Golpo-The Villain (Writer: Nishath Tanveer Nilasha) - অধ্যায় ২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-52693-post-5097025.html#pid5097025

🕰️ Posted on January 11, 2023 by ✍️ Bangla Golpo (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1302 words / 6 min read

Parent
পার্ট -০২ রুদ্র রুম থেকে বেড়িয়ে যেতেই স্নেহা ড্রেসটা পরে নিলো,,, সারা শরীর ব্যাথার কারনে হাটতে কষ্ট হচ্ছে স্নেহার,শরীর যেন চলতেই চাচ্ছে না। রুম থেকে কোনোরকম বের হয়ে আশেপাশে তাকালো স্নেহা,একটু সামনে এগোতেই দেখলো ড্রয়িং রুমে রুদ্র বসে আছে, তবে এই রুদ্র আগের সেই মায়াভরা চেহারার রুদ্র নেই, চেহারার মাঝে ফুটে উঠছে এক ধরনের হিংস্রতা। রুদ্রের দিকে তাকিয়ে কথা গুলো ভাবছে স্নেহা। -কি হলো ওখানে দাঁড়িয়ে আছো কেন? - রুদ্রের কথায় ঘোর কাটলো স্নেহার, ধীর পায়ে রুদ্রের সামনে এগোচ্ছে স্নেহা। কিন্তু না স্নেহা তার শরীরের সাথে পেরে উঠছে না, কান্না করে দিয়ে নিচে বসে পড়লো স্নেহা, - আমি হাটতে পারছিনা,  আমার সারা শরীর ব্যাথা করছে,( কাঁদতে, কাঁদতে রুদ্রকে বললো স্নেহা) - স্নেহার অবস্থা দেখে রুদ্রের খুব কষ্ট হচ্ছে, মনে হচ্ছে বুকের ভেতরে কেও ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করছে, রুদ্র স্নেহার দিকে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকেই স্নেহাকে কোলে তুলে নিলো। ব্যাপারটা অতি দ্রত হওয়ায় স্নেহা কিছুই বুঝতে পারলো না। - তুমি আমাকে কষ্ট দিয়েছো, তো কি হয়েছে!  আমি তো তোমাকে ভালোবেসেছে তাইনা। কিভাবে তোমার কষ্ট দাঁড়িয়ে,দাঁড়িয়ে দেখি। - স্নেহা রুদ্রের দিকে এক পলকে তাকিয়ে আছে,,, রুদ্রের দিকে গভীরভাবে তাকিয়ে স্নেহা বলতে শুরু করলো, ( ভালোবাসা মানে বুঝি কারো শরীরটাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে নিজের করে নেয়া? এটাতো ভালোবাসা না। এটা হচ্ছে চাহিদা, সম্মান,বিশ্বাস ছাড়া কোনো ভালোবাসা হতে পারেনা। আপনার চাহিদাকে ভালোবাসা নামে পবিত্র নামটা দেবেন না প্লিজ। - রুদ্রের দুটো চোখ লাল হয়ে আছে, রুদ্র কিছু বলতে যেয়েও বললো না। স্নেহাকে কোলে নিয়েই হোনহোন করে বেড়িয়ে গেলো, স্নেহাকে গাড়িতে বসিয়ে নিজেও গাড়িতে উঠে বসে গাড়ি স্টার্ট করলো,,, গাড়ি আপন গতিতে চলছে, গাড়িতে বসে জানালাভেদ করে আসা বাতাস স্নেহার অনেক ভালো লাগে, যখন অনেক বৃষ্টি হয় তখনও স্নেহা গাড়ির কাচ খোলা রাখে, ড্রাইভার অনেকবার বন্ধ করতে চাইলেও স্নেহা বাধা দেয়,,, তবে আজ কেনো যেন বাতাস তার ভালোলাগছে না, আনমনে বসে তার সাথে হয়ে যাওয়া ঘটনার কথা ভাবছে স্নেহা। লুকিং গ্লাস দিয়ে রুদ্র বারবার দেখছে স্নেহাকে অনেক কান্নার ফলে স্নেহার চোখের কোনে এখনো যে বিন্দু জল জমে আছে তা রুদ্রের চোখকে এরাতে পারেনি। ১ ঘন্টা পর স্নেহা তার বাড়ি পৌছালো, দরজা খুললো স্নেহার মা, - কি রে মা তুই? তুই ঠিক আছিস।  