একজন মা আর একটি ছেলে এবং একটি ভাই আর একজন মেয়ে (সংগৃহীত) - অধ্যায় ১৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-54781-post-5211127.html#pid5211127

🕰️ Posted on April 19, 2023 by ✍️ Farhan06 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 582 words / 3 min read

Parent
মানুষ তো মানুষের জন্যেই। মানুষই মানুষকে বিপদে ফেলে, আবার অন্য মানুষকে বিপদের সময় এগিয়ে আসতে হয়। মেয়েটিকে প্যান্টিটা পরিয়ে দিয়ে, নিজ পরনের জীর্ণ শার্টটা খুলে, মেয়েটির গায়ে জড়িয়ে দিয়েছিলাম। তারপর, মেয়েটিকে পাঁজাকোলা করে নিয়ে, আমার রিক্সা ভ্যানটার উপর তুলে নিয়ে বললাম, কোথায় বাসা? মেয়েটি তখনো আমার দিকে ফ্যাল ফ্যাল করে তাঁকিয়ে রইলো। নিজ দেহের প্রতি খানিকটা সচেতন হয়ে, লাজুক গলাতেই বললো, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কিন্তু, এমন দেহে বাসায় যাবো কি করে? মেয়েটির অসহায়ত্ব দেখে আমার মনটাও খারাপ হয়ে গেলো। বললাম, যদি আপত্তি না থাকে, তাহলে আমার বাসাতেই চলেন। দেখি, আপনার জন্যে কোন পোষাক সংগ্রহ করা যায় কিনা। মেয়েটি কিছু বললো না। মাথা নীচু করে বসে রইলো শুধু। যে রিক্সা ভ্যানটা করে, প্রতিদিন মালামাল সরবারহ করে থাকি, তেমনি একটা রিক্সা ভ্যানে বসে, মেয়েটি তার তাল সামলাতে পারছিলো না। আমি পুরুটা পথ পায়ে হেঁটেই, রিক্সা ভ্যানটা টেনে টেনে বাসায় ফিরে এসেছিলাম মেয়েটিকে নিয়ে। মেয়েটিকে পাজা কোলা করে নিয়েই, নিজ ঘরে ঢুকে বললাম, গোসলটা করে ফেলুন। দেখবেন ফ্রেশ লাগবে। আমি আপনার পোষাকের ব্যবস্থা করছি। মেয়েটি আমার চোখে, কৃতজ্ঞতার চোখেই তাঁকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। তারপর, খানিকটা আত্মবিশ্বাসী হয়েই উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলো। অতঃপর এগিয়ে গেলো বাথরুমটার দিকে। মেয়েটিকে নিয়ে আমি খুব বিচলিতই ছিলাম। একা মানুষ! কোথাকার কোন মেয়ে, পথের পাশে নগ্ন দেহে অসহায় ভাবে পরে থাকা! ঘরে কোন মেয়েলী পোষাকও নেই। পরিচিত জানা শুনা এমন কেউও নেই যে, কিছু মেয়েলী পোষাক ধার করবো! আমি আসলে কি করবো, কিছুই বুঝতে পারছিলাম। ঘরের ভেতর পায়চারী, বিছানাটায় ক্ষণে ক্ষণে ধ্যান ধরে বসে থাকা, এমন করেই সময় কাটছিলো। গোসলটা শেষ করে মেয়েটি ,ভেজা চুলগুলো দু হাতে চিপতে চিপতে, নগ্ন দেহেই বেড়িয়ে এলো বাথরুম থেকে খুব সহজ ভাবেই। খুবই তাজা আর স্নিগ্ধই লাগছিলো মেয়েটিকে গোসলটা শেষ করার পর। ধারালো ফর্সা মুখটার উপর সরু চৌকু গোলাপী ঠোট যুগলও অপূর্ব লাগছিলো। নগ্ন বক্ষ যুগল খুব একটা বড় নয়। তবে, আধকাটা দুটি আপেলের মত স্তন যুগল অদ্ভুত রকমেরই সুঠাম। বৃন্ত প্রদেশও ঘন খয়েরী। বোটা দুটুও স্থুল। মেয়েটির ভেজা নগ্ন দেহ যেনো আমার চোখ ঝলসে দিতে থাকলো। খুব বেশীক্ষণ মেয়েটির দিকে আর তাঁকিয়ে থাকতে পারলাম না। ছুটে গিয়ে, আমি আমার নিজেরই একটা শার্ট আর লুংগি টেনে এনে, মেয়েটির দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললাম, আপাততঃ এগুলো পরে নিন। কাল সকালে মেয়েদের পোষাক সংগ্রহ করা যায় কিনা চেষ্টা করবো। মেয়েটি অভিমানী গলাতেই বললো, আর পোষাক পরে কি হবে? আমার তো সব শেষ হয়ে গেছে। সবই তো দেখে ফেলেছেন! এখন আর লুকিয়ে লাভ আছে? আমি সদ্য গোসল করে আসা, মেয়েটির ভেজা নগ্ন দেহটার দিকে আবারো এক পলক তাঁকিয়ে, আমতা আমতা করেই বললাম, না মানে, তখন আপনার বিপদের সময়। আমি কিন্তু কোন খারাপ নজরে দেখিনি! মেয়েটি অন্যত্র তাঁকিয়ে বললো, আপনি দেখেন নি হয়তো। অন্যেরা তো দেখেছে! মেয়েরা যেটি নিয়ে গর্ব করে, সেই ইজ্জতটুকুও তো লুটে নিয়েছে। পৃথিবীতে আমার আর কতটুকু দাম আছে বলুন? নিজ মা বাবার কাছেও তো ফিরে যেতে পারবো না। সমাজে সুন্দরভাবে বেঁচে থাকারও তো পথ নেই। রাতেও ভালো ঘুম হয়নি। খুব ঘুম পাচ্ছে। ঝর্ণা বললো, ও, তাহলে তো কিছু করার নেই। আবার আসবে কিন্তু। আমিও ঝর্ণা থেকে বিদায় নিয়ে, মটর ভ্যানে গিয়ে উঠলাম। গাড়ীতে স্টার্ট দিয়ে বাসার দিকেই ছুটছিলাম। লোপা অবাক হয়েই বললো, কোথায় যাচ্ছো, ভাইয়া? আমি বললাম, কেনো, বাসায়। ঘুম পাচ্ছে বলছিলে। তোমাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে কাজে যাবো। লোপা চোখ দুটি বড় বড় করেই বললো, ধ্যাৎ! আমার চোখে কোন ঘুম নেই। চলো, কোন একটা শপিং সেন্টারে যাই। আমি গাড়ী চালাতে চালাতেই লোপার দিকে পাশ ফিরে এক নজর তাঁকালাম। বললাম, ঝর্ণাকে তো বললে, ঘুম পাচ্ছে! লোপা গম্ভীর গলাতেই বললো, ওরকম মাঝে মাঝে বলতে হয়! মেয়েদের ব্যাপার, তুমি ওসব বুঝবে না। মেয়েদের অনেক ব্যাপারই আমি বুঝিনা। তাই কথাও বাড়ালাম না। গাড়ী ঘুরিয়ে, সি, ডি, এ, রোড ধরে জি, ই, সি, এর মোড়েই একটা শপিং সেন্টারের ধারে গাড়ী থামালাম।
Parent