“একলা আকাশ” --- Ratinath - অধ্যায় ২৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43618-post-4096184.html#pid4096184

🕰️ Posted on December 11, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 650 words / 3 min read

Parent
পর্ব-৬ সকাল থেকে যেন রেলগাড়ি ছুটছে। সেই কোন কাকভোরে উঠে কাজ শুরু করা কণার অভ্যাস । তারপর অনিচ্ছুক অপুকে ঘুম থেকে তুলে তাকে স্কুলের জন্য তৈরি করা ৷ তারপর ওর ঠাকুরদার হাতে তুলে দিয়ে স্কুলে পাঠানো ৷ তারপর একটু হাত খালি করে নিজের জন্জন্য এককাপ চা বানিয়ে খাওয়া ৷ আবার শুরু হয় জলখাবার ও দুপুরের রান্নার কাজ ৷ মতির মা এসে রাতের এঁটোবাসন মেজে, বাসি ঘরদোর ধুয়ে-মুছে দেয় ৷ কিন্তু আজ সকালে উঠে রান্না করতে গিয়ে দেখে সকাল 9ta বেজে গেছে ৷ ওর গত আটবছরের রুটিনে আজই ছেদ পড়লো ৷ একতো ছেলের মামাবাড়ি যাওয়াতে স্কুলে পাঠাবার তাড়া ছিল না ৷ আর দ্বিতীয়টার কথা ভেবে ওর যুবতী শরীরে একটা শিরশিরানি অনুভব করে ৷ গত সন্ধ্যা থেকে প্রায় দেররাত অবধি ও শ্বশুর শরৎবাবুর সাথে শরীরী খেলায় কিভাবে যে মজে উঠলো..সেটাই মনে পড়ে কণার ৷ ঠোঁটের কোণ দিয়ে একটা মুচকি হাসি বেরিয়ে আসে ৷ এখন ও শ্বশুর শরৎবাবু বাজার নিয়ে ফেরেন নি..৷ ……. ও চা বানিয়ে নিজে একটু নেয় আর মতির মা’কে এককাপ দিয়ে বসার ঘরে এসে বসে ৷ মতির মা ঘর ঝাড়ু বন্ধ রেখে কণার সামনে ঘরের মেঝেতে বসে চা খেতে খেতে কণা’কে বলে – ও বৌদিদি তুমি বাপু বাপের বাড়ি কেন চলে গেলিনে..৷ কণা একটা কোনো ভাবনায় বুঁদ ছিল ৷ মতির মা দ্বিতিয়বার আবার ওই কথা বলতেই..ও সম্বিৎ ফিরে পায় ৷ আর বলে-কেন যাবো ওখানে ৷ এটাইতো আমার বাড়ি ৷ আর আমি এই বাড়ির বউ ৷ মতির মা বলে- তা,হলিও..তুমি সমত্থ বয়সের যুবতী বেধবা..আবারতো বে করতিও পারো ৷ আর দেখতি-শুনতিতো তুমি খাসা গো ৷ তোমার কি যৌবনের ক্ষুদা পায় না ৷ কণা মতির মা’র কথা শুনে হেসে বলে- ধ্যৎ মতির মা কুমারী মেয়ে ছেড়ে কে আর আমারমতো বিধবাকে বিয়ে করবে ৷ সাথে আবার একটা ছেলে আছে ৷ তা হলিও ৷ চেষ্টা করতি কি হয় বলো ৷ মতির মা বিজ্ঞেরমতো বলে ওঠে ৷ কণা এবার মতির মাকে ধমকে বলে- তুমি এইসব কথা ছাড়ান দিয়ে তাড়াতাড়ি ঘরের কাজ সারো মতির মা ৷ বাবা এই এখুনি বাজার-সওদা নিয়ে এলেন বলে ৷ মতির মা চুপুচাপ চা শেষ করে…বিড বিড় করে বলতে থাকে..আমার আর কি? তুমার বয়স দেহেই এত কথা বললুম ৷ বুঝবে পরে গরীবের কথা বাসি হলে ৷ মতির মা হাতের কাজ সারতে থাকে ৷ কণা মতির মার বিড়বিড়ানি শুনতে শুনতে মনে মনে নিজেকে বলে- তুই আর কি বুঝবি মতির মা ৷ আর আমিইবা কি বলবো ৷ আমার দুঃখ-সুখ,আমার আনন্দ-বেদনা,আমার যৌবনজ্বালা কেমন,কি,কতো আর তা কেমন করে মিটছে ৷ ইতিমধ্যে শরৎবাবু বাজার নিয়ে ঢুকতে কণা চোখের ইশারা করে মতির মার উপস্থিতির কথা জানায় ৷ কণার শ্বশুর কণার ইঙ্গিত বুঝে একটু জোরে চেঁচিয়ে বলেন- বৌমা,বাজার তোলো ৷ আর এতো বেলা অবধি ঘুমানোর অভ্যাস ছাড়ো ৷ আজ সকালের এককাপ চাও জুটলো না এখনো ৷ কণাও গতরাতে এইরকম করার কথা যে শ্বশুর শরৎ মনে রেখেছেন এবং সেই মতো কাজও করলেন দেখে কণাও ঝাঁঝিয়ে উঠে বলে..কেন? আমাকে কি দাসীবাঁদী পেয়েছেন নাকি ? যে রোজ একটাইমে সব দিতে হবে ৷ বলতে বলতে কণা বাজারের ব্যাগ নিয়ে শ্বশুরের দিকে তাকিয়ে একটা চোখ ঠেরে রান্নাঘরে চলে যায় ৷ মতির মা রান্নাঘরে বাসন রাখতে এসে এই কপট ঝগড়া বুঝতে না পেরে ফিসফিসিয়ে কণা’কে বলে- নাও গো বৌদি তোমার শোউর মিনসের খিঁটখিঁটানি শুরু হয়ে গেল ৷ এবার চলবেনি এটা ৷ তুমি সইতি পারলি হয় ৷ কণা মতির মাকে একটু কড়া করে বলে-আহ্,মতির মা নিজের কাজ করোতো ৷ আর হ্যাঁ,মাছটা কাটাই আছে একটু ধুয়ে এনে দাও ৷ মতির মা মুখটা বেঁকিয়ে মাছ নিয়ে ধুতে চলে যায় ৷ কণা শ্বশুর শরৎবাবুর জন্য চা বানিয়ে ওনার ঘরে গিয়ে চা’টা টেবিলে রাখতেই শরৎ কণা’কে জড়িয়ে ধরে বলে- বকাবকির শুরুটা কেমন হোলো ৷ কণা একটু বিরক্তি দেখিয়ে শ্বশুরের আলিঙ্গণ থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে-উফ্,যা করোনা তুমি ৷ মতির মা এখনো যাইনি ৷ দেখলে ওই বকাবকির খেলা ভন্ডুল হয়ে যাবে ৷ তবে শুরুটা ভালোই হয়েছে ৷ আজ-কালের মধ্যেই পাড়া প্রতিবেশীরা আমাদের এই অশান্তির খবর পেয়ে যাবে ৷ কণা’র শ্বশুর শরৎ চা’য়ে চুমুক দিয়ে মিটিমিট করে হাসতে থাকেন ৷ কণা শ্বশুরের হাসি দেখে জিভ ভেঙচে বলে- উলিবাবা,হাসি দেখি আর ধরে না তোমার ৷ কণা’র শ্বশুর শরৎ বলেন- বাহরে,হাসতে কি মানা নাকি? তাড়াতাড়ি রান্না সারো .. কণা বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলে যায় ৷
Parent