চাঁদের অন্ধকার_Written By Tumi_je_amar - অধ্যায় ৮৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-17908-post-1260706.html#pid1260706

🕰️ Posted on December 18, 2019 by ✍️ FuckEr BoY (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 400 words / 2 min read

Parent
দুর্ঘটনা (০১) সেদিন সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছিলো। বিকালে বৃষ্টি থামলে মায়িল গণেশ রাও আর কঞ্জরি দেবীকে বলে ছাদে যাবে বৃষ্টি ভেজা প্রকৃতি দেখতে। ওরা তিনজনেই ওদের নতুন ঘর দুটোর ছাদে উঠেছিল চারপাশ দেখার জন্যে। মায়িল দুচোখ ভরে বৃষ্টি ভেজা গাছ পালা দেখছিল। গাছের পাতা থেকে বড় বড় ফোঁটায় জল পড়তে দেখে মায়িল ভাবে যে গাছেরা আনন্দে কাঁদছে। তৃষিত গাছগুলো বৃষ্টির জল পেয়ে আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে মায়িলকে কাছে ডাকছিল। দেখে দেখে মায়িল নিজেকেও গাছ ভাবছিল। গরমের শেষে বৃষ্টির জল পেয়ে সব গাছের মন খুশী, ওরা ডাল পালা নেড়ে সেই খুশী সবাইকে জানাতে চেষ্টা করছিলো। ওদের এবার ফল দেবার সময় এসেছে। মায়িল ভাবছিল যে সুধীর আসলেই ওরা বিয়ে করবে আর সুধীরের মনে ডুবে যাবে। ভেজার ভয়ে সুধীরকে আর রেনকোট ব্যবহার আর করতে হবে না। এই বৃষ্টি স্নাত গাছেদের মত মায়িলও ফলবতী হবে। একটা ছোট গাছ দেখে মায়িল গণেশ রাওকে জিজ্ঞাসা করে সেটা কোন গাছ। উনি বলেন যে ওটা গোলাপ জামের গাছ। তারপর বলেন যে পেছনের দিকে একটা বড় গোলাপ জামের গাছ আছে। মায়িল দেখতে চাইলে গণেশ রাও ও দিকে যাচ্ছিলেন। উনি দেখেন যে ওপাশের দেয়ালে একটা লম্বা জলের পাইপ দাঁড় করানো। এখন গণেশ রাও দাঁড় করানো পাইপ কোনদিন দেখতে পারতেন না। উনি বলতেন যে পাইপ দাঁড় করিয়ে রাখলে ওনার মনে হয় মৃতদেহ দাঁড়িয়ে আছে। উনি গিয়ে পাইপটাকে নামিয়ে রাখার জন্যে পাইপে হাত দিতেই হাজার আলোর ঝলকানি। গণেশ রাওয়ের ডান হাতে আগুন লেগে যায়। উনি আঃ করে চেঁচিয়ে উঠতে গিয়েও থেমে জান আর মাটিতে পরে জান। কঞ্জরি দেবী কি হয়েছে বলেই কাছে গিয়ে গণেশ রাওকে ধরতে জান। ওনার পিঠ লাগে সেই পাইপটাতে। আরেকটা আলোর ঝলকানি, আরেকবার ছোট্ট আর্তনাদ। কঞ্জরি দেবীও লুটিয়ে পড়েন গণেশ রাওয়ের শরীরের ওপর। দাঁড়ানো পাইপটা ঝন ঝন শব্দ করে ছাদের ওপর পড়ে যায়। ঘটনার আকস্মিকতায় মায়িল থমকে গিয়েছিল। ওর মুখ থেকে কোন শব্দ বের হচ্ছিলো না। পাইপ পড়ে যেতেই ওর সম্বিত ফেরে। ও বাবা মা বলে চেচিয়ে ওঠে। দৌড়ে যায় বাবা আর মায়ের কাছে। গণেশ রাওয়ের পালস দেখার জন্যে হাত ধরতে গেলে দেখতে পায় বাঁ হাতটা নেই। কনুই পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দুটো আধ পোড়া কালচে হাড় বেড়িয়ে। মায়িল ডান হাতের পালস দেখে। কোন উত্তর নেই। কঞ্জরি দেবীর পালস দেখে, সেখানেও কোন উত্তর নেই। ওনাদের দুজনের শরীর থেকে ধোঁয়া বেড় হচ্ছে। সারা শরীরের যেখান সেখান থেকে আগুনের ফুলকি উঠছে। ও আর দেখতে পারে না, কান্নায় ভেঙ্গে পরে। চেঁচাতে চেঁচাতে দৌড়ে নীচে যায়। প্রথমেই অখিল আর নিখিল কে দেখতে পায়। কাঁদতে কাঁদতে মায়িল ওদের বলে সুধীরকে কলেজ থেকে ডেকে আনার জন্যে। তারপর মায়িলের গলা ফাটানো কান্না শুনে সবাই বেরিয়ে আসে।
Parent