তোর কিছু হয়নি তো? আর তোর এই অবস্থা কেনো? (স্নেহার মা) স্নেহা মায়ের দিকে একবার করুণ  ভাবে তাকালো, তারপর তার মাকে জড়িয়ে ধরেই কেঁদে দিলো। - রুদ্র স্নেহাকে তার বাসায় পৌছে দিয়েই আবার গাড়ি নিয়ে ব্যাক করেছে,,,, আজ রুদ্রের বুকেও সে তিব্র ব্যাথা অনুভব করছে স্নেহাকে সে ভালোবেসেছিলো তার শরীরটাকে নয় তবে আজ সে স্নেহাকে না পেলেও স্নেহার শরীরটাকে পেয়েছি। তার হয়তো আজ অনেক খুশি হবার কথা তবে সে পারছেনা খুশি হতে, বাড়ি ফিরেই রুদ্র কাওকে ফোন করলো? - হ্যালো, আশিস? - হ্যা স্যার বলুন? - তোকে যে কাজটা করতে বলেছি কাল যেন সে কাজটা হয়ে যায়, - স্যার অলমোস্ট ডান, সব ব্যাবস্থা হয়ে গিয়েছে এখন শুধু কাল সকালের অপেক্ষা। - গুড,নাইছ জব আশিস!! বলেই রুদ্র ফোন রেখে সোফার সাথে হেলান দিয়ে একটা ডেভিল হাসি দিলো। আর এদিকে, স্নেহা তার মাকে ধরে কেঁদেই যাচ্ছে,  স্নেহাকে খুজে বের করার জন্য স্নেহার বাবা তার ক্লোস ফ্রেন্ড এসপি আজিজের সাহায্য নিতে গিয়েছিলো, বাড়ি ফিরতে অনেক রাত হয়েছে, এসেই সে জানতে পারে রুদ্র এসেছিলো স্নেহাকে দিয়ে গেছে, আদরের মেয়ের কান্না স্নেহার বাবা আর নিতে পারছে না, তাই সে রুদ্রকে ফোন দিলো,,,, ? - রুদ্র ফোন ধরতেই, - কুকুরের বাচ্চা তুই আমার মেয়েটার এতোবড় ক্ষতি করলি তোকে আমি ছাড়বো  না, - হ্যা শশুরমশাই আমি জানি আপনি আপনার মেয়ের জামাইকে ছাড়বেন না, আদর করে জামাই আদর খাওয়াবেন, - রাসকেল,  আই কিল ইউ। সাহস থাকে তো সামনে এসে কথা বল। - হুম শশুর মশাই আমি সামনে আসবো না, আপনি নিজেই আমাকে আসতে বলবেন। আর আপনার ডাক পেলেই আমি আসবো। বলেই হাসতে, হাসতে ফোন কেটে দিলো রুদ্র। ফোন কেটে নিজে,নিজেই বলতে লাগলো রুদ্র, - আপনারা বাবা মেয়ে এতোদিন হেসেছেন এখন থেকে রুদ্রের সময় শুরু এখন থেকে রুদ্র হাসবে আর আপনারা কাঁদবেন। পরেরদিন, পেপারে হাত দিতেই যেন দুনিয়া ওলট পালট হয়ে যাচ্ছে  আফজাল খানের, সাথে, সাথেই মোবাইল বেজে উঠলো আফজাল খানের, - আফজাল এসব কি শুনছি? নিউজে কি দেখাচ্ছে?যা শুনছি তা কি সত্যি? কাল কি তাহলে,বন্ধুর কথা শেষ হয়ে যাবার আগেই ফোন কেটে দিলো আফজাল খান(আজিজ)। বাহিরে চিল্লাপাল্লা শোনা যাচ্ছে, দারোয়ান দৌড়ে এলো, - স্যার বাহিরে সাংবাদিকরা ভির করেছে আপনার সাথে দেখা করতে চায়, আটকানোর চেষ্টা করছি কিন্তু কথা শুনছে না,, সারারাত কান্নাকাটি করার ভোরে দিকে চোখ লেগে এসেছিলো স্নেহার।  সকালের দিকে চিল্লাপাল্লাতে ঘুম ভেঙে যায় স্নেহার, ব্যাপারটা দেখতে স্নেহা নিচে নামে,   দারোয়ান সাংবাদিকদের আটকাটে সক্ষম হয়না, একপ্রকার জোর করেই সাংবাদিকরা বাড়িতে প্রবেশ করে। - স্যার আপনার সাথে একটু কথা বলতে চাই, আজ খবরের কাগজে আর টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখাচ্ছে আপনার মেয়েকে কাল সকাল থেকে খুজে পাওয়া যায়নি তারপর জানা গেছে যে তাকে কেও তুলে নিয়ে কেও ''. করেছে কথাটা কতোটুকু সত্যি আমরা জানতে চাই,, আফজাল খান কি উত্তর দেবে বুঝতে পারছে না, আফজাল খান কিছু বলার আগেই সাংবাদিকরা দৌড়ে স্নেহার কাছে যায়,,, - ম্যাম আপনিও দেখছি এখানে আছেন,  ম্যাম আমাদের প্লিজ বলুন কাল আপনাকে কারা কিডন্যাপ করেছিলো?  