ঝাপটা (Flapping) --- রাখাল হাকিম - অধ্যায় ৪৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43995-post-4768697.html#pid4768697

🕰️ Posted on April 18, 2022 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 387 words / 2 min read

Parent
পঙ্কজ চৌধুরী বললো, তুমি আমাকে আপনি আপনি করে ডাকো কেনো? তোমার মুখে তুমি ডাক শুনতে খুবই ইচ্ছে করে। তোমাকে যে কতটা ভালোবেসে ফেলেছি, তা আমি নিজেও জানিনা। আর তোমাকেও বুঝাতে পারি না। জানো, আমার প্রিয় নায়িকা কে? মৌসুমী বললো, কে? পঙ্কজ চৌধুরী বললো, সুবর্ণা মুস্তাফা। কোথায় যেনো তোমার চেহারার মিলও খোঁজে পাই। তবে, তুমি সুবর্ণা মুস্তাফার চাইতেও অনেক অনেক সুন্দরী। মৌসুমী বললো, সুবর্ণা মুস্তাফা তো টি, ভি, নায়িকা। আমাকে সিনেমার নায়িকা বানাতে চাচ্ছেন কেনো? পঙ্কজ চৌধুরী বললো, উত্তরটা সহজ। টি, ভি, জগত এর কাউকেই আমি চিনি না। টি, ভি, তে একটিবার গান গাওয়ার জন্যে কত চেষ্টাই না করেছি। অথচ, কারো পাত্তাই পাইনি। কিন্তু আমার গাওয়া গান, সিনেমাতে যুক্ত হয়েছে। কেউ জানেও না। পরিচালক সাহেব সংগ্রহের গান বলে চালিয়ে দিয়েছিলো। আমি মেনে নিতে পারিনি। সেই হিসেবেই সিনেমা জগৎটার সাথে আমার পরিচয়, জানা শুনা। মৌসুমী দেয়ালে মাথা ঠেকিয়ে মুচকি হাসলো। বললো, সিনেমা জগৎে আপনার যা পরিচিতি, তাতে তো মনে হয়, আমাকেও কোন এক্সট্রা চরিত্রই দেবে। অভিনয় এর ব্যাক গ্রাউণ্ড যেমনি নেই, অভিনয়ও তো জানিনা। আর সিনেমার নায়িকাদের জন্যে যা খুবই প্রয়োজন, তা হলো নাচ। আমি তো নাচও পারি না। পঙ্কজ চৌধুরী বললো, নাচ আসলে অঞ্জনা রহমান ছাড়া কোন নায়িকাই পারে না। আর নাচ পারে বলেও তো অঞ্জনা রহমান খুব নামী দামী নায়িকাও না। সিনেমাতে যেসব নাচ দেখো নায়িকাদের, সবই জোড়া তালি। আমি স্যূটিং দেখি তো। চার পাঁচটা নাচের শট নেয়। তারপর জোড়া তালি দিয়ে, একটা নাচের দৃশ্য বানায়। আসল ব্যাপার হলো, ক্যামেরা ফেইস। যা নায়িকাদের জন্যে খুবই জরুরী। তোমার সেই ক্যামেরা ফেইস আছে। মৌসুমী বললো, সবই বুঝলাম। তাহলে বলছেন, ওসব রাজ্জাক, সোহেল রানা, ফারুক ওদের সাথে আমার প্রেমের অভিনয় করতে হবে? ওরা তো আমার বাবার বয়েসী। পঙ্কজ চৌধুরী বললো, অভিনয় জগৎটাই এমন। সব হলো মেক আপ এর কারসাজী। একটা বুড়ু লোককেও যুবক বানিয়ে ফেলে, আবার একটা তরুনী মেয়েকেও বুড়ী বানিয়ে ফেলে। ওসব ভেবে তোমার কাজ কি? তোমার তো দরকার টাকা। অভিনয় করবে, কাড়ি কাড়ি টাকা পাবে। একটা সিনেমায় প্রতিশ্রুতি করলে, সাইনিং মাণিই তো পাবে লাখ লাখ। মৌসুমী বললো, তো আপনি কত পাবেন? পঙ্কজ চৌধুরী আমতা আমতাই করতে থাকলো। বললো, আমি টাকা কেনো পাবো? আমি তো শুধু তোমাকে একটা লিফট দেবো। দেশের নামকরা একজন নায়িকা হবে, তা দেখেই তো আমার কত সুখ। মৌসুমী কথা প্যাচালো। বললো, আমি নায়িকা হলে, আপনার সুখের কারন? আর আমার যে টাকার দরকার সে কথা আপনাকে কে বললো? আমার বাবার যে পরিমাণ টাকা আছে, তা দিয়ে তো শুধু আপনাকেই নয়, পুরু একটা স্টুডিওও কিনে নিতে পারে।
Parent