“একলা আকাশ” --- Ratinath - অধ্যায় ১

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43618-post-4062832.html#pid4062832

🕰️ Posted on December 4, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 534 words / 2 min read

Parent
“একলা আকাশ” পর্ব-১ **কাহিনীর চরিত্র পরিচিতি: ১)শকুন্তলা ( ডাক নাম-কণা,বাপের বাড়ির পদবি-রায়)দাশগুপ্ত,বয়স:,৩৮,দেবীপুর, ২)বিভাস দাশগুপ্ত,বয়স-(২৪ বিয়ে..মারা যান ৩১বছর বয়সে ) ৩)অপূর্ব (অপু)দত্ত,বয়স:২০,দেবীপুর,গাড়ি মেকানিক,(৬/৭বছরে পিতৃহীন) ৪)শরৎ দাশগুপ্ত,বয়স-৫৮,(কাহিনীকালে বয়স ছিল-৪৫,মারা যান বছর ১৩ পরে ৷) ৪)সুখেন রায়,৫৫,শকুন্তলার বাবা, রুপপুর, ৫)স্বাতী রায়,বয়স-৪৪,শকুন্তলার মা, রুপপুর, ‘ওই লোকটা কে?’ দেবেন বিশ্বাস কেন ও এখানে আসে রোজ রাতে? ওই ঘরে থাকে ? ছেলে অপু প্রশ্ন করে ৷ শকুন্তলা একটু থেমে বলে – উনি তোর বাবার মৃত্যুর পর থকে আমাদের সাহায্যদাতা৷ তোর ৭বছর বয়স থেকে আজ ১৩ বছর হল উনি না থাকলে আমাদের খাওয়া জুটত না ৷ উনি আমাদের আশ্রয় দিয়ে ওনার এই বাড়িতে থাকতে দিয়েছেন৷ বিশ্বাসবাবু আমাদের টাকা-পয়সা দিয়ে উনি বাঁচিয়ে রেখেছেন ৷ অপু বলে, উনি রাতে এলে তুমি দরজা বন্ধ করে ওনার সঙ্গে থাক ৷ আমি পাশের ঘর থেকে তোমাদের কথা শুনতে পাই৷ মাঝে মাঝে তোমার আ.. আ.. ই.. ই.. উম.. গোঙানীর শব্দ কানে আসে৷ লোকেরা বলাবলি করে, ‘তুমি বিশ্বাসবাবুর মেয়ে ছেলে’৷ কণা এই কথায় কিছু বলতে পারেন না৷ তখন অপু বলে, আমি কাজ পেয়েছি৷ অনেক টাকা পাব ৷ আর দাদুওতো এখন বেঁচে নেই ৷ তাই আর ওনার কেনা আমাদের এই বাড়িতে থাকব না ৷ অন্য ভাড়া বাড়ি ঠিক করে এসেছি সেখানে চলে যাব ৷ শকুন্তলা নীরবে মেনে নেন সেই প্রস্তাব ৷ অপু বলে, এখন আমি কাজে বের হচ্ছি ৷ তুমি প্যাকিং করে রাখ ৷ আমরা কাল সকালেই বেরিয়ে পড়ব ৷ **পাঠক/পাঠিকাবৃন্দ,আপনাদের এবার একটু অতীতকথা জানিয়ে রাখি.. কাহিনীর নায়িকা শকুন্তলা রায় ছোট থেকেই ছিলেন তাক লাগানো রুপসী ৷ গাত্রবর্ণ ছিল আর পাঁচটা বাঙালি মেয়ের তুলনায় বেশ ফর্সা ৷ দীঘল চোখ,উন্নত নাসিকা, কোমর ছাপিয়ে নামতো ঘনকালো কেশরাশি ৷ র্নিমেদ শরীরটা ছিল ৩২-২৮-৩২শের তন্বী ৷ এহেন রুপসী শকুন্তলা রায়ের ১৮ বছর পূর্ণ হবার সময় থেকেই ওদের রুপপুরের বাড়ির সামনে বহু ছেলেপিলে আনাগোনা শুরু হয় ৷ আর সেই দেখেই ওর রক্ষণশীল বাবা সুখেন রায় তাড়াতাড়ি মেয়ের বিয়ের জন্জন্য উঠে পড়ে লাগেন ৷ এবং দেবীপুরের শরৎ দাশগুর ছেলে ২৪ বছরের বিভাসের সাথে শকুন্তলার বিয়ে দিয়ে দেন ৷ বিভাস একটা মোটর গ্যারেজ চালাতো ৷ কিন্তু রুপসী শকুন্তলা ৮ বছেরর বিবাহিত জীবন কাটিয়ে যখন ৭ বছরের ছেলে অপুকে নিয়ে বিধবা হন তখন ওনার বয়স মাত্রই ২৪ বছর ৷ বয়স্ক শ্বশুর ছাড়া বাড়িতে এমন কেউই ছিল না ৷ যার ভরসায় ছেলে নিয়ে দুবেলা মুঠো অন্ন জোটাতে পারেন ৷ তখন সেই অসহায় ওদের পারিবারিক মোটর রিপেয়ারিংএর গ্যারেজ ও বাড়ি ওনার বাপের বাড়ির পরিচিত বিশ্বাস বলে ওনার বাপের বাড়ির সুত্রে পরিচিত ভদ্রলোক দেবেন বিশ্বাসের কাছে খুবই অল্প টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন ৷ ওই টাকা ব্যাঙ্কে জমা রেখে যৎসামান্য সুদে তিনজনের পেট পালতে থাকেন ৷ দেবেন বিশ্বাস শকুন্তলাকে তার ছেলে ও শ্বশুরসহ তার বাড়িতে আশ্রয় দেন ৷ দেবেনের প্রতি কৃতজ্ঞতায় মাত্র ২৪বছরের বিধবা শকুন্তলা সেই আশ্রয় ধরে রাখতে এবং নিজের যৌবনের জ্বালা মেটাতে কখন যে বিশ্বাসবাবুর বিছানায় জায়গা নেন তা বুঝতেই পারেন না ৷ দীর্ঘ ৭/৮ বছর ধরে নিজের এবং একমাত্র সন্তান অপুর দেখা-শোনার বদলে বিশ্বাববাবুর একরকম রক্ষিতার মতোই থাকতে বাধ্য হন ৷ এর সাথে পারিবারিক লালসাও মিটিয়েছেন শকুন্তলা ৷ শ্বশুর শরৎ দাশগুপ্ত তার যুবতী বিধবা বৌমাকে ভোগ করতে ছাড়েন নি ৷ শকুন্তলাও তার বাধ্যবাধকতার কারণে ওই ঘটনায় সামিল হয়েছিলেন ৷ ইতিমধ্যে সময়ের কালচক্রে অপু ২০ বছরের যুবক হয়ে ওঠে ৷ আর শকুন্তলা ও বিশ্বাসবাবুর সর্ম্পকটা যে কি সেটা বুঝতেও শিখেছে ৷ অপু তার মাকে বিশ্বাব বাবুর সঙ্গে মিলনরত অবস্থায়ও দেখেছে ৷ আর তখন ওর মনের মধ্যে মা শকুন্তলাকে বিশ্বাস বাবুর কবল থেকে মুক্ত করবার বাসনা জাগ্রত হয় ৷”
Parent