চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - অধ্যায় ১২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-17908-post-1053404.html#pid1053404

🕰️ Posted on November 4, 2019 by ✍️ FuckEr BoY (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 556 words / 3 min read

Parent
ডাঃ সুধীর রাও (০৮) পরদিন থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হয়। পুরানো ছেলে মেয়েরা কেউই এই নতুন ব্যাচের ছাত্রদের বেশী ঘাঁটায় না। সুধীরের ক্লাসের ছেলে মেয়েরাও ওর সাথে বেশ সম্ভ্রমের সাথেই কথা বলে। তিন মাস কেটে যায়। সবাই সুধীরকে সন্মান করে কিন্তু কেউ ওর বন্ধু হয় না। সবাই ওর সাথে মেশে, কথা বলে, সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে কিন্তু সুধীরের কেমন যেন মনে হয় সবাই ওকে বেশ এড়িয়ে যায়। কিছুতেই ও বোঝে না কেন এইরকম হচ্ছে। সেই রাগিং এর সন্ধ্যের পরে ও কারো সাথে কোন তর্ক বিতর্কেও জড়ায় নি। কখনও পেশী শক্তির প্রদর্শনও করেনি। সুধীর নিয়মিত ক্লাসে যায়। পড়াশুনা করে। খালি সময় পেলেই লাইব্রেরীতে গিয়ে বসে। ও আগে কোথাও এতো বই একসাথে দেখেনি। ওর গ্রামের স্কুলে নামমাত্র লাইব্রেরী ছিল। সেখানের সব বই ওর স্কুল ছাড়ার অনেক আগেই পড়া হয়ে গিয়েছিলো। ওর ইচ্ছা করতো এই কলেজের লাইব্রেরীরও সব বই পড়ে ফেলে। যদিও জানতো সেটা কোনদিন সম্ভব নয় তাও সময় পেলেই ও লাইব্রেরীতেই গিয়ে বসতো। একদিন প্রথম দুটো ক্লাসের পরের দুটো ক্লাস অফ ছিল। সেদিন ওর লাইব্রেরী যেতে ভালো লাগেনি। তাই কলেজের এক প্রান্তে একটা গাছের নীচে বসে বাড়ির কথা ভাবছিলো। ও মাকে বলেছিলো যে প্রতি মাসে একবার করে বাড়ি যাবে। কিন্তু প্রথম মাসেই শুধু বাড়ি গিয়েছিলো। তারপর আর যায় নি। তাই ভাবছিলো যে এই সপ্তাহের শেষে একবার বাড়ি যাবে। এমন সময় দেখে দুটো মেয়ে ওর দিকে আসছে। তার মধ্যে একটা মেয়েকে ওর চেনা চেনা লাগে কিন্তু ঠিক মনে করতে পারে না। সেই মেয়েটা এসেই সুধীরের পাশে বসে পড়ে। মেয়েটা - কিরে সুধীর জেঠু কেমন আছিস? সুধীর – তোমাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না মেয়েটা – আরে এর মধ্যেই ভুলে গেলি! আমি মায়িল, সেদিন রাতে কত কথা বললি আমার সাথে সুধীর – ওহো তুমি। আসলে জামা কাপড় পড়ে আছো তো তাই তোমাকে চিনতে পারিনি। মায়িল – তুই কি ভেবেছিস আমি সব সময়েই সেদিনের মত বিকিনি পড়ে থাকবো? সুধীর – কিন্তু আমি তো তোমাকে ওই ভাবেই দেখেছি মায়িল – আবার দেখতে চাস ওইভাবে? সুধীর – না মায়িল তুমি এইভাবেই খুব সুন্দর লাগছ, ওইরকম অর্ধ উলঙ্গ দেখার কোন ইচ্ছা নেই। মায়িল – কেন আমার আধখোলা বুক আর তার খাঁজ দেখতে তোমার ভালো লাগে নি? সুধীর – ময়ুরের পালক ছাড়িয়ে নিলে যে ময়ুরের মাংস খেতে বেশী পছন্দ করে তার ভালো লাগতে পারে কিন্তু আমার ময়ুরকে তার পাখমের সাথেই বেশী ভালো লাগে। মায়িল – সত্যি অদ্ভুত ছেলে তুমি সুধীর – আমাকে তখন সুধীর জেঠু বললে কেন? মায়িল – তোমাকে তোমার ক্লাসের সব ছেলে মেয়েই তোমাকে জেঠু বলে ডাকে, সেটা তুমি জান না? সুধীর – না তো মায়িল – আসলে তোমাকে সবাই খুব ভয় পায়। তাই তোমার সামনে বলতে সাহস পায় না সুধীর – আমি কি বাঘ না ভাল্লুক, যে আমাকে সবাই ভয় পায়! মায়িল – তোমার কথা বার্তা বা চালচলন পুরো আলাদা। সুধীর – আমি বুঝতে পারি না মায়িল – আমি তোমাকে খুব ভালো করে বুঝি সুধীর – তুমি আমাকে ভয় পাও না? মায়িল – একটুও না সুধীর – আমার না কোন বন্ধু নেই। তুমি কি আমার বন্ধু হবে? মায়িল – আমি তো তোমাকে সেই প্রথম রাতেই বন্ধু বলে মেনে নিয়েছি সুধীর – তাই? তবে এতদিন আমার সাথে কথা বল নি কেন? মায়িল – তোমাকে দেখতেই পাই না। সব সময় হয় ক্লাসে না হয় লাইব্রেরীতে থাকো। সুধীর – আজ থেকে আমি তোমার সাথে বন্ধুত্ব করলাম। আমি যেখানেই থাকি না কেন তোমার ডাকে সব সময় সাড়া দেবো। মায়িল সুধীরের হাত নিজের হাতের মধ্যে নেয়। মায়িল – এই তোমার হাতে হাত রেখে বলছি তুমি আমার বন্ধু সুধীর – আজ আমার খুব ভালো লাগছে মায়িল – আমারও....
Parent