চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-17908-post-1050289.html#pid1050289

🕰️ Posted on November 3, 2019 by ✍️ FuckEr BoY (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 491 words / 2 min read

Parent
ডঃ সুধীর রাও (০১) এরপর মাঝে মাঝেই ওখানে যেতাম। একদিন গিয়ে দেখি ওনার টেবিলের সামনে একজন ভদ্রলোক বসে। আমি গিয়ে আমার মেসিনের কথা বলে, মেসিন রিপেয়ার করি। ফিরে এসে দেখি ওই ভদ্রলোক তখনও বসে। আমার সেদিন বেশী কাজ না থাকায় মিঃ সরকারের সাথে কিছু গল্প করি। ওই ভদ্রলোকও আমাদের গল্পে যোগ দেন। আমাদের কথা সব ইংরাজিতেই হচ্ছিলো। একটু অবাক হয়ে যাই মিঃ সরকার ওই ভদ্রলকের সাথে আমার আলাপ করিয়ে দেন না। আমি জেরক্স মেসিনের ইঞ্জিনিয়ার শুনে ওই ভদ্রলোক ওই মেসিন কি ভাবে কাজ করে জানতে চান। আমি ছোট করে ওনাকে থিওরি বোঝাই। উনিও মন দিয়ে শোনেন আর অনেক প্রশ্নও করেন। এর প মিঃ সরকার এক পিওন কে চা দিতে বলেন। তিন জনেই চা খাই। সিগারেট খেতে চাইলে মিঃ সরকার বলেন যে ওনার অফিসে স্মোক করতে পারি। আমার কাছে সেদিন কোন একটা বিদেশী সিগারেট ছিল। আমি অফার করলে দুজনেই সিগারেট নেন। সিগারেট খাবার পর ওই ভদ্রলোক বলেন যে ওনার অনেক কাজ আছে তাই উনি চলে যাবেন। উনি আমাকে থিওরি বোঝানোর জন্যে আর সিগারেটের জন্যে ধন্যবাদ দিয়ে চলে যান। আমি – আচ্ছা মিঃ সরকার আপনি ওনার সাথে আমার আলাপ করিয়ে দিলেন না কেন? মিঃ সরকার – আমি জানতাম আপনি এই প্রশ্ন করবেন। আমি – তাহলে বলুন কেন আলাপ করালেন না। মিঃ সরকার – আসলে উনিও এখানকার একজন পেসেন্ট, আর আমরা কোন রুগীর সাথে কারো আলাপ করিয়ে দিতে পারি না। আমি – মানে! মিঃ সরকার – ওনার নাম ডঃ সুধীর রাও। আমি – উনি ডাক্তার? মিঃ সরকার - উনি ভাইজাগের একজন প্রতিষ্ঠিত সার্জেন ছিলেন আমি – এখন? মিঃ সরকার – এখন উনি এখানকার পেসেন্ট আমি – দেখে বা কথা বলে তো কিছুই মনে হল না যে উনি পাগল! মিঃ সরকার - এইটাই আমাদের সবার ভুল ধারণা। এখানকার রুগি হলেই যে পাগল হতে হবে তার কোন মানে নেই। আমি – সে বুঝলাম, পাগল বলার জন্যে দুঃখিত। তবু আমরা এখানকার রুগি হলেই পাগল ভাবতে অভ্যস্থ। মিঃ সরকার – উনি গত তিন বছর ধরে আছেন এখানে। আমি – ওনার সাথে কথা বলে আমি তো কোন অসংগতি বুঝলাম না মিঃ সরকার – কেউই বুঝতে পারেন না। বরঞ্চ এখানকার অন্য রুগীদের ছোট খাটো সমস্যার চিকিৎসা উনিই করে দেন। আমি – তবে সমস্যা কোথায়? মিঃ সরকার – উনি কোন মাঝবয়েসী মহিলা, বিশেষ করে কালো মহিলা দেখলেই খেপে যান। হাতের কাছে যা পান সেটা দিয়ে মারতে যান। উনি যদি ছুরি পান তবে ছুরি দিয়েই আঘাত করেন। তাছাড়াও আরও দু একটা ছোট খাটো সমস্যা আছে। আমি – কি করে হল ওনার এই সমস্যা? মিঃ সরকার – সেটা একটা গল্পের মত। আমি – যদি ওনার ঘটনা বলেন তবে ভাল লাগবে। মিঃ সরকার – এইসব ঘটনা কাউকে বলা নিষেধ। আমি অনেক অনুরোধ ওনার কাছে ডঃ সুধীর রাও এর ঘটনা শুনি। আমাকে প্রতিজ্ঞা করতে হয়েছিল যে আমি কোনদিন কাউকে এইসব ঘটনা জানাব না। আজ ২৬ বছর হয়ে গেছে। এই গল্প লেখার আগে আমি মিঃ সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু ওনাকে খুঁজে পাইনি। আমি আমার প্রতিজ্ঞা ভেঙ্গে সেই ঘটনা আপনাদের জানাব। কোন নাম সত্যি নয়। আসলে মিঃ সরকার আমাকে যে নাম গুলো বলেছিলান সেগুলোও হয়ত সত্যি নাম ছিল না। মিঃ সরকার নামটাও সত্যি নয়।
Parent