দ্য আর্টিষ্ট ( collected , incomplete ) - অধ্যায় ১৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-38231-post-3390522.html#pid3390522

🕰️ Posted on June 12, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 289 words / 1 min read

Parent
কিন্তু গোয়া যাওয়ার আগের দিন আমার একটা ফোন এল।ফোনটা ঊর্মির। আমি অবাক হয়ে গেলাম। দেখলাম ঊর্মি কিছু না বলতে পেরে কাঁদছে। আমি বললাম কি হয়েছে ঊর্মি বল। ঊর্মি বলল – শুভদা তুমি একবার তারকেশ্বর আসতে পারবে? বাবা তোমার সাথে একবার দেখা করতে চেয়েছে। আমি বললাম – সেটা সম্ভব না । ঊর্মি বলল – বাবা আর বাঁচবে না শুভদা। বাবার ক্যান্সার হয়েছে। লাস্ট ষ্টেজ । আমি গোয়া যাওয়া ক্যান্সেল করে সেদিন রাতেই তারকেশ্বর গেলাম। আমি মামাকে দেখে চমকে উঠলাম। একি চেহারা হয়েছে। শরীরে যেন কিছু নেই আর। একটা কঙ্কাল পাতলা চামড়ার চাদর পরে শুয়ে রয়েছে। আমি ঊর্মিকে চিৎকার করে বললাম – তোরা আমাকে এতদিন বলিসনি কেন? এখুনি অ্যাম্বুলেন্সে ফোন কর। আমি মামাকে অ্যাপেলো হসপিটালে নিয়ে যাব কলকাতায়। মামা স্মিত একটা হাসল। ক্ষীণ গলায় বলল – আয় পাশে বস। আমি বিছানয় মামার পাশে গিয়ে বসলাম। ঊর্মি বলল – আমরা এক সপ্তাহ আগে ভেলোর থেকে ফিরেছি। আমার মুখটা কষ্টে ভরে গেল। ও তার মানে আমি কিছুই জানি না। আমাকে জানানোরও কেও প্রয়োজন বোধ করেনি। মামা বলল – লুকোচুরির কিছু নেই আর শুভ। ডক্টর স্বামি ইন্ডিয়ার সেরা ডাক্তার। উনি আমাকে বলেছেন, যা যা করার সব করে নিতে। ক্যান্সার লাস্ট ষ্টেজ এ। চিকিৎসার যদি কিছু করার থাকত তোকে নিশ্চয়ই বলতাম । আমার চোখ জল টলটল করতে লাগল। মামা বলল – তোকে কিছু বলার আছে শুভ । ক্যান্সারের ট্রিটমেন্টে সব গেছে রে। তোর মামিমাকে এত খরচ করতে বারণ করলাম। ও তো শুনল না। তবু তোর কলেজের শেষ বছরের জন্য কিছু টাকা ব্যাঙ্কে রাখা আছে। ওটা তুই নিয়ে নিস। বাকি তোকে আর কিছু দিয়ে যেতে পারলাম না রে। আমি এটা শুনে আর থাকতে পারলাম না। বিছানায় ওপর আছড়ে পড়লাম । বললাম – না মামা তুমি প্লিজ ছেড়ে যেও না। মা ছোটবেলায় যখন গেছে, বারণ করতে পারিনি । ছোট ছিলাম। আটকাতে পারিনি। তোমাকে আমি যেতে দেব না।
Parent