ঝাপটা (Flapping) --- রাখাল হাকিম - অধ্যায় ৬

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-43995-post-4119345.html#pid4119345

🕰️ Posted on December 16, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 523 words / 2 min read

Parent
রেখা দিদির নরোম বাহুটা আমার বাহুতে ছুই ছুই করছিলো। আমি দূরের পানেই তাঁকালাম। রেখা দিদি মিথ্যে বলেনি। দূরের দৃশ্যগুলো দেখতে আরো বেশী অদ্ভূত সুন্দর লাগছিলো। মনটা আরো বেশী উদার হয়ে উঠলো। সদ্য পরিচয় হওয়া রেখা দিদিকে অনেক কাছের মানুষই মনে হলো, অনেক দিনের চেনা। ভালোবাসারই এক সাথী।   আমার চোখে দূরের পাল তুলা নৌকাটাই পরলো। সত্যিই, ওরকম পাল তুলা নৌকা তো প্রায় প্রতিদিনই দেখি। এমন সুন্দর তো কখনো লাগে না। আমি পাল তুলা নৌকাটা দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়েই বললাম, দিদি, কি সুন্দর পাল! রেখা দিদি আমার বাহুতে ঠেস দিয়েই খিল খিল হাসিতে বললো, ওটা এত সুন্দর লাগলো তোমার কাছে? পাল তুলা নৌকা কখনো দেখো নি? আমি লজ্জিত হয়ে বললাম, দেখেছি। তবে, এমন করে কখনোই দেখিনি। এমন সুন্দরও কখনো লাগেনি। রেখা দিদি বললো, বলেছিলাম না, পাশে যদি কেউ থাকে, তখন সাধারন কোন কিছুও অদ্ভুত সুন্দর লাগে। ওই যে দেখো, ওই গাছটার ডালে দুটু পাখি বসে আছে। এমন দৃশ্য কিন্তু প্রতিদিনই থাকে। চোখেও পরে। অথচ, কেউ আগ্রহ করে দেখে না। বলেও না সুন্দর। আমি কিন্তু ওই পাখি দুটিকে দেখছি। এক জোড়া পাখি, কি অদ্ভুত সুন্দর! যদি শুধু একটা পাখি থাকতো, তাহলে কিন্তু এত সুন্দর লাগতো না। নিসংগ একটা পাখিই মনে হতো। আমিও পাখি দুটির দিকে তাঁকালাম। রেখা দিদির গায়ের সাথে ঠেস দিয়ে বসে জোড়া পাখি দেখে সত্যিই অপূর্ব লাগছিলো। রেখা দিদি বললো, সকালে জোড়া পাখি দেখলে কি হয় জানো? আমি বললাম, কি হয়? রেখা দিদি খিল খিল হাসিতে বললো, নিজেরও জোড়া মিলে। জানো, আজ সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘর থেকে বেড়োতেই ওই জোড়া পাখিগুলো দেখেছিলাম। রেখা দিদি কি বুঝাতে চাইছে বুঝলাম না। আমি ইচ্ছে করেই বললাম, আপনার জোড়া কি তাহলে মিলেছে? রেখা দিদি খিল খিল হাসিতেই আমার গায়ে গড়িয়ে পরলো। হাসলে এত সুন্দর লাগে রেখা দিদিকে? কি চক চক করা চিরল চিরল মসৃণ দাঁত। আমি পলক ফেলতে পারছিলাম না সেই হাসি দেখে।   রেখা দিদি হাসি থামিয়ে রাখতে পারছিলো না। হাসতে হাসতে একবার আমার গায়ের উপর পরে, আবার অপর পাশে ধাপটার উপর গড়িয়ে পরে। আমি বললাম, এত হাসির কি হলো? রেখা দিদি হাসি থামিয়ে বললো, জোড়া মানে প্রেম ভালোবাসার কথা বলছি না। বলছি কথা বলার সংগীর কথা। আমার লেখাপড়া ধরতে গেলে এক প্রকার বন্ধ। আমাদের বাড়ীটাও একটু রিমোটে না? তাই কথা বলার সংগী ধরতে গেলে নেই ই। তুমি এলে, তোমার সাথে কথা বলছি, সময় কাটছে, এটা জোড়া হলো না? আমি বললাম, ও, তা ঠিক। রেখা দিদি খানিকক্ষণ চুপ চাপ থেকে আবারো বললো, তুমি মাইণ্ড করো না। আমি সবার সাথেই এমন করে কথা বলি। সব সময় একা একা থাকি তো? মানুষ দেখলে শুধু কথাই বলতে ইচ্ছে করে। আমি বললাম, মনে করার কি আছে? আপনার সাথে দেখা না হলে তো জানতামই না, আপনি এমন রসিক। রেখা দিদি রাগ করার ভান করে বললো, কি বললে? আমি রসিক? গোপাল ভাড়? ওরে বাবা, রসিক কি কোন খারাপ কথা নাকি? যারা রসিকতা করে কথা বলতে পারে, তাদেরই তো মানুষ রসিক বলে। কেউ কাউকে রসিক বললে তো খুশীই হয়। বরং নীরস বললেই রাগ করে। আমি আমতা আমতা করতে থাকলাম শুধু। রেখা দিদি আবারো খিল খিল হাসিতে ফেটে পরলো। আমি বললাম, আবার হাসির কি হলো? রেখা দিদি হাসি থামিয়ে বললো, এই যে, আমার কথা শুনে তুমি যে একেবারে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলে? আমার কিন্তু এমন ছেলেদের খুব পছন্দ। আমি বললাম, কেনো? রেখা দিদি অপ্রস্তুত হয়েই বললো, কেনো? হুম, কেনো? ছেলেরা বোকা বনে গেলে ভালো লাগে, তাই!  
Parent