ঝাপটা (Flapping) --- রাখাল হাকিম - অধ্যায় ২৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43995-post-4501825.html#pid4501825

🕰️ Posted on December 25, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 424 words / 2 min read

Parent
উর্মি আমার উর্মি। আমি উর্মির কাছেই শক্তি প্রার্থনা করলাম মনে মনে। মনে মনে বললাম, উর্মি, আমি রেখা দিদির কাছে যাবো না। তারপরো এই সেক্সী ডানপিটে মেয়েটার হাত থেকে বাঁচাও। তুমি তো আমাকে বাস্কেটের অনেক কৌশল শিখিয়েছিলে? সেগুলোর আর কি আছে? আমার একে একে সবই মনে পরতে থাকলো। আর মাত্র এক মিনিট। মুনার আঠাশ, আমার সাতাশ, আর শেষ স্কোর আমার। যদি মিস হয়, তাহলে মুনার গোলাম। বাকীটা জীবন আমাকে শুধু যন্ত্রনা দিয়ে যাবে। আমি মনে মনে উর্মির উদ্দেশ্যেই বললাম, উর্মি, আমি তোমার কাছেই ফিরে আসছি। তোমার ভালোবাসার কত শক্তি আছে আমি দেখতে চাই। তারপর, বলটা ছুড়ে ফেললাম। অতঃপর, অবিশ্বাস্য ভাবেই আমি নাচতে থাকলাম। পাগলামীর এমন একটি খেলায় ফলাফল ছিলো ড্র। আমি মুনার কাছে গিয়ে বললাম, ড্র হলে কার কি করা উচিৎ? মুনা তার কমলা রং এর ট্র্যাক স্যূট এর জ্যাকেটটা গায়ে জড়িয়ে নিলো। তারপর ডাগর ডাগর চোখে তাঁকিয়ে বললো, ড্র হওয়া মানে তো সহজ। দুজন দুজনকে ভালোবাসবো। পারবে না আমাকে ভালোবাসতে? আমি থতমত খেয়ে বললাম, কি বলছো মুনা? তুমি এমন চমৎকার, সুন্দরী একটা মেয়ে। তোমাকে আমি ভালোবাসবো? না মানে, তুমি আমাকে? মুনা বললো, কেনো? সুন্দরীদের বুঝি কাউকে ভালোবাসতে নেই? আমি অপ্রস্তুত হয়েই বললাম, না মানে, কথা ছিলো যদি আমার জয় হয়, তাহলে, তোমার দুধ, ছুয়া, ড্র হলে ওসবের? মুনা সিরিয়াস হয়েই বললো, আমার জীবনে পরাজয়ও নেই, ড্রও নেই। ড্রও এক রকম পরাজয় এর মতোই। তার জন্যেই তো জ্যাকেটটা গায়ে জড়িয়ে নিলাম। ছুতে চাইলে তাড়াতাড়ি ছুও। নইলে আমি চেইন টানবো। আমি বললাম, না থাক। তুমি একটা ইনোসেন্ট মেয়ে। আমি তোমার কোন ক্ষতি করতে চাই না। মুনা তার ট্র্যাক স্যূট জ্যাকেটটার চেইন টেনে বুকটা ঢেকে, চিৎকার করেই বললো, বুদ্ধু কোথাকার! তারপর, তার মাই বাস্কেট বল, মাই স্কেইট বোর্ড, সাউডার ব্যাগটাতে ঢুকিয়ে, ব্যাগটা কাঁধে চেপে মাউন্টেইন বাইকটার দিকেই এগিয়ে গেলো। সাইকেলের স্যাডেলে বসে পেছন ফিরে তাঁকিয়ে, জিভ বেড় করে ভ্যাংচি কাটলো একবার। তারপর সাই সাই করে সাইকেলটা চালিয়ে ছুটতে থাকলো। আমিও এক প্রকার হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। উপজেলা পার্ক গ্রাউণ্ড থেকে বেড়িয়ে বড় রাস্তাতেই পা বাড়ালাম। নিশ্চিন্ত মনেই হাঁটছিলাম। হঠাৎই ঝাপটার মতো সাই সাই করে আমার গা ঘেষে কি যেনো ছুটে গেলো। ভয়ে আমার কলজে শুকিয়ে উঠলো। সামনে তাঁকিয়ে দেখলাম, মুনা সাইকেল থামিয়ে পেছন ফিরে আবারো জিভ বেড় করে ভ্যাংচি কাটছে।   ইচ্ছে ছিলো শিশিরদের বাড়ীতেই যাবো, রেখা দিদির সাথে দেখা করতে। মুনার সাথে দৈবাৎ এমন একটা প্রতিযোগীতা করতে গিয়ে, প্রাকৃতিক ভাবেই উর্মি আমার মাঝে এক ধরনের শক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছিলো। যে মেয়েটি আমার মনে এমন দৈব শক্তির আবির্ভাব দিয়েছে, তার সাথে প্রতারণা করি কি করে? আমি শিশিরদের বাড়ীর পথে না গিয়ে, উর্মিদের বাড়ীর পথেই রওনা হলাম। নিঃশ্বাস আমার তুমি, জানে এই দুনিয়া প্রিয়া আমার প্রিয়া কিভাবে তোমায় ছাড়া আমি বাঁচি যেওনা দূরে, থাকো কাছাকাছি তুমি দূরে গেলে প্রাণটা যাবে উড়িয়া
Parent