেড রেস্ট নিতে বলা হয়েছে। এখন আমি প্রায় সম্পূর্ণ সুস্থ। অনেকদিন পরে আজ কলেজে যাচ্ছি। এই কয়েকদিনে নিলা আমার অনেক সেবা করেছে। আমার বাইক চালানো ও কিছুদিনের জন্য বন্ধ। তাই গাড়ি নিয়ে কলেজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। সাথে আপু ও আছে। প্রথমে নিলাদের বাসায় যেতে হবে। আপু নিলাকে কল করলো। একটু পরে নিলা বেরিয়ে আসলো। অনেকদিন পরে আজ নিলাকে আবার নতুন রূপে দেখছি। এতোদিন আমার চিন্তায় কেমন যেনো এলোমেলো হয়ে গিয়েছিলো। আজ খুব সুন্দর আর মায়াবি লাগছে। নতুন করে ওর প্রেমে পড়ছি। :----আজ কি কলেজে যাওয়া হবে নাকি।(আপু) চলবে..........
Parent