কাজলদীঘি, শ্মশান ও পীরসাহেবের থান by Mamun Jafran - অধ্যায় ২৩

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-11060-post-707859.html#pid707859

🕰️ Posted on July 31, 2019 by ✍️ sagor69 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 1787 words / 8 min read

Parent
পার্টঃঃ২২ পায়ে পায়ে শ্মশানে চলে এলাম। শ্মশানের পুকুর পারটায় বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। নিঝুম কেউ কোথাও নেই। জোনাকি গুলো আলো ছড়িয়ে উড়ে উড়ে মাথার ওপর দিয়ে চলেযাচ্ছে। দু’একটাকে ধরার চেষ্টা করলাম পারলাম না। দু’একটা আমার গায়ে উড়ে উড়ে এসে বসছে। বেশ দেখতে লাগছে। পোকাগুলোর পেছন দিকটা জলছে নিবছে। মাথার ওপর বড় বড় শাল কদম মহানিম শিরিষ বাবলা জাম। গাছে বসে থাকা ক্লান্ত পাখিরা কিচির মিচির শব্দে জায়গাটাকে মাতিয়ে তুলেছে। একটু এদিক ওদিক তাকালাম। দূরে কোথাও শেয়াল হুক্কাহুয়া হুয়া-কা-কা-কা-হুয়া করে ডেকে উঠলো। মিত্রাকে সকাল থেকে ফোন করা হয় নি। অফিসার কি হালচাল কিছুই জানা হয় নি। সন্দীপকে বলেছিলাম, গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পেলেই জানাবি। মোবাইলটা পকেট থেকে বার করলাম। একটা সিগারেট ধরালাম। এখানে দেখছি টাওয়ারটা ফুল। মিত্রাকে ডায়াল করলাম। হ্যালো। তুই কোথায়। তোর ঘরে। ছোটমার সঙ্গে বসে গল্প করছি। আর তোর আদরে ভাগ বসাচ্ছি। হাসলাম। হাসছিস। তোর হিংসে করছে না। এককেবারে না। জানিস এসে চিংড়িমাছের কালিয়া শুক্তো দিয়ে ভাত খেলাম। বাঃ বাঃ। তোর লোভ হচ্ছে না। চিংড়িমাছটা শুনে একটু লোভ হচ্ছে। তবে ঠিক আছে বড়মা আমার জন্য নিশ্চই তুলে রাখবেন। না মশাই যেটুকু আনা হয়েছিল সব শেষ করে দিয়েছি। অফিসে গেছিলি। না। এখানে কখন এসেছিস। সেই সকালে। দাদা বাড়িতে আছেন। না। মল্লিকদা। দুজনেই একসঙ্গে বেরিয়েছে। ও। বড়মা কোথায়। নিচে কারা এসেছেন কথা বলছেন। তুইতো এখানে আসতে চাইছিলি কাল আসবি। হ্যাঁ। মিত্রার কথায় উচ্ছলতা। আমি ওর চোখমুখ দেখতে পাচ্ছি। কি করে আসবি। তুই এসে নিয়ে যাবি। হবে না। তোকে একলা আসতে হবে। যাব। এখানে আসার কত গুলো শর্ত আছে। বল। এখানে কাপড় ছাড়া কিছু পরা যাবে না। তাই পোরবো। খোলা আকাশের নীচে বাথরুম করতে হবে। তোর টাইলস বসান এক্সিকিউটিভ বাথরুম পাবিনা। সেকিরে! হ্যাঁ। ঠিক আছে তাই করবো। কিন্তু কেউ যদি দেখেফেলে ? দেখলে দেখবে। তারমানে! হ্যাঁ। তুই এই ব্যাপারটা একটু দেখ। হবে না। অগত্যা। টেবিল চেয়ার পাবি না। মাটিতে বাবু হয়ে বসে খেতে হবে। এটা পারব। গাড়ি নিয়ে কোথাও যাওয়া যাবে না। মাঠে মাঠে হেঁটে হেঁটে ঘুরতে হবে। হ্যাঁ হ্যাঁ পারব। বড়মা-ছোটমার