বউকথাঃ শালু by jewelight - অধ্যায় ৪৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38439-post-3442969.html#pid3442969

🕰️ Posted on July 1, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 391 words / 2 min read

Parent
বাড়িতে নারায়ণ মাষ্টারের (স্যারের) আগমনঃ বুধবার ছিল দিনটা, সকালে উঠেই আমি চান করে কলেজের জন্য রেডি হই, শালু টিফিন আনতে যায় রান্না ঘরে; এই ফাঁকে আমি আমার ঘরের শেলফে রাখা ক্যামেরাটা অন করে চেক করে ফিট করি; মনে মনে বলি ঃ যা হোক এটা আজ ফেল না মারলেই হোল। যাবার সময় শালুকে বলে যাই, নারায়ণ মশায় আসলে একটা মোবাইল করে দিও আমায়। শালু বলে আসার সময় মিষ্টি নিয়ে আসতে, গেস্ট খওয়ানোর পরে মিষ্টি দিতেই হয়; বলি কোন মিষ্টি আনব, শালু আমায় বলে ঃ মিষ্টির দোকানে যখন ঢুকবে আমায় তখন ফোন দেবে অবশ্যই, আমি ওতেই বলে দেব কি নিতে হবে। বুঝলাম চালাকি এটা, বাসায় ঢোকার আগে জানতে চাইছে কখন ঠিক আমি দরজায় করা নাড়ব; এতো বুদ্ধি মেয়েদের বাপরে!! যা হোক, কলেজে গিয়ে ক্লাস নিলেম ঠিক মতোই বিচলিত না হয়ে। কারন, আমি তো জানিই যে শালু তার অতীতকে এখনও শরীরে ধারণ করে, আরে, নিজেই দেকেছি সেটার ভিডিও ফাইলও আমার কাছেই আছে। এখন শুধু প্রমানের অপেক্ষা যে নারায়ণ মাষ্টার এর ব্যাপারে বলা রিনির কথা কতোটা সত্য। বেলা ১১ তার দিকে শালু মোবাইল করে আমায় জানালঃ নারায়ণ স্যার এয়েচেন, সাথে উনার বউ, মেয়ে আর শাশুড়িও আছেন; আমি বল্লেম ভাল তো, খুব করে যত্ন কর।শালু খুব খুশী, মাষ্টার মশায় আমাদের জন্য দই, পীঠে আর ওনার গ্রামের তাঁতির বানানো গামছা নিয়ে এয়েচেন বলে জানতে পারলাম। আমি ঠিক ঠাক কাজ সেরে নিচ্ছিলেম তাড়াহুড়ো না করে; রতন দার সাথে আড্ডায় মেতে উঠলেম বেশ কিছুক্ষণ ক্লাসের ফাঁকে।রতন আমায় জিজ্ঞেস করে কি সমস্যা ছিল যার জন্য ছুটি, আমি ইতস্তত করে ইয়ে ইয়ে করি, কারন সে গতকাল ভুল ভেবেছিল যে, আমিই অন্য কার সাথে ফিল্ডিং দিয়ে বেড়াচ্ছি। তাই একটু ঘুরিয়ে বললামঃ দেখ দাদা তোমায় ভরসা করে বলচি, আমার কানে এসেছিল আমার বউএর কিছু অতিত আছে, আমি তারই খোঁজ খবর নেয়ার জন্য এই ছুটিটা নিয়েছিলাম। রতন দাঃ তাই নাকি, বিয়ের আগে নিতে পারিসনি এই খবর? তো কি পেলি জল ঘোলা করে? আমিঃ এখনও তেমন পাইনি, তবে আলামত পেয়েছি যে ছিল কারুর সাথে চলাফেরা (চেপে গেলুম)। আসল কাহিনী, যা ঘটেছে তা বলি কি করে? সমস্যা ঘনীভূত হলে তোমায় জানাব, হেল্প লাগতেও পারে... রতনঃ হ্যাঁ হ্যাঁ, একা একাই চেপে রেখে কষ্ট পাস নে; শেয়ার করবি, তাতে প্রব্লেম সমাধান হয়ে যাবে অনেক দেকিস। নে ভাই এবার ক্লাসে যাই চল। এভাবে বেলা গড়িয়ে তখন বিকেল সাড়ে ৫; আমি মিঠাইয়ের দোকানে গিয়ে শালুকে কল দিলেম, বললাম কি কি আছে এখানে। এখান থেকেই ৩ রকমের মিষ্টি নিয়ে আমি বাড়ির দিকে রওনা হলাম। কে জানে কি আছে আজ তদন্তের রিপোর্টে।
Parent