আপনার বাবা একজন শিল্পপতি  তার তো অনেক শত্রু আছে কে হতে পারে, আপনার ধারনা কি? আচ্ছা ম্যাম আপনাকে কতোজন মিলে ''. করেছিলো আপনি কি তাদের দেখলে চিনতে পারবেন? -স্নেহা যেন কথাগুলো আর নিতে পারছে না সে আর কোনো কথার কোনো উত্তর নাই দিয়ে দৌড়ে তার রুমে চলে গেলো। - আর এদিকে আফজাল খান সবাইকে বোঝাতে চেষ্টা করছে যে এমন কিছুই হয়নি এসব মিথ্যা। কিন্তু স্নেহা হাত, পা বাধা অবস্থায় একটা চেয়ারের সাথে বাধা এ ছবি টিভি নিউজে দেখাচ্ছে ,  তাই কেও আফজাল খানের কথা বিশ্বাস করছে না,,,,, - আফজাল খান কাওকে কোনো উত্তর না দিয়ে নিজের রুমে চলে গেলো, কারন সে জানে এ বিপদ থেকে আর তার মেয়ে স্নেহাকে  এই ঘৃনিত  অপবাদ থেকে একজনই বাঁচাতে পারবে, তাই আফজাল খান নিজের সব রাগ ভুলে ফোন হাতে নিয়ে, � - হ্যালো, - হ্যা শশুর মশাই আমি জানতাম আপনি আমাকে ফোন করবেন। তা বলুন আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি? - আমার মেয়েটার সম্মান নিয়ে টানাটানি পড়েছে, তোমার হাত জোর করছি  ওকে তুমি বাচাও। আর নয়তো সুইসাইড  করা ছাড়া আমার মেয়েটার আর কোনো গতি থাকবে না, - হাহাহা, রুদ্র বিনামূল্য কোন কাজ করেনা, আমি আপনার আর আপনার মেয়ের সম্মান বাঁচাতে পারি তার বদলে আমি কি পাবো? -তুমি যা চাইবে তাই, - আচ্ছা এই কথাটা যেন মনে থাকে, আমি আসছি। বলেই রুদ্র ফোন কেটে দিলো,, সাংবাদিকরা সবাই ভির করে আছে, সবার সামনে একটা কালো গাড়ি এসে দাড়াতেই সবার নজর সে কালো গাড়ির দিকে,,, গাড়ি থেকে রুদ্র নেমেই সবাইকে বলতে শুরু করলো,,, - আপনারা এখানে কি করছেন? - আসলে স্যার নিউজে? - হ্যা নিউজ আমিও দেখেছি! কিন্তু সত্যিটা না জেনে এভাবে কাওকে হেরেজ করা যে অপরাধ আপনারা কি জানেন না, - মানে???? - মানে হলো,  নিউজে আপনারা আধ খবরটুকু জেনেছেন, হ্যা আফজাল খানের মেয়ে কিডন্যাপ হয়েছিলো, কিন্তু তার মেয়ে ফোনের জি পি এস ট্রেকার দিয়ে আধঘন্টার মাঝেই তাকে খুঁজে বের করা হয়েছিলো, - কিন্তু স্যার আমাদের কাছে খবর আছে তার মেয়েকে কাল ১২ অবদি খুঁজেছে পুলিশ। - হ্যা তা ঠিক আসলে ও আমার সাথে ছিলো, আর আমাদের দুজনের ফোনে নেট কানেকশন পাচ্ছিলাম না তাই কাওকে কিছু জানাতেও পারিনি। - কিন্তু একটা মেয়ে এতো রাত অবদি আপনার সাথেই বা কেন ছিলো,, - এবার রুদ্র রাগে কটমট করতে, করতে বললো,কারন সে আমার বিয়ে করা বউ। কিছু দিনের মাঝেই আমরা পার্টি দিয়ে সবাইকে সব কিছু জানাতাম। আর আমার শশুর ব্যাস্ততার কারনে পার্টিটা দিতে দেরি হচ্ছে, আর আপনারা তো সবাই জানেন যে বেশি সফল মানুষের পেছনে শত্রু বেশি থাকে তাই আপনাদের বলছি পূরোটা না জেনে কাওকে এভাবে কাওকে হেনস্তা করবেন না, সাংবাদিক রা আফজাল খান কে প্রশ্ন করলো এসব সত্যি কিনা, মেয়ের সম্মান বাচাতে আফজাল খান উত্তর দিলো এসব সত্যি আর রুদ্রই তার মেয়ের জামাই,,, একে একে সবাই ক্ষমা চেয়ে চলে গেলো, ভেতর থেকে স্নেহার মায়ের চিৎকার ভেসে আসছে, স্নেহার বাবা আর রুদ্র দুজনেই দৌড়ে গেলো, - দেখোনা স্নেহা সেই কখন দরজা আটকেছে এতোবার খোলার জন্য বলছি খুলছে না, আমার মেয়েটা উলটা পালটা কিছু করে বসলোনা তো( স্নেহার মা) স্নেহার মায়ের কথা শুনে রুদ্র দরজা ধাক্কাতে,ধাক্কাতে একে সময় দরজা ভেঙে ফেললো, তারপর যা দেখলো তার দেখার জন্য কেওই প্রস্তুত ছিলো না, চলবে,,, ( গল্পটা কেমন হয়েছে জানাবেন, উৎসাহ পেলে গল্প লিখতে ভালো লাগে, আর যাদের ভালো লাগবে না প্লিজ এড়িয়ে যাবেন।  সাথে থাকার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ)
Parent