সঙ্গে কথা বল। ছোটমাকে দে। ছোটমা তোর সব কথা শুনেছে। এইতো বুদ্ধি খুলে গেছে। রেকর্ডিং করেছিস নাকি ? না না। ছোটমা হো হো করে হাসছে, সত্যি অনি তুইনা একটা....। কি বলো....। না। ফিরে আয় বলবো। কে এসেছে নিচে। দাদার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়র মেয়ে। বয়েস কতো। সে জেনে তোর লাভ। একটু....। বুবুন খারাপ হয়ে যাবে বলছি। মিত্রার গলা, ছোটমা হাসছেন। সত্যিতো। বেল পাকলে কাকের কি। দাঁড়া তোর হচ্ছে। মিত্রার গলা। তুই এখন কোথায় পাখির কিচির মিচির শব্দ শুনছি। সেই জায়গায়। মিত্রার গলা। না। তাহলে। শ্মশানে বসে আছি। ছোটমা চেঁচিয়ে উঠলেন, তুই এই ভর সন্ধ্যেবেলা শ্মশানে বসেআছিস, তোর কি একটুও ভয়ডর নেই। জায়গাটা দারুন। তুই আগে ওখান থেকে চলে আসবি, আমি দিদিকে বলে দিচ্ছি। উঃ তোমাদের নিয়ে আর পারা যাবে না। ঠিক আছে চলে যাচ্ছি। মিত্রাকে বলো কিছুক্ষণ পর ফোন করতে। তুই চলেযা ওখান থেকে। মিত্রা বললো। যাচ্ছিরে যাচ্ছি। চারিদিকে ঘন অন্ধকার। পাখির কিচির মিচির শব্দটা কিছুটা ম্লান হয়ে এসেছে। মাঝে মাঝে পাখির ডানার ঝটপট শব্দ। দাঁড়কাকের কা কা ডাক। আকাশের তারাগুলোকে এখন বেশ পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে। চাঁদ উঠেছে। তার স্নিগ্ধ আলোর পরশে অনেক দূর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে। আমাদের হাই স্কুলের টালির চালটা আবছা দেখা যায়। দূরে ওই অশ্বত্থ গাছের তলাটা পীর সাহেবের থান। আমি প্রত্যেক দিন স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওখানে মাথা ঠেকিয়ে প্রণাম করতাম। ওর ঠিক পাশেই প্রচুর কুলের গাছ। কুল পাকার আগেই গাছ পরিষ্কার হয়ে যেতো। কুল খাওয়ার যোম ছিল পুনি আর সৌমি। ওরা এখন কোথায় হারিয়ে গেছে জানি না। অনাদিকে একবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। ফোনটা বেজে উঠলো। মিত্রার ফোন। হ্যালো। অনুমতি পেয়ে গেছি। তুই বড়মার সঙ্গে কথা বল। বলো, বলোনা ও ঠিক শুনতে পাবে। বুঝলাম মিত্রা ভয়েস মুডে দিয়ে রেখেছে। হ্যাঁরে তুই নাকি শ্মশানে বসে আছিস। হ্যাঁ। এখনো! হ্যাঁ। ওখান থেকেই তোমার সঙ্গে কথা বলছি। তোরকি কোন ভয় ডর নেই। গ্রামের ছেলের ভয় থাকতে নেই। পাকামো করতে হবে না। এখুনি বাড়ি যা। যাবো। মিত্রার সঙ্গে কথা হয়েছে। ও একটা মেয়ে কি করে যাবে। আফটার অল ও একটা কোম্পানীর মালিক এটা ভুলেযাচ্ছ কেনো। সব সময় লেংবোট নিয়ে ঘুরলে চলবে। ঠিক আছে ঠিক আছে। আমি যেতে পারবো। তুই নার্সিংহোমের কাছে চলে আসবি আমি ওই রাস্তাটা পর্যন্ত চিনে চলে যেতে পারবো। আচ্ছা। কখন যাব বল। একটা ফোন এসেছে। পরে বলছি। মিত্রাকে ছারতেই সন্দীপের গলা ভেসে এলো। কি