চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - অধ্যায় ৩৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-17908-post-1101531.html#pid1101531

🕰️ Posted on November 17, 2019 by ✍️ FuckEr BoY (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 452 words / 2 min read

Parent
ডাঃ সুধীর রাও - মায়িল (১২) সবাই ঘরে ফিরে যায়। মায়িল চলে যায় কঞ্জরি দেবীর কাছে। মায়িল – মা তোমার সাথে রান্না করি কঞ্জরি দেবী – কেন মা, তুমি দুদিনের জন্যে এসেছ, আবার কেন কাজ করবে মায়িল – মা সারা বিকাল তো ঘুরলাম। খাবার পরে আবার ঘুরতে যাবো। একটু থাকি তোমার সাথে। কঞ্জরি দেবী – সে আমার কাছে বস না। কিন্তু তোকে কোন কাজ করতে হবে না। মায়িল – আমার হাতে একটা রান্না করতে দাও। বাবা খেয়ে দেখুক এই নতুন মেয়ের রান্না পছন্দ হয় কি না। কঞ্জরি দেবী – তোর আসল ইচ্ছাটা কি বলতো মা মায়িল – কিছু না কঞ্জরি দেবী – আমার মনে হয় আমি বুঝতে পারছি মায়িল – কি বুঝেছ মা? কঞ্জরি দেবী – তুই আমার দুষ্টু মা। আমার ঘরে বরাবরের জন্যে আসতে চাস মায়িল – আমাকে তোমার ঘরে আসতে দেবে মা? কঞ্জরি দেবী – কেন দেবো না। তোর মত লক্ষী মেয়েকে সবাই ভালবাসবে মায়িল উঠে কঞ্জরি দেবীক প্রনাম করে। তারপর একটু লেবুর সরবত বানিয়ে গণেশ রাও এর কাছে নিয়ে যায়। মায়িল – বাবা আপনার সরবত গণেশ রাও – এখন আবার কিসের সরবত মায়িল – এমনি এনেছি আপনার জন্যে গণেশ রাও – তুমি আমাকে বাবা বললে কেন? মায়িল – আমার মা নেই বলে মাকে মা বলে ডাকছি। তাই আপনাকে বাবা বলেই ডাকি? গণেশ রাও – ঠিক আছে বাবা বলো আমি কিছু বলবো না। মায়িল গণেশ রাও এর হাতে সরবত দিয়ে ওনাকে আবার প্রনাম করে রান্না ঘরে মেয়ের কাছে চলে যায়। কঞ্জরি দেবী মায়িলকে কি কি রান্না করতে হবে বুঝিয়ে দিয়ে চলে যান। সব কিছু রান্না মায়িল করে। কঞ্জরি দেবী গিয়ে গণেশ রাও এর কাছে বসে। গণেশ রাও – কি গো রান্না হয়ে গেল এতো তাড়াতাড়ি! কঞ্জরি দেবী – তিন্নিকে রান্না করতে দিয়ে এসেছি গণেশ রাও – মেয়েটা দুদিনের জন্যে এসেছে ওকে রান্না করতে দিলে কেন? কঞ্জরি দেবী – ওই মেয়ে কি আর শুধু দুদিনের জন্যে এসেছে! গণেশ রাও – মানে? কঞ্জরি দেবী – ও মেয়ে এর পরে এই ঘরেই আসতে চায়। গণেশ রাও – তাই! কে বলল? সুধীর কিছু বলেছে নাকি? কঞ্জরি দেবী – তোমার ছেলে কিছু বলেনি। তিন্নি বলল। গণেশ রাও – ঠিক আছে, আমার কোন আপত্তি নেই। ছেলে যাকে পছন্দ করবে তাকেই বিয়ে করুক। সুধীর কিছু বললে তুমি বলে দিও আমার কোন আপত্তি নেই। কঞ্জরি দেবী – আমি জানতাম তুমি কোন আপত্তি করবে না গণেশ রাও – তিন্নিকে দেখে তো মনে হয় খুব ভালো মেয়ে কঞ্জরি দেবী – তিন্নিকে আমারও খুব ভালো লেগেছে গণেশ রাও – শুধু বলে দিও বিয়ের আগে যেন রাতে একসাথে না থাকে। কঞ্জরি দেবী – দুজনে একই হোস্টেলে থাকে, আমার তো মনে হয় দুজনে এক সাথেই থাকে গণেশ রাও – আজকাল কার ছেলে মেয়ে আমাদের মত ক্যাবলা থাকবে না। ঠিক আছে ওদের নিজেদের জীবন – ওরা যা চায় তাই করুক। কঞ্জরি দেবী – ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি ওরা যেন সুখী হয় আর খুশী থাকে।
Parent