কিছু মনের সত্যি কথা - অধ্যায় ১৬২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-30209-post-3794671.html#pid3794671

🕰️ Posted on October 7, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 479 words / 2 min read

Parent
# সংগৃহীত হাসির গল্প সক্কালবেলায় সবে আলু-কুমড়োর তরকারি দিয়ে রুটি খেয়ে দুটো বৃহৎ পরিমাণ ঢেকুর তুলেছে এমন সময় দীপন্করের ফোন বেজে উঠল। শ্বশুরমশাই। এই সকালে আবার কী হল! ফোন ধরতেই বললেন, "দীপু, আমাকে বাঁচাও। কিছু সিগারেট যেখান থেকে পারো জোগাড় করে আমায় দিয়ে যাও। নইলে মরে যাব।" দীপু বললা, "এই লকডাউনে এখন কোথায় পাব সিগারেট?  তার চেয়ে এই সুযোগে সিগারেট ছেড়ে দিন।" কাঁদো কাঁদো হয়ে শ্বশুরমশাই বললেন, "চুল্লীতে ঢোকার পর আর খাব না গ্যারান্টি দিচ্ছি। কিন্তু এখন না পেলে জাস্ট মরে যাব। দুদিন আগে সব শেষ হয়ে গেছে। টয়লেট হচ্ছে না। অন্তত সকালে একটা আর দুপুর আর রাত্রে খাওয়ার পর একটা করে, মোট তিনটে লাগবেই। তুমি প্লিজ একটু দয়া করো আমাকে। প্লিজ! আর হ্যাঁ সোমাকে বোলো না, অন্য যাহোক কিছু বলে দিও কিন্তু সিগারেটের কথা বোলো না।" দীপুর খুব মায়া হল বুড়োর ওপর। একটা মুদি দোকানে সিগারেট বিক্রি করে ও জানে। সেখানেই ট্রাই করা যাক।  জামা-প্যান্ট ছাড়া শুরু করেছিল,  সোমা এসে বলল, "কোথায় বেরোচ্ছ?" গম্ভীর গলায় দীপু বলল, "তোমার বাবার একটা ওষুধ কিনে দিতে হবে। ফোন করেছিলেন।" সোমা অবাক হয়ে বলল, "বাবার ওষুধ মানে? ইয়ার্কি নাকি? আমি এক মাসের সমস্ত ওষুধ মায় ইসবগুল পর্যন্ত কিনে দিয়ে এসেছি। কী ওষুধ?" বেশ ফেচাংয়ে পড়া গেল তো! এদিকে আবার সিগারেটের কথাও বলা যাবে না। দীপু বলল, "সে অন্য ওষুধ। ওই কিট।" সোমা ভুরু ব্যাপক ভাবে কুঁচকে বললেন, "কিট মানে? কিসের কিট?" দীপু জলে ডুবে যাচ্ছিল। ওহ্ এই মহিলা যে কেন উকিল হলেন না, প্রতিভার কী বিপুল অপচয়! এইসময় দেওয়ালে একটা ফুটফুটে বাচ্চার ছবি দেখে মনে হল ভেসে ওঠার জন্য খড়কুটো পেয়ে গেছি।  বললাম, "ওই প্রেগনেন্সি টেস্টের কিট।" ঘরে অ্যাটম বোমা পড়ল। সোমার চোখ গোল হয়ে স্থির হয়ে গেল। তারপর অনেকক্ষণ পরে বহুকষ্টে বলল, "বাবা চেয়েছে? বাবার কী হবে?" দীপু গম্ভীর গলায় বলল, "দরকার আছে নিশ্চই।" ততক্ষণে ফোনে শ্বশুরমশাইকে ধরা হয়ে গেছে। লাউডস্পীকার অন করে সোমা বলল, "তুমি ওকে কী আনতে দিয়েছ? তোমার লজ্জা করে না? এত বয়স হল!" শ্বশুরমশাই তখন চুরি করে ধরা পড়া বাচ্চার মতো বলছেন, "তুই রাগ করিস না। ওহ্ এত করে জামাইকে বলতে বারণ করলাম তাও বলে দিল? ট্রেটার!" --"ও তুমি চাও তোমার জামাই আমাকে মিথ্যে কথা বলুক? ছিঃ বাবা। ও সত্যিটাই আমাকে বলে দিয়েছে। কিন্তু কেন বাবা? এত বয়সে এসব কী?" শ্বশুরমশাই বোঝানোর ভঙ্গিতে বললেন, "দ্যাখ সোমা, আমি ডাক্তারবাবুকে জিগ্যেস করেছি। ডাক্তারবাবুর পারমিশান নিয়েই..." -- "তুমি এসব ডাক্তারবাবুকে জিগ্যেস করেছ! আচ্ছা বাবা তোমার কী বুড়ো বয়সে ভিমরতি হল! আমার তো পা ছড়িয়ে কাঁদতে ইচ্ছে করছে। এখন লোকের কাছে মুখ দেখাব কেমন করে?" শ্বশুরমশাই বললেন, "ঠিক আছে তুই যখন এত কষ্ট পাচ্ছিস তখন এবার থেকে ছেড়ে দেব আমি। প্রমিস।" কাঁদো কাঁদো স্বরে তাঁর মেয়ে বলল, "কিন্তু এখন কী হবে বাবা! যদি পজিটিভ হয়? উফ লজ্জায় মরে যাই মরে যাই! আমাকে নির্ঘাত আত্মহত্যা করতে হবে। তুমি এক্ষুনি মাকে ডাকো। মায়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে।" আমি বুঝলাম এবার আমাকে বেরোতে হবে। এখন এখানে থাকা নিরাপদ নয়। বললাম, "তুমি কথা বলো। আমি বেরোচ্ছি। হ্যাঁ দরজাটা বন্ধ করে দিয়ে যাও।" নিজের বৃদ্ধ বাবা-মায়ের এই কাণ্ডকারখানায় বউ লজ্জায় আমার মুখের দিকে তাকাতে পারল না। 
Parent