ঝাপটা (Flapping) --- রাখাল হাকিম - অধ্যায় ৪৭

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43995-post-4769314.html#pid4769314

🕰️ Posted on April 18, 2022 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 422 words / 2 min read

Parent
পঙ্কজ চৌধুরী বললো, তা আমি জানি। তারপরও বলি, তোমার বাবার টাকা তো আর তোমার নয়। উত্তরাধিকার সূত্রে কিছু হলেও পেতে পারো। তবে, তোমার নিজস্ব কিছু সহায় সম্পদ তো দরকার। ঠিক তখনই আরো একটা গাড়ী এসে ঢুকলো শিল্পকলা একাডেমীর ভেতরে। লোকটা গাড়ী পার্কিং করে, গাড়ী থেকে বেড়িয়ে ভেতরে ঢুকতেই উদ্যত হচ্ছিলো। অথচ, পঙ্কজ চৌধুরী তাকে ইশারা করে ডাকলো, অজিৎ দাদা, এদিকে, এদিকে আসুন। মৌসুমী চোখ সরু করেই লোকটার দিকে তাঁকালো। বললো, উনি কে? পঙ্কজ চৌধুরী হাসতে হাসতেই বললো, উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্যেই তো, তোমাকে আসতে বলেছিলাম। সিনেমার প্রডিউসার। অজিৎ কুমার, মানে অজিৎ দাদা। উনিই তো সিনেমার সেই পরিচালকটাকে জবাবদিহি করিয়েছিলো, কেনো আমার গানটাকে সংগ্রহের বলে চালিয়ে দিয়েছিলো। আমাদের এলাকারই লোক। তবে খুব ছোটকাল থেকেই রাজধানী শহরে থাকে। বিশাল ধনী। রাজধানীতেও দুটো বাড়ী। নিসন্তান, একটা বাড়ী খালি পরে আছে। চাইলে সে বাড়ীটা তোমাকেই দিয়ে দেবে। বিশাল বাড়ী, রাজকন্যার মতো জীবন কাটাবে। খাবে দাবে, ঘুমুবে, আর অভিনয় করবে। সুপার স্টার হয়ে যাবে দুদিনে। অজিৎ কুমার নামের পঞ্চাশোর্ধ লোকটা মৌসুমী আর পঙ্কজ চৌধুরীর দিকেই এগিয়ে গেলো। কাছাকাছি এসে বললো, তোমরা এখানে দাঁড়িয়ে কেনো? পঙ্কজ চৌধুরী বললো, স্যরি দাদা, ওর কথাই বলেছিলাম। মৌসুমী, একটু অন্য রকম মেয়ে। বলতে পারেন স্বাধীনচেতা। ওর ইচ্ছার বিরূদ্ধে কিছুই করা যায়না। ভেতরে যেতে বললাম, গেলো না। বললো, এখানে দাঁড়িয়েই সব কথা বলতে। আপনিই বলুন দাদা, কাজের কথা কি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বলা যায়? অজিৎ কুমার মৌসুমীর আপাদ মস্তক একবার দেখলো। তারপর চোখ কপালে তুলে বললো, মাই গড, তোমার মুখে যা শুনেছিলাম, তার চাইতেও তো দেখছি প্রেসাস গোল্ড। টাকার অংকটা বলেছিলে? পঙ্কজ চৌধুরী বললো, জী না দাদা।   অজিৎ কুমার আবারো একবার মৌসুমীর আপাদ মস্তক নিরীক্ষণ করলো। তারপর বললো, না বলে খুব ভালো করেছো। ওকে আমার চাই ই চাই। মূল্য এক কোটি টাকা। অজিৎ কুমার এর কথা শুনে মৌসুমী খিল খিল করেই হাসলো, তার সাদা গেঁজো দাঁত গুলো বেড় করে। বললো, মাত্র এক কোটি টাকা? অজিৎ কুমার গম্ভীর ভরাট গলায় বললো, আরো বেশী চাও? দু কোটি? পাঁচ কোটি? ঠিক আছে দশ কোটিই হবে। তবে একটাই শর্ত। পর পর আমার পাঁচটা ছবিতে চুক্তি করতে হবে। ছবিগুলো মুক্তি না পাওয়া পর্য্যন্ত অন্য কোন ছবিতে চুক্তি করা যাবে না। এবার চলো, লাঞ্চ এর সময় হয়ে গেছে। মৌসুমী বললো, কি করে ভাবলেন, আমি আপনাদের সাথে লাঞ্চ করতে যাবো? মৌসুমীর কথা শুনে অজিৎ কুমার অবাকই হলো। সে আবারো মৌসুমীর আপাদ মস্তক নিরীক্ষণ করলো। বললো, এই মেয়ে, তোমার এত কি দেমাগ? গায়ের রং তো কালো, চেহারাটাই শুধু মিষ্টি। এমন মেয়েরা তো আমার পায়ের কাছে পরে থাকে সিনেমায় সাধারন একটা রোল পাবার জন্যে। তোমাকে আমি নায়িকা হবার চান্স দিচ্ছি। আর তুমি বলছো আমার সাথে লাঞ্চে যাবে না? মৌসুমী বললো, কোন মেয়েরা আপনার পায়ে পরে জানিনা, আমি কিন্তু আপনার পায়ে পরিনি।
Parent