বড় আপুর বান্ধবী যখন বউ (সম্পূর্ণ) - অধ্যায় ২১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-23361-post-1836872.html#pid1836872

🕰️ Posted on April 13, 2020 by ✍️ Biddut Roy (Profile)

🏷️ Tags:
📖 1398 words / 6 min read

Parent
পর্ব-২১ ------------------------------------ আপুর কথায় ধ্যান ভাঙলো। :-----ধ্যাত দিলি তো ধ্যান টা ভেঙে।(আমি) :-----এতো ধ্যান করে তাকিয়ে থাকার কি আছে।(আপু) :-----আরে কতদিন পরে এভাবে দেখছি বল তো। :-----হুমম।সেটাও ঠিক।কিন্তু কলেজে ও তো যেতে হবে নাকি। :-----হুমম যেতে তো হবেই।কতদিন ধরে যাওয়া হয় না।(আমি) :-----কি কথা হচ্ছে।আমাকে নিয়ে কিছু কথা হচ্ছে না তো।(বলেই ভুবন ভোলানো হাসিটা দিলো) (ক্রাশ খেতে ভালোই লাগে) রাস্তায় আর বেশি কথা হয়নি। কারণ আপু আর নিলা একসাথে থাকলে আমার কথা কারোরই মনে থাকে না। এটাই বুঝি না। দুজনেরই আমি কলিজার টুকরা। কিন্তু আমার মূল্য মাঝে মাঝে থাকে না। যা কিছুই হোক সবশেষে আমিই আপুর আর নিলার দুনিয়া। যাক কলেজে পৌঁছে গেলাম। আপু আর নিলাকে নামিয়ে দিয়ে গাড়ি পার্ক করতে চলে গেলাম। কলেজে ঢুকলাম। কিছুটা অন্যরকম লাগছে কলেজটা। কেমন যেনো মানুষ কম। ক্লাসে গিয়ে দেখি খুব সুন্দর করে সাজানো ক্লাসটা। আরে আজ তো কোনো ফাংশন ও নেই। তাহলে এর মানে কি। এমন সময় কিছুটা জোরে শব্দ হয়ে উঠলো। আমি একদম ভয় পেয়ে গেছি। অনেক মানুষ (আপুর ক্লাসমেট+আমার ক্লাসমেটরা+কিছু সিনিয়র ভাই ও আছে+কিছু স্যাররা ও আছেন) সবাই একসাথে বলে উঠলো....... Happy Birthday To You........ Happy Birthday Dear Akash...... Happy Birthday To You...... আমি তো পুরাই অবাক। আরে ভুলেই গিয়েছিলাম আজ তো আমার জন্মদিন। কলেজের স্যারদের সাথে আমার সম্পর্ক খুব ভালো। :-----শুভ জন্মদিন আমার কিউটু ভাইটা।(আপু) :-----Happy Birthday Dost.....(রাফি) একে একে সবাই বার্থডে উইশ করলো। একমাত্র নিলা এখনো উইশ করেনি। হয়তো সারপ্রাইজ দেবে। তারপর কেক কাটা হলো। আজ আর ক্লাস করা হলো না। খুব সুন্দর করে দিনটা উদযাপন করা হলো। আমারও খুব ভালো লাগলো। এতোদিন পরে বাসা থেকে বের হওয়ার প্রথম দিনই এতো ভালো একটা সময় কাটানো হলো। সবাইকে ধন্যবাদ জানালাম। কলেজ শেষ করে আপু আর নিলাকে নিয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। তারপর আপু আর নিলাকে নিয়ে বাসায় গেলাম। আমি আমার রোমে চলে গেলাম। সারাদিনের ক্লান্তি তাই ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। এসে দেখি আম্মু,আপু আর নিলা কথা বলছে। ইতিমধ্যে আব্বুর আগমন। :-----আকাশ ।(আব্বু) :-----হুমম আব্বু বলো।(আমি) :-----সন্ধ্যায় নিলার আর রাফির পরিবারের সবাইকে দাওয়াত করা হয়েছে।তোমার বন্ধু থাকলে সাথে নিয়ে এসো।আর বেশি রাতে বাসার বাইরে থেকো না আজ। :-----আচ্ছা তাহলে এখন গেলাম। :-----হুমম। :-----আপনাকে কি ইনভাইট করতে হবে নাকি নতুন করে।