দেবলীনার সংসার জীবন by MANOJ M - অধ্যায় ১২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38668-post-3431108.html#pid3431108

🕰️ Posted on June 26, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 426 words / 2 min read

Parent
আট কিছুদিন পর রাধার সঙ্গে যার বিয়ে হলো, সে ছেলের আপন জন বলতে কেউ ছিলো না। অত্যন্ত সাধাসিধে ও ভালোমানুষ। তার আপনজন বলতে এখন থেকে রাধারানী একমাত্র। দুবছর রাধা স্বামী নিয়ে কি সুখেই না ঘর করলো। স্বামীর অফুরন্ত ভালোবাসার আলিঙ্গন পেয়ে তার সমস্ত দেহ মন যেন শুদ্ধ হয়ে উঠলো। কিন্তু দীর্ঘ দুবছর পর রাধার স্বামী অফিসের কাজে উচ্চশিক্ষার জন্য জার্ম্মাণ চলে গেলো। জার্ম্মাণিতে তাকে কয়েক বছর থাকতে হবে। রাধারানী তাই গ্রামে বাবার কাছে ফিরে এলো। রাধার মনে হলো এই দুবছরে গ্রামের অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। কিন্তু কাকীমার একটা মেয়েরও বিয়ে হয়নি, বিয়ে দেবার কোন চেষ্টাও করেন না। সংসারে সেই আগের মতোই অভাব লেগেই আছে। কাকীমার অবস্থার কথা মনে পড়লে রাধার মন ব্যাথায় ভার হয়ে ওঠে। বিয়ের আগে রাধারানী গ্রামের শুধু একটি ছেলের সাথেই কথা বলত। অশোক। পড়াশুনায় অত্যন্ত মেধাবী এই ছেলেটিকে রাধা মনে মনে পছন্দ করতো কিন্তু হায়রে বিধীর বিধান সমাজ এটা ভালো চোখে দেখেনি। রাধার সুখ বিমলা কোনদিন সহ্য করতে পারেনি। অশোক ও রাধার নামে এমন কুৎসিত সব ঘটনা রটাতে লাগলো যে অশোকের এই গ্রামে থাকাই দুঃবিস্বহ হয়ে উঠলো। অশোককে গ্রাম থেকে তাড়িয়েই যেন তার শরীর জুড়োবে। সেই অশোক মরে নি। বাড়ী ফিরে এসেছে। সে এখন লেখাপড়া ছেড়ে দিয়ে নিজেদের জমির টুকটাক কাজ করছে। একদিন পুকুর ঘাটে অশোককে দেখে রাধারাণী হেসে ফেললো। অশোক চলে যাচ্ছিল। রাধা ডেকে বললো - কি অশোকদা চলে যাচ্ছ কেন ? অশোক থমকে দাঁড়ালো। রাধা আবার বললো - ভালো আছো? অশোক অস্পষ্ট সুরে বললো - হ্যাঁ রাধা বললো - জানো তো আমার বিয়ে হয়ে গেছে। এখন তোমার সঙ্গে কথা বলতে আমার আর কোন ভয় নেই। অশোক হঠাৎ এর প্রতিধ্বনি করে যেন আর্তকন্ঠে বলে উঠলো - না--না-- রাধা-- তুমি জান না। এ গাঁয়ের লোকদের ত তুমি ভালো করেই চেন এরা একটুও বদলায়নি। ওরা সব করতে পারে দরকার হলে এখনও তারা অনেক কিছু বলতে পারে। রাধা নিশ্চল হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। অশোকদা ঠিকই বলেছে, রাধা তো আগে এতোটা তলিয়ে দেখে নি। সেদিন সে নানা চিন্তা মাথায় নিয়ে বাড়ী ফিরলো। অশোকের সঙ্গে কথা বলতে তার খুব লোভ হয়। অশোক তার জন্য মিথ্যা অনেক দুঃখ ভোগ করেছে, রাধা নিজেও অনেক লাঞ্ছিতা হয়েছে কিন্তু তবুও দুজনার ভালোবাসা আজও অটুট রয়েছে। উভয়েই উভয়ের জন্য ব্যথিত। অশোক রাধাকে আর অপমানিতা লাঞ্ছিতা হতে দেবে না তাই সে আজও দূরে দূরে থাকে। রাধা একথা বোঝে কিন্তু ছোটবেলার বন্ধু খেলার সাথীকে সে কি করে ভুলবে। আশ্চর্য! অশোকদা হয়তো এখনো জানে না রাধার কার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে। রাধা অন্তঃসত্বা একথা কি অশোকদা জানে? ওঃ! জানলে কি আনন্দই না পাবে। রাধার ইচ্ছা স্বামী জার্ম্মান থেকে ফিরে এলে অশোকদাকে একবার নিমন্ত্রন করে নিজের বাড়ী নিয়ে যাবে। কিন্তু অশোকদা যা লাজুক সে হয়তো যাবেই না। এসব নানা কথা ভাবতে ভাবতে রাধা ঘাট থেকে বাড়ী ফিরে এলো।
Parent