কনডম রহস্য By তমাল মজুমদার - অধ্যায় ৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-27569-post-2050118.html#pid2050118

🕰️ Posted on June 11, 2020 by ✍️ Kolir kesto (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 745 words / 3 min read

Parent
কনডম রহস্য [PART-2] ঘুম থেকে উঠতে বেশ কস্ট হলেও তমাল 8.৩০ এর ভিতর পৌছে গেলো কুন্তলাদের বাড়িতে. সবার চোখে মুখে আতংকের ছাপ স্পস্ট… কেউে ভালো করে ঘুমায়নি বোঝাই যাচ্ছে. তমাল বলল… সবাই বাড়িতে আছে তো? আমার সঙ্গে কথা না বলে কেউ যেন কোথাও না যায়. তারপর বলল… চলো আগে জানালাটা দেখি…. কুহেলির ঘরে ঢুকতে চোখে পড়লো জানালাটা… কাঁচটা পুরো লাল হয়ে আছে শুকিয়ে যাওয়া রক্তে… মনে হচ্ছে একটা কাঁচ কেউ রঙ্গিন লাগিয়েছে ভুল করে. দিনের প্রবল আলোতেও কেমন জানি ভৌতিক লাগছে দেখে. তমাল প্রথমে কাঁচটা একটু সরিয়ে কাঠের পাল্লাটা খুলে দিলো. তারপর খুব ভালো করে পরীক্ষা করলো জিনিসটাকে… রক্তই মনে হচ্ছে. তমালের পকেটে একটা নাইফ সব সময় থাকে. সে একটা কাগজে ছুরি দিয়ে চেঁচে বেশ খানিকটা শুকিয়ে যাওয়া লাল পদার্থটার নমুনা নিয়ে নিলো. তারপর বলল… একটু বাগানে যাবো…. কুন্তলা বাইরে এসে কয়েকবার ডাক দিলো… রতন? রতন?…. টুসির গলা শুনতে পেলো তমাল… বলল… রতন দোকানে গেছে দিদি…. এক্ষুনি এসে পরবে.. কুন্তলা বলল… দেখতো ভূপেন কাকু বা সমর বাবু আছেন কী না? ওদের একজন কে ডাকো… তমাল নিষেধ করলো… বলল দরকার নেই… সে একাই যাবে. তারপর শালিনী কে নিয়ে নীচে নেমে এলো… আর বাড়ির বাঁ দিকের টাইল্স বসানো রাস্তাটা ধরে পাক মেরে পিছনে বাগানে চলে এলো. এই প্রথম দিনের আলোতে সে দেখছে বাড়িটাকে. বিল্ডিংগ এর লাগোয়া একটা টাইল্স বসানো রাস্তা রয়েছে বাড়িটা কে ঘিরে. ঠিক একই রকম আর একটা রাস্তা রয়েছে বাউংড্রী ওয়ালের গা ঘেষে. রাস্তা দুটো শেষ হয়েছে মেইন গেট দিয়ে ঢোকার মরম বিছানো রাস্তায় এসে. আবার দুটো রাস্তাকে দুটো হাতের মতো যুক্তও করেছে আরও দুটো রাস্তা… একটা ডান দিকে… একটা বাঁ দিকে. একটা রাস্তাতে যাওয়া যায় টুসির ঘর থেকে বেরিয়ে.. অন্যটায় যাওয়া যায় সমর বাবুর ঘর থেকে বেরিয়ে. তমাল ঠিক কুহেলির জানালার নীচে এসে থামল… উপরে তাকিয়ে দেখলো কুন্তলা.. কুহেলি… আর শিপ্রা গলা বাড়িয়ে তাকে দেখছে. এখান থেকে জানালাটার কাছে পৌঁছান যায় কী না আন্দাজ় করার চেস্টা করলো. কিন্তু পৌছানো খুব মুস্কিল… বড়ো মই