ঝাপটা (Flapping) --- রাখাল হাকিম - অধ্যায় ২৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43995-post-4494930.html#pid4494930

🕰️ Posted on December 23, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 409 words / 2 min read

Parent
খুকীর উপর আমার মেজাজটাই খারাপ হলো। মেয়েটাকে এত ভালোবাসি, অথচ মুনাকে মিথ্যে বললো। আমি কোন কথা না বলেই ছুটতে থাকলাম নিজের পথে। তিন রাস্তার মোড়ে আসতেই হঠাৎ মিষ্টি একটা কন্ঠ কানে এলো, খোকা? আমি ফিরে তাঁকালাম। দূর থেকেই দেখলাম উর্মি তাদের বাড়ীর দরজায় দাঁড়িয়ে। চৌকাঠটা ধরে অভিমানী চেহারা করে রেখেছে। পরনে জংলী ছিটের হাত কাটা লং সেমিজ। বাহু দুটি উদাম। বাহু দুটি দেখেই মনে হলো, খানিকটা স্বাস্থ্যও বেড়েছে। আমি এগিয়ে গেলাম। কাছাকাছি গিয়ে বললাম, কতদিন পর? উর্মি বললো, কি করবো, মা বাবা আসতে দিতে চাইছিলো না। অনেকদিন পর উর্মিকে খুব কাছাকাছি থেকে দেখলাম। কি চেহারা কি হয়ে গেছে। চেহারায় কেমন যেনো বয়সের একটা ছাপ পরেছে। আমি বললাম, একি চেহারা হয়েছে তোমার? উর্মি বললো, খুব খারাপ হয়েছে? কি করবো, দুশ্চিন্তায় দুশ্চিন্তায়। আমি বললাম, স্যরি, আমার জন্যে তোমার এত কিছু হয়ে গেলো। উর্মি বললো, তোমার একার দোষ হবে কেনো? আমারও ইচ্ছা ছিলো বলেই এমন হয়েছে। কিন্তু, এমন কিছু ঘটে যাবে, ভাবতেও পারিনি। জীবন এর উপর দিয়ে বড় ধরনের একটা ঝড় বইয়ে গেলো। বাদ দাও আমার কথা, তোমার কথা বলো। কেমন ছিলে এতদিন? আমি বললাম, ভালো। উর্মি বললো, মৌসুমী আপা? আমি বললাম, ও তো এখন বড় শিল্পী।   উর্মি দরজার সামনে ধাপটার উপরই বসলো। মিষ্টি করেই হাসলো, তার চক চক করা সাদা দাঁতগুলো বেড় করে। বললো, বলো কি? শিল্পী মানে? আমি উর্মির দিকে এক পলক পলকহীন ভাবেই তাঁকিয়ে রইলাম, সেই সরু ঠোট, সেই চক চক করা দুধে দাঁত, সেই অপূর্ব হাসি। শুধু তাই নয়, হাত কাটা জামাটার গলে তার ডান স্তনটাও পুরুপুরি চোখে পরছিলো। আগের চাইতে অনেক বড় বড় লাগছে। আমি বললাম, মানে, আগামী সপ্তাহেই বাজারে ছোট আপুর গানের ক্যাসেট বেড়োবে। উর্মি আনন্দে উদ্বেলিত হয়েই বললো, বলো কি? কতদিন পর একটা আনন্দের সংবাদ শুনলাম। খুব দেখতে ইচ্ছে করছে মৌসুমী আপাকে। নিশ্চয়ই আগের মতো ম্যূড অফ থাকে না। আমি বললাম, হুম, আগের চাইতে অনেক সুন্দরীও হয়েছে। রূপ চর্চা করে শুধু। উর্মি বললো, তাতো করবেই। এই শোন না, আমার কিন্তু এখুনিই খুব দেখতে ইচ্ছে করছে। এখন বাড়ীতে আছে? আমি বললাম, না, ছুটির দিনেই খুব ব্যাস্ত থাকে। রিহ্যার্সাল, অডিশন, রেকর্ডিং, এটা সেটা। উর্মি আনন্দপূর্ণ গলায় বললো, উফ আমার যে কি আনন্দ লাগছে। ইচ্ছে করছে মৌসুমী আপুর কাছে আমিও গান শিখি। আমি লক্ষ্য করলাম, এই একটু আগেও উর্মির চেহারাটা যতটা খারাপ লেগেছিলো, সেটা মুহুর্তেই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। দুশ্চিন্তা কি সত্যিই মানুষের চেহারা খারাপ করে নাকি? আর সুখের মুহুর্ত গুলো মানুষের চেহারাকে উজ্জ্বল করে তুলে নাকি? আমি আরো লক্ষ্য করলাম, উর্মির চেহারাটা ছয় মাস আগেও যেমনি মনে হয়েছিলো, এখনো ঠিক তেমনি সুন্দর শিশু সুলভই মনে হতে থাকলো। শুধু আগের চাইতে খানিক মোটিয়ে গেছে। বুকটাও বেশ উঁচু হয়ে উঠেছে।  
Parent