চাওয়া-পাওয়া by Kamonamona (সমাপ্ত) - অধ্যায় ১৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43507-post-4081340.html#pid4081340

🕰️ Posted on December 9, 2021 by ✍️ MNHabib (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 643 words / 3 min read

Parent
আরো ঘন্টা খানিক বাদে দোকান বন্ধ করে, মামা আমি এক সাথে বাসায় আসলাম। কিছুক্ষণ টিভি দেখে মামী খেতে দিলো। খেতে খেতে মামা বললো,,, -কেমন চলছে জামাই তোমার অফিস? -ভালো মামা। -তিন চার মাস তো হয়ে গেলো, সাপ্তাহিক ছুটি ছাড়া এক্সট্রা কোন ছুটি দিবেনা? -চাইলে দিবে, ছুটি নিয়ে বা কি করবো? তাই চাই না। -এবার কয়েক দিনের জন্য নাও, নিয়ে তোমার মামী ও শিমুকে কোথাও ঘুরিয়ে নিয়ে আসো। বুঝতেই তো পারছো আমার দোকান না খুললে মানুষ রান্না করতে পারবে না, আমার ডিলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে। সে কারনে এতো বছরে বাড়ীও যেতে পারিনি। তোমার মামী একা একা ঘরে বন্দী হয়ে থেকে হাঁপিয়ে গেছে, খরচ খরচা যা হবে আমি দিবো। -এখানে খরচের কথা কেন আসছে মামা? এই যে আমি শিমু আপনাদের বাসায় থাকছি খাচ্ছি, এই ঋণ কি কখনো শোধ করতে পারবো? টাকা দিলে যদি রাগ করেন এই ভয়ে তাও দিতে পারছিনা, সেখানে আপনাদের জন্য কিছু করতে পারা তো আমার ও শিমুর সৌভাগ্য। আমি কালই অফিসে গিয়ে ছুটির আবেদন করবো। শিমু সব শুনে মুখ ভারী করে বললো... -হ্যাঁ, ঠিকই তো, এখানে টাকার সাবজেক্ট আসছে কেন? কিন্তু মামা আমার যাওয়া হবে না,,, মামা শিমুর দিকে তাকিয়ে জানতে চাইলো -কেনো রে মা? -আমার নতুন ম্যানেজার এসেছে, এসেই সবার তিন মাসের জন্য এক্সট্রা ছুটি বাতিল করে দিয়েছে। মামা শিমুর এ কতা শুনে মামীর দিকে চাইলো...... মামীর চোখে রাগ দেখে বললো -তাহলে জামাই আর তোর মামী ঘুরে আসুক,তারা তো মা ছেলে, সমস্যা নাই। শিমু মামার কথা শুনে হা করে আমার দিকে চাইলো। আমি মাথা নিচু করে খেতে থাকলাম। মামা আবার শিমুকে জিজ্ঞেস করলো -কি বলিস তুই? -আমি কি বলবো মামা, তারা যাক সমস্যা নেই। পরে আমার ছুটি পেলে আরেক বার না হয় এক সাথে যাবো। মামা শিমুর কথা শুনে বললো, -তোর মামী একাকিত্বে ভুগছে, তাকে ইমারজেন্সি বাইরে নিয়ে যাওয়া দরকার, দরকার খোলামেলা জায়গায় কিছুদিন থাকা। ঘরে বন্দী থেকে থেকে ওর জীবনটাই অন্ধকার হয়ে গেছে। রাত্রে রুমের লাইট পর্যন্ত বন্ধ করলে ভয় পাই ! শিমু মামীর দিকে তাকিয়ে বললো.. -আগে কেন বলো নি মামানি? -কি বলবো বল? এতটা বছর এই ঘরে বন্দী, এর থেকে জেলখানাও অনেক ভালো। তোর মামাকে বললে বলে দোকানের কি হবে? আমার ছেলে মেয়েকেও দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে, এভাবে আর কতো বল? তাও তো কিছুদিন হলো তোরা এসেছিস, তাই বেঁচে গেলাম, নাহলে আমি জিন্দা লাশের মতো এ ঘরে পড়ে থাকি। বলে হু হু করে কাঁদতে লাগলো। শিমু উঠে গিয়ে মামীকে জড়ীয়ে ধরে বললো -কেঁদো না মামী, আমারা তো এসে গেছি, আর তোমার একাকী লাগবে না,, যাও তোমার জামাইয়ের  সাথে ঘুরে এসো,, -তুই গেলে ভালো লাগতো। -কি করবো বলো অফিস আছে। তুমি মন খারাপ করোনা, পরের বার এক সাথে যাবো। আর তোমার জামাই সবার সাথে এমনিতেই বন্ধুর মতো মিশে, কখন দিন পার হয়ে যাবে টের পাবেনা,,, আমার দিকে চেয়ে বললো -এই শুনো। মামীকে সুন্দর সুন্দর জায়গা ঘুরিয়ে আনো। আমি বললাম -ঠিক আছে, ঠিক আছে। সবাই কিছুক্ষণ গল্প করে আমরা রুমে আসলাম। শিমু খাটে শুয়ে ফ্যানের দিকে চেয়ে থাকলো। আমি তার উদাসীনতা দেখে বললাম- -কি হয়েছে সোনা?. -না কিছু না, -আরে বলো কি হয়েছে? অফিসে কোন ঝামেলা? -নারে পাগল, ভাবছি তুমি আর মামী কিভাবে যাবে থাকবে, তাই। -এতে ভাবার কি আছে? যাবো গাড়ীতে, থাকবো হোটেলে, দুটো রুম নিয়ে নিবো পাশাপাশি। দু একদিন এদিক ওদিক ঘুরে চলে আসবো। -তাই? -তো কি? -মামীকে নিয়ে ঘুরবে, আমার কথা মনে পড়বে না? -তা’তো পড়বেই। নতুন জায়গায় তোমার সাথে প্রেমটা ভালই জমতো। -দেখো আবার মামীর প্রেমে পড়ে যেও না? -হঠাৎ একথা বললে কেন? -না এমনি। -এমনি বলোনি? বলো কেন বললে? -মামী না ক্ষুধার্ত -ক্ষুধার্ত মানে? -মানে, মামা এখন আর মামীকে ঠিক মতো সুখ দিতে পারে না। -তোমাকে বলেছে এ কথা? -হ্যাঁ, রান্না করতে করতে কথায় কথায় মামীর মুখ দিয়ে বেরিয়ে গেছে। -তাই বলে তাকে নিয়ে আমাকে জড়াবে? আমি কি এতোই খারাপ? -আরে পাগল সে কথা বলিনি। -এ কথাই বলেছো। আমি যাবো না মামীকে নিয়ে। -না না জান এমন করোনা, মামা মামী আমাকে খারাপ ভাববে। বলবে শিমু কিছু বলেছে, তাই জামাই গেলোনা। মামা মামী এমনিতে ভালো মানুষ, আমার মনই নোংরা তাই উল্টা পাল্টা ভাবছি। সরি জান। আমি মনে মনে খুশি হলেও শিমুর সামনে মুখ ভারী করে শুয়ে পড়লাম।
Parent