হয়েছে। কখন থেকে তোকে ট্রাই করছি কিছুতেই পাচ্ছিনা। কেনো। এখানে সব গজব হয়ে গেছে। তোদের মালকিন কোথায়। সে নাকি তোর সঙ্গে ভেগেছে। আমার সঙ্গে। হ্যাঁ। সেরকমি শুনছি। এই খবর কোথা থেকে পেলি। কাল সব পাকা খবর পাবো। তোকে বিকেলের দিকে ফোন করব। আমারতো সব কেমন যেন গুলিয়ে যাচ্ছে। কেনো। সুনিত যা বারাবারি আরম্ভ করেছে না, কি বলবো। সব নয়া নয়া মাল এ্যাপয়েন্টমেন্ট দিচ্ছে। খাতা কলমে না মৌখিক। মৌখিক। ম্যাডাম নাকি ওকে সমস্ত পাওয়ার দিয়ে তোর সঙ্গে লন্ডন ভেগে গেছে। তোর কি মনে হয়। সেতো আমি বুঝতে পারছি। মন মানে না। বাড়িতে গিয়ে মাথায় সিঁদুর আর হাতে চুরি পরে বসে থাক। দূর তোকে মন খুলে দুটো কথাও বলতে পারবো না। বলবিনা। অন্য কি খবর আছে বল। সুনিত অফিসের মধ্যে হল্লা লাগিয়ে দিয়েছে। পদে পদে ঘরুই-এর সঙ্গে ঝামেলা করছে। চম্পকদা ওর সঙ্গে আছে। অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের কিছু কিছু মাথা রয়েছে। আমার সঙ্গে মালকিন ভেগেছে এই খবরটা কে দিল। জানিনা। তবে অনেকেই জানে দেখছি। কাল লেটেস্ট নিউজ চাই। আচ্ছা। সন্দীপের ফোনে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। সুনিতের নতুন চাল। নাঃ একটা কিছু করতে হবে। কাল সন্দীপের কাছ থেকে নিউজটা নিই আগে। তারপর। কে রটালো। মিত্রাকে না বলে দিই আসার জন্য। তারপর ভাবলাম ওর মনটা খারাপ হয়ে যাবে। তার থেকে যেমন আছে থাক। দেখা যাবে। পায়ে পায়ে শ্মশানের একেবারে ভেতরে চলে এলাম। কয়েকদিন আগে কাউকে হয়তো দাহ করা হয়েছে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে পোড়া কাঠের টুকরো। ছেঁড়া কাপর। মাটির হাঁড়ি। শহুরে শ্মশানের মতো নয়। চারিদিকে শ্মশানের সেই ঘন জঙ্গল আর নেই। অনেক পরিষ্কার হয়েছে। কাকার মুখ থেকে এই শ্মশান সম্বন্ধে অনেক গল্প শুনেছি। অনেক মিথ এই শ্মশানকে নিয়ে তৈরি হয়ে আছে। সেই মিথের খোঁজেই আমি প্রথমে শ্মশানে আসি। তখন আমি টেনে পরি। আমার মা-বাবাকে এই শ্মশানে একই সঙ্গে দাহ করা হয়েছিল পাশাপাশি চিতায়। সেই জায়গাটা খোঁজার অনেক চেষ্টা করেছি। কাকা কখনো বলতেন পূবপারে যে অশ্বত্থ তলা আছে। তার কোলে পোরানো হয়েছিল। আমি সেই অশ্বত্থ গাছ খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু তার কোল খুঁজে পাই নি। এখনো সেই গাছটা মাথা উঁচু করে দাঁরিয়ে আছে। আমি পায়ে পায়ে সেখানে গেলাম। মা বেঁচে থাকলে তার ছেলের কীর্তি হয়তো দেখে যেতে পারতেন। মনটা ভারি হয়ে গেলো। পারদপক্ষে এই সব চিন্তা করতে ভাল লাগে না। তবু মনে এসে যায়। পরিবেশ পরিস্থিতি মেনে। একটা সিগারেট ধরালাম। মিত্রাকে ফোন করতে ইচ্ছে করছে। পকেট থেকে ফোনটা বার করে, ডায়াল করলাম। হ্যাঁ বল। কোথায় ? ফিরছি। তুই এখনো ফিরিস নি! কি করে বুঝলি। ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শুনতে পাচ্ছি। হাসলাম। কেন এরকম করছিস বুবুন ফিরে যানা। রাতবিরেতে কোথায় কি হবে। নারে আমার কিছু হবেনা দেখবি। বড়মা কি বললো। বললো সাবধানে যাস। ও একটা পাগল তুই ওর পাল্লায় পরে পাগল হোস না। কালকে তুই বড় গাড়িটা নিয়ে আসিস না। কেনো। এখানে রাখার জায়গা হবে না। তাহলে। ছোট গাড়িটা নিয়ে আসিস। তোর সঙ্গে কে আসবে। আমি একা ড্রাইভ করে যাব। না। বাইরুটে একলা আসিস না। ইসমাইলকে নিয়ে আসিস। আচ্ছা। দাদার সঙ্গে দেখা হলো। হ্যাঁ। আমি যখন বেরোচ্ছি তখন দেখা হলো। দাদা ঢুকছেন। বলেছিস। না। বড়মা বলেছেন। ঠিক আছে। আসার সময় তুই একটা কাজ করবি। বল। কিছু বাজি কিনে আনবি। কোথায় পাবো ? ক্যানিং স্ট্রীটে। এখনতো অনেক রাত হলো। দোকান সব বন্ধ হয়ে যাবে। কটা বাজে। আটটা। ঠিক আছে দেখছি। কাল এখানে একটার মধ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করিস। ঠিক আছে। ফোন কাটতে না কাটতেই অনাদির ফোন। তুই কোথায়। হাসলাম। কেনো। আমরা কখন থেকে এসে বসে আছি। আমি শ্মশানে। একা। দোকা পাবো কোথায় ? সত্যি তোর মাথায় কি ছারপোকা আছে। তা আছে বইকি। ঠিক আছে তুই বোস। মিনিট পাঁচেকের মধ্যেই দেখি বাইকের আওয়াজ। হেডলাইটটা প্রথমে ক্ষীণ তারপর উজ্জ্বল হলো। আমি অশ্বত্থ তলায় বসে আছি। বাইকে দুজন আরোহী। চাঁদের আলোয় যেটুকু দেখতে পাচ্ছি চিকনা আর সঞ্জীব বলে মনে হচ্ছে। ওরা আমায় দেখতে পাচ্ছে না। তারপর অনি অনি বলে চিতকার করলো। আমি সাড়া দিলাম। তাড়াতাড়ি আয় ভাই। জীবনে এখনো অনেক কিছু পাওয়ার আছে। মরতে চাই না। ওদের গলার স্বরে যে কাকুতি মিনতি ছিল তা শুনে আমি হেসে ফেললাম। আমি ধীর পায়ে ওদের কাছে এলাম। আমি খালি বসার অপেক্ষা। চিকনা বাইক ছোটালো রুদ্ধশ্বাসে আমি মাঝখানে সঞ্জীব আমার পেছনে। গুম হয়ে আছে। মিনিট তিনেকের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। দেখলাম খামারে একটা জটলা। আমি গাড়ি থেকে নামতে চিকনা চেঁচিয়ে উঠলো। খিস্তি বাদে যা যা বিশ্লেষণে আমাকে আবাহন করার দরকার তাই করল। সঞ্জীবও বাদ গেল না। নীপা আরও গলা চড়িয়ে যা নয় তাই বলল। আমি মাথা নীচু করে শুনে গেলাম। কোন উত্তর দিলাম না। অনাদি খালি কাছে এসে আমার কাঁধে হাত দিয়ে বলল, চল ঘরে চল। আমি ঘরে এলাম। আমার পেছন পেছন ওরা সবাই এলো। সবাই কেমন গুম হয়ে আছে। চিকনা ঘরের সোফায় মাথা নীচু করে বসে আছে। আমি নিস্তব্ধতা ভেঙে চিকনার কাছে একটা সিগারেট চাইলাম। চিকনা উঠে এসে আমার পা ধরে ফেললো। একি করছিস তুই। অনি সত্যি বলছি আমি ভুল করে ফেলেছি। আমি