দেবলীনার সংসার জীবন by MANOJ M - অধ্যায় ১১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38668-post-3431104.html#pid3431104

🕰️ Posted on June 26, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 424 words / 2 min read

Parent
সাত সঞ্জীববাবু নিজে উকিল কিন্তু ব্যাবসার খাতিরে বা কোনদিন প্রচুর উপার্জনের লোভে আদালতে কখনও তিনি মিথ্যা বক্তৃতা করেননি। যে কেস হাতে নিয়েছেন, তা প্রকৃত সত্য কি না এসব অন্তরের সঙ্গে বেশ বুঝে পড়ে নিয়েছেন। এমনি করে সর্বদা তিনি নিজের মনকে পরিষ্কার রাখতে চেয়েছেন। তবে আজ তিনি তার নিজের ঘটনাটিকেই যাচাই করতে পারছেন না কেন? সত্য মিথ্যা যাচাই করার শক্তি কি তাঁর ভিতর থেকে নিঃশেষিত হয়ে গেলো। জীবনে তার অভিজ্ঞতা অনেক। কতো মিথ্যা সাজানো ঘটনার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে তিনি আদালতে কতো কেস প্রসিড করেছেন, তার শেষ নেই। তাছাড়া ঠিক এমনি মিথ্যা সাজানো ঘটনায় কতো লোকের কতো ক্ষতিও হয়েছে, আজও হচ্ছে। তাঁর নিজের গ্রামেই এসব দৃষ্টান্তের অভাব নেই। একটা ঘটনা তাঁর জলন্ত মনে পড়ে গেলো। এই গ্রামেরই লোকেদের কীর্তি। একটি মেয়ের জীবন নিয়ে কি ভাবে ছিনিমিনি খেলা করেছে তারা। তাঁর গাড়িটা যেখানে দাঁড়িয়েছে, তার বাঁদিকে ঠিক সোজা মাঠের ওপারে যে বাড়ীটা সেখানে থাকতো রাধারাণী। রাধারাণীর বাপ বুড়ো হয়ে পড়েছিলেন। তার ভাই কোলকাতা চাকরী করতো। দুমাস চারমাস পর বাড়ী আসতো বাবাকে দেখতে। মাসে মাসে বাবা ও বোনের জন্য টাকা পাঠিয়ে দিতো। রাধারাণী অবিবাহিত থাকতে সংসারটা বেশ সাজানো গোছানো ছিলো, কোনই অসুবিধা ছিলো না। বুড়ো বাপের দেখাশুনা রাধারাণীই করতো। মাঝে মাঝে ভাই কোলকাতা থেকে এসে খবর নিয়ে যেতো। পাশের ঘরে থাকতো তার কাকী বিমলা, তার সন্তান সন্ততি অনেক। বাড়ীর মেয়েরাই ঘরের সব কাজ করতো তবু কখনো কোনদিন প্রচুর সময় হাতে থাকলেও সে একবার দিনান্তেও রাধারাণী কিংবা তার বুড়ো বাপের খোঁজ নিতনা। যে দরজাটা দিয়ে রাধারাণীদের ঘর সোজা দেখা যায় সে দরজাটা বিমলা সবসময় বন্ধ করে রাখতো। রাধারাণীর কোন সুখ সে সহ্য করতে পারতো না। কোনদিন একটু ভাল রান্নার গন্ধ পেলেই খবরটা সঙ্গে সঙ্গে তা আশে পাশের বাড়ীতে গিয়ে রঙ চড়িয়ে ছড়িয়ে দিয়ে আসতো। বলতো - দেখে এলুম রাধারাণীদের ঘরে পায়েস রান্না হচ্ছে। তা হ্যাঁগা, আমাদের ঘরে তো পায়েস বছরে একবারো হয়না। রাধারাণীর ঘরে ত দেখি প্রতিদিনই হয়। অত যারা গরীব তারা রোজ রোজ পায়েস খায় কি করে? সব বাজে কথা। আমি এক বিন্দুও ওর বাবার কথা বিশ্বাস করি নে। এক সঙ্গে থাকতে কি ওর বাবা ভাগের কম টাকা পয়সা লুকিয়ে চুরিয়ে রেখেছে। বিমলার এসব কথার দু একজন অংশীদারও ছিলো। তারা বিমলার কথা দস্তুর মত সমর্থন করতো। বিন্দুবালা বিমলার পরমভক্ত। সে বলতো - মেয়ে বিয়ে দেবার জন্যি নাকি টাকা নেই। তা হ্যাঁগা এ কথাও কি বিশ্বাস করার মত? যারা প্রতিদিন দুধ, ঘি খেতে পারে পায়েস খেতে পারে তারা কিনা মেয়ে বিয়ে দিতে পারে না। আরে, আসল ব্যাপারটা কি জানো........ বিন্দুবালা রাধারাণীর কাকী বিমলার কানে ফিসফিস করে কি যেন বলতো, অমনি বিমলার চোখ দুটোও বড় হয়ে উঠতো। বিমলা ছুটে যেতো অমনি আর একজনের বাড়ী একথা বলতে। এমনি করে পাড়ায় পাড়ায় বিমলা রাধারাণী ও তার বাপ ভাই এর নামে কুৎসা রটিয়ে বেড়াতো।
Parent