চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - অধ্যায় ৬০

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-17908-post-1138655.html#pid1138655

🕰️ Posted on November 28, 2019 by ✍️ FuckEr BoY (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 517 words / 2 min read

Parent
ডাঃ সুধীর রাও - মায়িল (৩৬) রাত্রে খাবার টেবিলে মায়িলের বাবার সাথে সুধীরের দেখা হয়। মায়িল দুজনের পরিচয় করিয়ে দেয়। মায়িল – আমার বাবা, ডাঃ ভাস্কর রাও। আর বাবা এ হল সুধীর, আমাদের কলেজে পড়ে। সুধীর ডাঃ ভাস্কর কে পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করে। ডাঃ ভাস্কর – সুধীর তোমার বাড়ি কোথায়? সুধীর – রাইডান্ডি ডাঃ ভাস্কর – সেটা ঠিক কোথায়? সুধীর – রামাগুন্ডম থেকে ৩০ – ৪০ কিলোমিটার দূরে ছোট্ট একটা গ্রাম। মায়িল – বাবা সুধীরের গ্রাম একদম পিছিয়ে আছে। পুরো গ্রাম থেকে সুধীরই প্রথম যে ডাক্তারি পড়ছে। ডাঃ ভাস্কর – বাঃ বাঃ খুব ভালো। ওই গ্রামের ছেলে হয়ে ডাক্তারি পড়ছ। সুধীর – আমার দাদুর ইচ্ছা ছিল বাবাকে ডাক্তার বানাবে। বাবা খুব ভালো পড়াশুনায়। কোন কারনে বাবা ডাক্তারি পড়তে পারেনি। তাই একদম ছোট বেলা থেকেই বাবা আমাকে ডাক্তার হবার জন্যে তৈরি করেছে। ডাঃ ভাস্কর – ভাবা যায় না এইরকম বাবা। খুব ভালো লাগলো তোমার সাথে আলাপ হয়ে। মায়িল – বাবা আমি সুধীরকে বিয়ে করবো। ডাঃ ভাস্কর – কেন? মায়িল – এই কেনর কোন উত্তর নেই বাবা ডাঃ ভাস্কর – না মানে হঠাৎ সুধীরকে বিয়ে করার ইচ্ছা কেন হল মায়িল – এই আলোচনা সুধীরের সামনে করা ঠিক হবে? ডাঃ ভাস্কর – এটা তোমাদের দুজনের জীবন নিয়ে কথা, তাই তোমাদের দুজনের সামনেই হওয়া উচিত মায়িল – বাবা আমি সুধীরকে প্রায় দু বছর ধরে চিনি। ডাঃ ভাস্কর – তোমার এখন থার্ড ইয়ার। ওকে দু বছর কেন চেন? মায়িল – সুধীর সেকেন্ড ইয়ারে পড়ে। ডাঃ ভাস্কর – তোমার থেকে জুনিয়র? মায়িল – কলেজে জুনিয়র, বয়েসে আর বুদ্ধিতে সিনিয়র। ডাঃ ভাস্কর – ভালো বলেছ। সুধীর তুমি ডাক্তারি পাশ করার পরে কোথায় প্র্যাকটিস করতে চাও? আমার মনে হয় তোমার হায়দ্রাবাদ চলে আসা উচিত। এখানে আমি সব ব্যবস্থা করে দেবো। মায়িল – বাবা ও পাস করে গ্রামেই থাকবে। ডাঃ ভাস্কর – আমি সুধীরকে জিজ্ঞাসা করলে তুমি উত্তর দেবে না সুধীর – স্যার আমি গ্রামের ছেলে। গ্রামের লোকের কষ্ট বুঝি। তাই পাস করে গ্রামেই থাকবো। ডাঃ ভাস্কর – মায়িল তুমি বিয়ের পরে কি করবে? মায়িল – আমিও গ্রামেই থাকবো। ওই গ্রামে দুজন ডাক্তার হবে। ডাঃ ভাস্কর – পারবে তুমি গ্রামে থাকতে মায়িল – সুধীরের বাড়ি ঘুরে আসার পরে আমার কি মনে হয়েছে জানো ডাঃ ভাস্কর – কি মনে হয়েছে? মায়িল – আমার হায়দ্রাবাদের জীবন গোলাপ ফুলকে সোনার ফুলদানীতে এয়ার কন্ডিশনড ঘরে রেখে দেওয়া। আর সুধীরের গ্রামে থাকা মানে গোলাপ ফুলকে বাগানে লাগিয়ে রাখা। অনেকদিন তো ফুলদানীতে থাকলাম এবার বাগানে যেতে দাও আমাকে। ডাঃ ভাস্কর – আমার আপত্তি নেই। তুমি থাকতে পারলেই হল। মায়িল – পারবো বাবা, তোমার আশীর্বাদ থাকলে আর সুধীরের ভালোবাসা থাকলে আমি সব পারবো। ডাঃ ভাস্কর – তুই কি খুব ভালবাসিস সুধীর কে মায়িল – খুব বাবা খুব ডাঃ ভাস্কর – আর সুধীর তোকে ভালোবাসে? মায়িল – হ্যাঁ বাবা ডাঃ ভাস্কর – কি করে বুঝলি? মায়িল – দেখো বাবা তুমি জানো আমার অনেক ছেলে বন্ধু আছে বা ছিল। তারা কেউই আমার সাথে থাকেনি। এই একমাত্র সুধীরই আমাকে সময় দেয়। আমার সব দরকার, সুবিধা অসুবিধার খেয়াল একমাত্র সুধীর রাখে। ডাঃ ভাস্কর – তবে তো খুব ভালো মায়িল – জানো বাবা সুধীরের মা কে আমি মা বলে ডাকি। ওনাকে দেখে আমি বুঝেছি মায়ের ভালোবাসা কাকে বলে। মা ও আমাকে খুব ভালোবাসে। মায়িল আর ডাঃ ভাস্কর এইভাবে গল্প করতে থাকে। একটু পরে সুধীর উঠে পড়তে যায়।
Parent