ওর হাত ধরে দাঁড় করালাম। তুই ভুল করিস নি। ঠিক করেছিস। আমি তোকে অনেক বাজে বাজে কথা বলেছি। তুই একটুও বাজে কথা বলিস নি। তোর জায়গায় আমি থাকলেও তোর মতো ব্যবহার করতাম। চিকনা চোখ মুছছে। তোরা আমাকে ভীষণ ভালবাসিস তাই তো। তোদের আমাকে হারাবার ভয়। তাইতো। চিকনা মাথা দোলাচ্ছে। সঞ্জীব অপরাধীর মতো আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। ওরে শ্মশানটা পবিত্র জায়গা। ওখানে ভয়ের কিছু নেই। ভয় করলেই ভয়। শালা অনাদিটার জন্য। তখন বাসুর দোকানে যাওয়ার ব্যাপারটা ফাইন্যাল করলেই সব লেটা চুকে যেতো। তুই ওখানে কি ছিঁরলি এতোক্ষণ, বল। কয়েকটা পার্টির লোকের সঙ্গে কপচালি। লোকের পেছন মেরে চা খেলি....। আমি হেসে ফেললাম। অনাদি মুখ নীচু করে হাসছে। দোষ করলি তুই, ঝাড় খাচ্ছি আমি, দেখছিসতো। চিকনা কাঁচা কাঁচা খিস্তি করলো, পার্টি করছে। তোর জন্য অনিকে আমি...। নীপা চায়ের মগ নিয়ে ঘরে ঢুকলো। গম্ভীর কোন কথা না বলে ট্রেটা রেখে চলে গেলো। বুঝলাম, চিকনার মতো ওরও চোখ ছল ছল করছে। অনাদি সবাইকে চা ঢেলে দিলো। চা খাওয়া হলো। আমি মেলার খবর নিলাম। শুনে মনে হচ্ছে বেশ বড়ো ফাংশন হবে। অনাদি মেলা কমিটির সেক্রেটারি। সঞ্জয় অনাদির অধস্তন। বাসু প্রসিডেন্ট। আমি অনাদিকে বললাম, হ্যাঁরে প্রসিডেন্টেরতো কোন কাজ কর্ম নেই তোদের প্রোগ্রামে। আছে। তবে হাল্কা। ওই জন্যই বাসু ওই পোস্টটা নিয়েছে। চিকনা বললো। বাসু হাসছে। আমিও হাসছি। তোকে কি পোস্ট দিয়েছে। ফাংশন। আরি বাবা এতো গুরু দায়িত্ব। আমি সঞ্জয়কে দিয়ে দিয়েছি। বলেছি এই দায়িত্ব তুই নে আমি মাঠের দায়িত্বে থাকবো। মাঠের আবার কি দায়িত্ব। দেখবি কাল, ডাবুর বোর্ড বসবে। সেতো জুয়া। হ্যাঁ। তোরা এলাও করবি। অনাদিকে বল। আনাদির দিকে তাকালাম। হ্যাঁরে অনি। ওরাইতো মেলার সিংহভাগ খরচ দেয়। আরো আছে শুনবি। চিকনা বললো। আমি চিকনার দিকে তাকালাম। ভাকুর ঠেক বসবে আরো কতো কি হবে। হাতের সুখ করতে হবে কাল। যে রকম আমায় করে ফেলছিলি আর একটু হলে। চিকনা অপরাধীর মতো চোখ করে বললো, তুই আর ওই কথা মনে করাস না। হ্যাঁরে দিবাকর কোথায় ? ও শালা কলকাতায় গেছে। কি ইন্টারভিউ দিতে। চিকনা বললো। ও থাকবে না কালকে। হ্যাঁ। একটু হামবরাক্কি ভাব করতে হবে না। দেখবি কাল খালি স্টেজের পাশে। মেয়েদের পেছন পেছন ঘুর ঘুর করছে। ও এখনো বিয়ে করে নি। সকালে যে মেয়েটা এসেছিল ওটাকে পটিয়েছে। ভানুকে জিজ্ঞাসা করবি ডিটেলস পাবি। তোকেতো ও দু’চোখে দেখতে পারে না। সেদিন তুইতো বাজার থেকে চলে এলি। আমায় বলল, অনিকে দেখে অতো আদিখ্যাতার কি আছে। দিলাম শালা বাপ তুলে। শুর শুর করে কেটে পরলো। ও তোকে একদম সহ্য করতে পারে না।
Parent