(আমি) :-----আব্বু দেখো না তোমার ছেলে আমার সাথে কেমন ব্যবহার করছে।(ন্যাকা কান্নার ভাব করে) :-----আকাশ এটা তোমার কেমন ব্যবহার।(আব্বু) আমি চুপ করে থাকলাম। :-----এখন চুপ করে আছো কেনো।উত্তর দাও।এখন চলো।(কিছুটা ভাব নিয়ে) :-----হুমম।(আমি) অনেকদিন যাবত বাইক চালানো হয় না। যদিও আমি বাইক ছাড়া থাকতে পারি না। তবুও এক্সিডেন্টের কারনে কিছুদিন বাইক চালানো বন্ধ ছিলো। যাইহোক আজ বাইক নিয়েই বের হবো। পড়ন্ত বিকাল। এখনকার আবহাওয়াটা আমার খুব ভালো লাগে। বাইকটা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। নিলা আমাকে হালকা জড়িয়ে ধরে বসেছে। অনেকদিন পরে আবার এই অনুভূতি। :-----তুমি আমার নামে বিচার দিলে কেনো।(আমি) :-----তোমার একা আব্বু-আম্মু নাকি।(কিছুটা ভাব নিয়ে) :-----সেটাও ঠিক।(আমি) :-----হুমম।(নিলা) :-----এতটুকু ব্যাপারে আবার বিচার দিতে হয়। :-----হি হি।তোমাকে একটু বকা খাওয়ালাম আর কি। :-----পাগলী একটা। :-----জানো এই কয়দিন এই সময়গুলোকে খুব মিস করেছি। :-----হুমম।আমিও খুব মিস করেছি। ধ্যাত ট্রাফিক জ্যামে আটকা পড়ে গেলাম। :-----ভাইয়া ফুল নিবেন।ভাইয়া ফুল নিয়ে নেন।(একটা মেয়ে।বয়স বেশি হবে না) :-----এই তোমার নাম কি।(আমি) :-----ঝুমকি।(মেয়েটা) :-----তা ঝুমকি ফুল কত টাকা করে বিক্রি করো।(আমি) :-----পনেরো টাকা করে।আপুকে দেন।আপু খুব খুশি হবে।(ঝুমকি) :-----আচ্ছা সবগুলো ফুল আপুর হাতে দিয়ে দাও।আর এই নাও।(আমি) :-----ধন্যবাদ ভাইয়া।(বলেই খুব সুন্দর একটা হাসি দিলো।মনে হয় অনেক খুশি হয়েছে) নিলার ও ফুলগুলো পছন্দ হয়েছে। একটা রেস্টুরেন্টে গেলাম। এখন নিলা আমাকে বার্থডে উইশ করলো। সবার সাথে উইশ করলে তো একই হয়ে যেতো এটা ভেবেই হয়তো এখন করলো। তারপর আমি আর নিলা কিছুক্ষন ঘোরাঘুরি করে বাসায় ফিরে আসলাম। একটু তাড়াতাড়িই চলে আসলাম। বাসায় গিয়ে নিলা সরাসরি আপুর রোমে চলে গেলো। :-----আকাশ রাফিকে একটা কল করে দেখো তো।(আব্বু) :-----হুমম দেখছি।(আমি) রাফিকে কল করলাম। :-----হ্যালো দোস্ত।(রাফি) :-----কোথায় আছিস।(আমি) :-----এইতো রওয়ানা দিয়েছি। :-----আচ্ছা সাবধানে আসিস।(আমি) :-----ওকে বাই। :-----আব্বু ওরা রওয়ানা দিয়েছে।(আমি) :-----আচ্ছা নিজের রোমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ড্রেস চেঞ্জ করো।(আব্বু) :-----হুমম।(আমি) দেখি ইভান কে একটা কল করে দেখি।(Season-1 এ ব্যবহৃত আল-আমীনের পরিবর্তে ইভান নাম ব্যবহৃত করা হবে) :-----হুমম দোস্ত।এইতো এসে পড়েছি।আর কিছুক্ষণ লাগবে।(ইভান) :-----আচ্ছা।(আমি) একটু বিশ্রাম নিলাম। একটু পরেই ইভান চলে আসলো। :-----চলে এসেছি।(ইভান) :-----হুমম বস।