চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-17908-post-1050302.html#pid1050302

🕰️ Posted on November 3, 2019 by ✍️ FuckEr BoY (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 544 words / 2 min read

Parent
ডাঃ সুধীর রাও (০২) ডাঃ সুধীর রাও এর জন্ম অন্ধ্রপ্রদেশের এক ছোট কিন্তু বর্ধিষ্ণু গ্রামে। গ্রামের নাম রাইডান্ডি। যৌথ পরিবারে বড় হয়। সুধীরের দাদু সদানন্দ রাও ওই গ্রামের জমিদার ছিলেন। স্বাধীনতার পরে জমিদারি ক্ষমতা চলে যায় কিন্তু জমিদারি মেজাজ থেকে যায়। সুধীরের বাবারা আট ভাই ছিল। আট ভায়ের একটাই বোন ছিল। সে ছিল সবার ছোট। সুধীরের বাবা গণেশ রাও পাঁচ নম্বর ছেলে ছিলেন। ছোটবেলা থেকেই গণেশের চাষ বাস করার দিকে মন ছিল না। ও পড়াশুনা বেশী ভালবাসত। সদানন্দ রাও গণেশকে পড়ার দিকেই মন দিতে বলেন। ফলে গণেশ চাষের কাজ প্রায় কিছুই করতো না। এতে ওর বাকি ভাই বা দাদারা কিছু বলতো না। কিন্তু গণেশের বোন কানিমলি এতে খুশী ছিল না। তখনও কোন ছেলে মেয়েরই বিয়ে হয়নি। সবাই একসাথেই থাকতো। কানিমলিও ভাইদের সাথে চাষের কাজ করতো। মাঝে মাঝেই মেয়ে কানিমলি কোন না কোন ঝামেলা বাঁধাত। একদিন দুপুরে খেতে বসে – কানিমলি – মা তুমি সব সময় গণেশকে বেশী দুধ আর সব কিছু বেশী বেশী খেতে দাও কেন? মা – আমি একই দেই তোর মনে হয় ওকে বেশী দেই কানিমলি – দেখ আমার দুধের বাটি আর গণেশের বাটি। ওর বাটি বড় আর ওতে বেশী দুধ আছে গণেশ – তুই এই বাটি নে আর আমাকে তোর বাটি দে কানিমলি – চাই না আমার দয়া দেখান দুধ। আমি শুধু বলতে চাই যে মা তোকে বেশী ভালো বাসে। মা – তুই শুধু দাদাদের সাথে জমিতে কাজ করিস তোর বেশী বুদ্ধি দরকার নেই। আমার গণেশ পড়াশুনা করে, দুধ খেলে বুদ্ধি বেশী হয়। বাকি ভাইদের জন্যে কানিমলি বেশী কিছু বলতে পারে না। বাকি ভাইরাও চাইতো যে গণেশ পড়াশুনা করুক। তো গণেশ পড়াশুনা করলেও রোজ সকালে জমিতে কাজ করতে যেত। ভালো ভাবে কিছু করতে পারতো না, কিন্তু কিছু কাজ করতো। কানিমলি সেই কাজেরও ভুল ধরত আর ঝামেলা করতো। যখন গণেশ বি.এস সি. পড়ে তখন একদিন গণেশ ধানের চারা লাগানোতে কিছু ভুল করে। কানিমলি – বাবা আমার একটা কথা ছিল। সদানন্দ রাও – কি কথা? কানিমলি - এই মায়ের আদরের গণেশকে বল চাষের কাজে না যেতে সদানন্দ রাও – তোমার সাহস এতো হয়ে গেছে যে আমার সাথে এই ভাবে কথা বলছ কানিমলি – অনেকদিন সহ্য করেছি, আজ আর না বলে পাড়ছি না সদানন্দ রাও – এতো দিন কেন সহ্য করেছো? তোমার কিছু খারাপ লাগলে এতদিন কেন বলোনি? কিন্তু "এই মায়ের আদরের গণেশ" জাতীয় কথা আমি পছন্দ করি না। কানিমলি – ঠিক আছে এই কথা আর বলবো না। কিন্তু এটাও সত্যি যে মায়ের আদরেই গণেশ এই রকম হয়ে গেছে। সদানন্দ রাও – কি রকম হয়ে গেছে? কানিমলি – গণেশ আজ বীজতলা থেকে ধানের চারা তুলে জমিতে রুয়েছে। সদানন্দ রাও – সে তো ভালো কথা। কানিমলি – ভালো কথা হত যদি ঠিক মত লাগাত সদানন্দ রাও – কেন কি করেছে? কানিমলি – এতো দূরে দূরে চারা রুয়েছে যে অনেক গাছ কম লেগেছে। পুরো পাঁচ কাঠা জমিতে ধান কম হবে। সদানন্দ রাও – ওর মাঝখানে কয়েকটা করে চারা লাগিয়ে দাও। কানিমলি – সেরকম করতে গেলে এখনকার চারা নষ্ট হয়ে যাবে। সদানন্দ রাও – ঠিক আছে পাঁচ কাঠা জমিতে ধান কম হলে কিছু হবে না। তোমাকে ওই নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কানিমলি – এই ফসল উঠলে গণেশ যেন কম চালের ভাত খায় সদানন্দ রাও – মানে কি বলতে চাইছ তুমি? কানিমলি – ওর লাগানো জায়গায় চাল কম হবে। তাই ও কম খাবে । সদানন্দ রাও – কানি! এইভাবে কথা বলবে না, মেরে ঘর থেকে বেড় করে দেবো কানিমলি – তাও আমারই দোষ, গণেশের কোন দোষ নেই
Parent