দ্য আর্টিষ্ট ( collected , incomplete ) - অধ্যায় ১৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38231-post-3390209.html#pid3390209

🕰️ Posted on June 12, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 402 words / 2 min read

Parent
মামা পরের দিনের শাস্তি ঘোষণা করলেন। সপ্তমীর সারা দিন আমাকে বাড়িতে নীল ডাউন হয়ে বসে থাকতে হবে। আর এক ঘন্টা পর পর ৫০ টা করে কান ধরে উঠবস করতে হবে। আমি সেই দিনের অপমান সারা জীবন ভুলতে পারব না। সকালে উঠে কান ধরে বসে পরলাম। আমাকে রান্নাঘরে সামনে বসতে বলা হয়েছিল যাতে মামিমা রান্না করতে করতে নজর রাখতে পারে। ২ ঘন্টা বসে থেকে হাঁটুতে ব্যাথা ধরে গেল। কিন্তু আমি একটু ভর দিয়ে বসতে গেলেই মামিমা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে আমাকে পেয়ারা গাছের ডাল দিয়ে মারছিল। আমি নীল ডাউন হয়ে বসে যাচ্ছিলাম আবার। কিছুক্ষণ পর পুজোর নতুন শাড়ি পড়ে ঊর্মির সব বন্ধুরা এল ঘুরতে যাওয়ার জন্য ঊর্মিকে ডাকতে। সবার সামনে মাথা নিচু করে আমি বসে রইলাম। সবাই আমার দিকে অবাক হয়ে তাকাচ্ছে বুঝতে পারলাম। কিছুক্ষণ পর দেখলাম ঊর্মির অনেক বন্ধু দেখছে আর হাসছে। হয়ত ঊর্মি বলে দিয়েছে, কি জন্য শাস্তি পেয়েছি। এর মধ্যে মামিমা এসে আমাকে লাঠি দিয়ে খুঁচিয়ে দিল। উঠবস করার সময় হয়ে গেছে। আমি মাথা নিচু করে উঠবস করা শুরু করলাম। জীবনে এত অপমানিত কখন হইনি। দেখলাম ঊর্মির একটা বন্ধু হাসতে হাসতে ঊর্মির গায়ে পড়ে যাচ্ছে । একটা বাইশ বছর বয়সি ছেলে, একদল হায়ার সেকেন্ডারি মেয়ের সামনে উঠবস করছে। মামিমা কিছুক্ষণ পর সবাইকে খেতে দিল পুজোর নাড়ু মোয়া। আমি খালি পেটে বসে রইলাম। হঠাত আমার খুব কান্না পেল। আমার মনে হল বাকি সবার সাথে আমার একটাই পার্থক্য । এদের সবার মা আছে। আমার মা নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সম্পদ আমার কাছে নেই। মাকে আমি খুব বেশিদিন পাইনি। কিন্তু জীবনের যে কটা দিনই সজ্ঞানে পেয়েছিলাম, সে সময়ের মায়ের উষ্ণ কোলের কথা মনে করার চেষ্টা করলাম। আর ফিস ফিস করে যেন আমার মৃত মাকে উদ্যেশ্য করে বললাম – মা তুমি যেখানেই থাকো আমার এই অবস্থা থেকে দুঃখ পেয়ো না। একদিন আমি অনেক বড় হব মা। তোমার ছেলে একজন আর্টিস্ট মা। একজন আর্টিস্ট। আর দুঃখ না পেলে কখনো বড় আর্টিস্ট হওয়া যায় না। আমি অনুভব করলাম আমার দু চোখ থেকে জল গড়াচ্ছে। একবার ফুঁপিয়ে অস্পষ্টভাবে মা কে ডেকে নিজেকে থামানোর চেষ্টা করতে লাগলাম। কাঁদা যাবে না। যার চোখের জল পৃথিবীতে কারোর কাছে মূল্য রাখে না, তাকে কাঁদতে নেই। হঠাত দেখলাম ঊর্মির একটা বন্ধু বলল – এই দাদাটা চুরি করেনি। আমি অবাক হয়ে মেয়েটার দিকে চোখ তুলে তাকালাম। দেখলাম মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। মেয়েটির চোখ ছলছল করছে। ও কি আমার ভেতরে যে রক্তটা ঝরছে সেটা উপলব্ধি করে ফেলেছে। হে ঈশ্বর! না …। আমি কারোর সহানুভূতি চাই না। সব যন্ত্রণা দাও, সব আঘাত দাও কিন্তু কারো সহানুভূতি দিও না প্লিজ। কারোর না। জাস্ট কারোর না ।।
Parent