(আমি) একটু পরে একে একে সবাই উপস্থিত হয়ে গেলো। এরপর সবাই আবারও একসাথে আমাকে উইশ করলো। নিলা আর আপু একরকম রঙের শাড়ি পড়েছে। নিলাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছে। সবাই আছে বলে কোনোরকমে চোখ ফিরিয়ে নিলাম। সবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো আগামী সপ্তাহে আপু আর রাকিব ভাইয়ার বিয়ে। একদিকে যেমন খুশি লাগছে অন্যদিকে তেমনই। একদিকে যেমন খুশি লাগছে অন্যদিকে তেমনই খুব খারাপ লাগছে। আপুকে ছাড়া কখনো থাকিনি। আমিও বেড়াতে বা ট্যুরে গেলে আপু তাড়াতাড়ি চলে আসতে বলতো। বাসায় আছিই তো আমরা দুজন। এখন আপু চলে গেলে বাসা টা একদম খালি হয়ে যাবে। ভাবতেই কেমন কান্না চলে আসছে। কিন্তু কি আছে করার। মেয়েদের তো একদিন না একদিন বাবার বাড়ি থেকে চলে যেতে হয়। রাফিদের বাসা আমাদের থেকে অনেক দূরে না। যখন মন খারাপ হবে তখন গিয়ে দেখে আসতে পারবো। সবাই যাওয়ার জন্যে বিদায় নিয়ে নিলেন।নিলা ও চলে গেলো। নিলাকে আজকে দারুণ লাগছিলো। সবাই সাথে থাকার পরও আড়চোখে দেখেছি অনেকবার। প্রত্যেকবারই নিলা লজ্জায় মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই চলে গেলো। অনেক রাত হয়ে গেছে। তাই আর বাইরে আড্ডা দিতে গেলাম না। এখন তো আবার ঘুমানো ও যাবে না। নিলা গিয়ে আমাকে কল করবে তারপর ঘুমোতে যাবো। তাই একটু ফেসবুক থেকে ঘুরে আসি। একটু পরে নিলার কল। :-----হুমম।ঠিকমতো পৌঁছে গেছো তো।(আমি) :-----হুমম।(নিলা) :-----কি করছ এখন নিলা পরী। :-----এইতো ফ্রেশ হয়ে তোমাকে কল করলাম।তুমি কি করছো পিচ্চু। :-----এইতো আমার নিলা পরীটার কলের অপেক্ষায় বসে ছিলাম। :-----হুমম ভেরি গুড। :-----তোমাকে না আজকে খুব সুন্দর লেগেছে। :-----ওহ।বাকি দিন অসুন্দর লাগে তাই তো। :-----আরে না কি বলো তুমি।তোমাকে তো যখন দেখি তখনই অনেক সুন্দর লাগে। :-----তবে বললে যে। :-----বললাম আজ অন্যদিনের থেকে বেশি সুন্দর লাগছিলো। :-----তাই নাকি পিচ্চু। :-----হুমম তাই।সিনিয়র পরী নিলা ম্যাডাম। :-----হি হি। নিলার সাথে কথা বলতে বলতে অনেক রাত হয়ে গেছে। :-----এই শোনো।(নিলা) :-----হুমম শুনছি বলো।(আমি) :-----আমাদের ভবিষ্যত বাবুদের নাম কি রাখবে। :-----তুমি বলো। :-----না তোমার পছন্দের নাম নেই কোনো। :----না তেমন কোনো পছন্দ করা তো নেই। :-----আচ্ছা ভাবতে থাকো আমিও ভেবে দেখি। :-----আচ্ছা। :-----এই আমাদের ছেলের নাম নীল রাখলে কেমন হয়। :-----তোমার পছন্দ এইটা। :-----হুমম খুব পছন্দ। :-----তাহলে এটাই রাখা হবে নিলা পরীর ছেলে-বাবুর নাম। :-----শুধু আমার। :-----মজা করছি। :-----এবার বলো মেয়ে-বাবুর নাম কি রাখা যায়। :-----মুহাত নামটা কেমন। :-----ওয়াও তোমার পছন্দ কতো সুন্দর। :-----তুমি ও তো আমারই পছন্দ। :-----হুমম। :-----আচ্ছা তাহলে ঘুমাও।কালকে কলেজে যাবে। :-----না।আজকে খুব ক্লান্ত লাগছে। :-----আচ্ছা তাহলে এখন ঘুমাও। :-----হুমম বাবু গুড নাইট। :-----আমি তোমার থেকে জুনিয়র বলে বাবু বলো। :-----না এটাতো ভালোবেসে বলি। :-----আচ্ছা বাই তাহলে। :-----ওকে। ঘুমিয়ে পড়লাম। পরের দিন সকালে প্রতিদিনের মতো নিলার কলেই ঘুম ভাঙলো :-----উমম হ্যালো।(আমি) :-----এখনো ঘুম শেষ হয়নি।