কাজল নদী Written By Tumi_je_amar - অধ্যায় ৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-28266-post-2121147.html#pid2121147

🕰️ Posted on July 2, 2020 by ✍️ Kolir kesto (Profile)

🏷️ Tags:
📖 528 words / 2 min read

Parent
#০৩) স্বপন থাকতো রাঁচিতে। নিহারিকা থাকতো কলকাতায়। সুলগ্না বৌদি স্বপন কে বলে পরের বার কলকাতায় আসলে কাছে কোথাও ঘুরতে নিয়ে যেতে। স্বপন – আমার কি সেই ভাগ্য হবে আপনাদের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাব ? নিহারিকা – পরের বার স্বপন আসলে আমরা একসাথে দক্ষিণেশ্বর যাব। সুলগ্না – খুব ভাল হবে। কি মানসী যাবে তো সপনের সাথে দক্ষিণেশ্বরে ? মানসী – (আস্তে করে) হ্যাঁ যাব স্বপন – আমার বন্ধু আমার সাথে যেতে চাইবে না সেটা হয় না কি ? সুলগ্না – তুমি নেহার সামনে ওর দিদিকে নিয়ে ঘুরতে যেতে চাইছ ? স্বপন – নিহারিকাও তো সাথে থাকবে। আর রাঙা দিদি তো বন্ধু। অনেক সময় বন্ধুর দাবী প্রেয়সীর থেকে বেশী হয়। সুলগ্না – না না আমাদের নেহার থেকে মানসীকে বেশী ভালবাসতে হবে না। নিহারিকা – ও যাকে খুশী ভালবাসুক, আমাকে ছেড়ে থাকতে পারবে না। সুলগ্না – তোমাদের দেখে খুব ভাল লাগে। আশীর্বাদ করি তোমাদের ভবিষ্যৎ সুখের হোক।  পরের মাসে স্বপন কলকাতায় আসলে নিহারিকার সাথে বৌদিদের ঘরে যায়। স্বপন যাবার সাথে সাথে সুলগ্না আর মানসী ওর জন্য চা জল এনে গল্প করতে বসে। এমন সময় সেই বিখ্যাত বড়দা আসেন। বড়দা মানে সুলগ্না বৌদির বর।  বড়দা – কি গল্প হচ্ছে এখানে ? সুলগ্না – এ হচ্ছে স্বপন, নেহার বন্ধু। বড়দা – কি খব স্বপন, কেমন আছ। স্বপন – ভালই আছি বড়দা।  বড়দা – কত দিন থাকবে এবার ? স্বপন – কাল রাঁচি ফিরে যাব বড়দা – তোমাদের বিয়ে করবার প্ল্যান কবে ? স্বপন – মোটামুটি এক বছর পরে।  বড়দা – মানসী তুই কি করছিস এখানে ? সুলগ্না – স্বপন মানসীকেও বন্ধু বানিয়েছে বড়দা – সে আবার কি করে হয় ! সুল্গনা – সব হয়, তুমি ওইসব বুঝবে না। স্বপন – বড়দা আপনি এইসব ছোটো খাট ব্যাপার নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। আমি নিহারিকাকে বিয়ে করবো। আমি জানি এই বাড়িটাও নিহারিকার বাড়ির মতই। তাই এই বাড়ির সন্মান আমারও দায়িত্বের মধ্যে পরে। রাঙা দিদিকে বন্ধু বলেছি। তাই রাঙা দিদির ভাল মন্দের খেয়াল আমি অতি অবশ্যই রাখব। বড়দা – না না আমি কিছুই চিন্তা করছি না। ঠিক আছে তোমরা গল্প করো। আমার আবার একটু একটা মিটিঙে যাবার আছেবড়দা চলে যাবার পর সুলগ্না, মানসী আর নেহাকে নিয়ে স্বপন বের হতে যায়। কিন্তু সেই সময় আরেকটা মেয়ে আসে। এসেই হৈচৈ করতে শুরু করে। সুলগ্না – এই যে স্বপন তোমার আরেক বন্ধু এসে গেছে স্বপন – কে ইনি ? শ্রেয়সী – আমি শ্রেয়সী, তুমি কে ? স্বপন – আমি স্বপন শ্রেয়সী – সে তো বুঝলাম। কিন্তু এখানে কোন সম্পর্কে এসেছ ? স্বপন – আমি মানসীর বন্ধু। শ্রেয়সী – তোমার সাহস তো কম নয়, মানসীর বন্ধু আবার আমাদের বাড়িতেও এসেছ ? স্বপন – তোমাদের বাড়ি এসেছি, একটু আগে বড়দার সাথে গল্প করেছি আর এখন এদের নিয়ে দক্ষিণেশ্বর বেড়াতে যাচ্ছি। তুমি কি যাবে আমাদের সাথে ? শ্রেয়সী – তুমি মানসীর বন্ধু, ওকে নিয়েই বেড়াতে যাও। পৃথিবীর সবাইকে নিয়ে যাবার কি দরকার ? সুলগ্না – শ্রেয়সী তোমার এই সমস্যা, তোমার সবার সাথেই লড়াই করা চাই। শ্রেয়সী – কেন আমি কি করলাম ? সুলগ্না – স্বপন আসলে নেহার বন্ধু। স্বপন নেহা কে বিয়ে করবে। এর আগের বার এসে মানসীকে বন্ধু বানিয়েছে। তাই এবার সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাবে। শ্রেয়সী – তবে আমিও যাব। স্বপন – এবার কি মনে হচ্ছে আমার সাথে বন্ধুত্ব করা যায় ? শ্রেয়সী – এখন তো সাথে ঘুরতে যাই। পরে চিন্তা করে দেখব বন্ধুত্ব করা যায় কি না। স্বপন – তাই হোক।
Parent