(নিলা) :-----হুমম হলো তো। :-----ওকে তাহলে কলেজে যাও। :-----আচ্ছা। ফ্রেশ হয়ে হালকা কিছু খেয়ে চলে গেলাম কলেজে। বাইকটা পার্ক করে ভেতরে ঢুকবো এমন সময় কারো ডাক। তাকিয়ে দেখি কয়েকটা ছেলে। অনার্স তৃতীয় বা শেষ বর্ষের হবে। গেলাম তাদের কাছে। :-----জ্বি ভাই বলেন।(আমি) :-----কোন ক্লাস।(একজন) :-----ইন্টার সেকেন্ড ইয়ার।(আমি) :-----এটা নিয়ে ওই মেয়েটাকে প্রপোজ কর যা।(একটা মেয়েকে দেখিয়ে বললো) :-----কেনো? আমি তো ওই মেয়েকে চিনি ও না।(ভদ্র সাজলাম) :-----ওই যেইটা বলা হয়েছে সেইটা কর।(সাথের অন্য একটা ছেলে বলে উঠলো) :-----রেগ করছেন নাকি।(আমি) :-----ওই আমরা তোর কত বছরের সিনিয়র জানিস।মুখে মুখে তর্ক করছিস কেনো। :-----প্লিজ ভাই এমন করবেন না।মেয়েটা আমাকে খুব মারবে।(মজা নিচ্ছি আর কি) :-----যা বলা হয়েছে সেইটা কর। এমন সময় রাফি আর রাকিব ভাইয়ার আগমন। :-----কি হচ্ছে এখানে।(রাকিব ভাইয়া) :-----আরে রাকিব ভাই।কেমন আছেন।(সবাই বললো) :-----হুমম ভালো।(রাকিব ভাইয়া) :-----কিছু না ভাই।ওকে একটু কলেজের নিয়ম কানুন শেখাচ্ছিলাম আর কি। :-----তা কি শেখাচ্ছিলে।(রাকিব ভাইয়া) :-----না ভাই তেমন কিছু না। :-----তাহলে তোমরা ওকে প্রাক্টিক্যাল করে দেখিয়ে দাও।(রাকিব ভাইয়া) :-----ঠিক বুঝলাম না ভাই। :-----ওকে কি শেখাচ্ছিলে সেটা প্রাক্টিক্যাল করে দেখাও।(রাকিব ভাইয়া) :-----সরি ভাই। :-----আকাশ তোমাকে কি করতে বলেছে।(রাকিব ভাইয়া) :-----তেমন কিছু না।শুধু ওই মেয়েটাকে প্রপোজ করতে বলেছে আর কি।(আমি) :-----ওই তোদের কানে কি কথা যায় না।যা বলেছি তা কর।(রাকিব ভাইয়া) :-----ভাই এবারের মতো ক্ষমা করে দেন। :-----ক্ষমা তো সাধারণ মানুষকে রেগ করালে করা যায়।কিন্তু আমার ছোট ভাইকে রেগ করলে কি তোদের ক্ষমা করা যাবে।তাই যা বললাম তাই কর।(রাকিব ভাইয়া) তারপর যে ছেলেটা প্রথমে আমাকে রেগ করেছিলো তাকে পাঠানো হলো ওই মেয়েকে প্রপোজ করার জন্য। :-----দোস্ত আর কোনো খারাপ ব্যবহার করেনি তো তোর সাথে।(রাফি) :-----না আর কি খারাপ ব্যবহার করবে।(আমি) :-----করলে বল।ওদের বুঝিয়ে দিই মানুষ না চিনে রেগ করার পরিনতি কি।(রাফি) :-----না ঠিক আছে।(আমি) ওইদিকে ছেলেটি ওই মেয়েটিকে যেই প্রপোজ করলো। তেমনি ঠাআআআ ঠাআআআস করে দুইটা বসিয়ে দিলো। :-----ওই শোন বলে দিচ্ছি।এরপর যদি কোনোদিন ওর সাথে কোনো খারাপ ব্যবহার করিস তাহলে তোদের খবর আমি নিজে নিবো।(রাকিব ভাইয়া) :-----জ্বি ভাই। :-----মনে যেনো থাকে।(রাকিব ভাইয়া) :-----মনে থাকবে ভাই। :-----আচ্ছা রাফি ক্লাসে যা বাই।(রাকিব ভাইয়া) :-----ওকে।(রাফি) তারপর যেই ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলাম আমি আর রাফি তেমনি আমার চোখ পিছন থেকে ধরলো। :-----এই কোন শালায় রে।থুক্কু আমার তো কোনো শালা ই নেই।কোন শালী রে।(আমি) :-----আমি। কন্ঠটা পরিচিত লাগছে। চোখ ছেড়ে যেই সামনে সামনে আসলো আমি তো পুরাই অবাক....... চলবে......
Parent