বা ল্যাডার ব্যবহার করলে পৌছানো সম্বব… কিন্তু তাহলে ল্যাডারটা কে খুব বড়ো হতে হবে আর গোরাটা থাকতে হবে বাগান এর ভিতর. টাইল্স বসানো রাস্তায় ল্যাডার এর গোড়া রেখে জানালয় পৌছানো যাবে না… কারণ একতলা আর ২ তোলার মাঝে বড়ো সরো চওড়া একটা সানশেড কাম কার্ণিস রয়েছে পুরো বাড়িটাকে পাক মেরে. রাস্তায় কোনো চিহ্ন না পেয়ে তমাল বাগান এর ওই অংশ টয় খূতিয় পরীক্ষা করলো. মই এর গোরা রাখার ছাপ বা কোনো পায়ের দাগ খুজে পেলো না. অবস্য মই যে ব্যবহার করা হয়নি সেটা বলাই বাহুল্লো… তাহলে সরিয়ে নেবার আগে কুহেলি দেখে ফেলতো. আর এত বড়ো মই বাড়িতে লুকিয়ে রাখবে কোথায়? বাউংড্রী ওয়াল টপকে মই আনাও রিস্কী. পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাটছে তমাল… ভুরু দুটো কুচকে আছে. গভীর ভাবে কিছু চিন্তা করছে… বাধ্য মেয়ের মতো শালিনী তার পিছন পিছন হাটছে… সে জানে এখন বসস এর চিন্তা তার সমাধান টেনে বের করার জন্য তার বিখ্যাত পদ্ধতি তার দরকার ছিল… কিন্তু সেটা তো এই প্রকাশ্য দিবালোকে বাগানে বসে সম্বব নয়….. তাই সে আপন মনে মাথা নেড়ে সেটা নিজেই নাকচ করে দিলো. তখনই শুনতে পেলো তমাল বলছে… তুমি ঠিকে ভাবছছো… এই খানে তুমি কাজটা করতে শুরু করলে চিন্তা করতে সুবিধা হতো… কিন্তু গোয়েন্দা হিসাবে আমাদের চাকরীটা ও শেষ হয়ে যেতো….. শালিনীর ছোবলটা ঝুলে পড়লো. কোনো রকমে বলল.. বো..বসস… আপনি কিভাবে জানলেন আমি ঠিক কী ভাবছি? আপনি থট রীডিংগ জানেন জানতাম না তো? নয়ত কিভাবে সম্বব? আমি তো আপনার পিছনে… দেখতেও তো পাচ্ছেন না আমাকে… পিছনেও চোখ আছে নাকি আপনার?… না কী ম্যাজিক জানেন বসস? তমাল মুচকি হাসলো… তারপর বলল… এলিমেংটরী মাই ডিয়ার লেডী ওয়াটসন… এলিমেংটরী… তুমি যেভাবে হতাশ হয়ে আপন মনে মাথা নাড়ছ… তাতে বুঝতে অসুবিধা হয় না এই মুহুর্তে কী ভাবছ. শালিনী বলল… কিন্তু আমি মাথা নাড়ছি সেটা দেখলেন কিভাবে? তমাল একটু সামনের দিকে একপাশে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে বলল… সূর্যটা আমাদের পিছনে আছে লেডী ওয়াটসন… তোমার ছায়াটা দেখা যাচ্ছে সামনে. শালিনীর মুখ দিয়ে শুধু একটায় শব্দ বেরলো…. ওয়াউ ! ফিরে এসে ডাইনিংগ টেবিলে বসলো তমাল আর শালিনী… শিপ্রা, কুহেলি আর কুন্তলাও নেমে এসেছে… টুসি জলখাবার পরিবেশন করছে… তমাল প্লেট টেনে নিয়ে খেতে শুরু করলো. কুন্তলা বলল… কিছু বুঝতে পারলে তমালদা. তমাল বলল… আগে খেতে দাও… কাল খুব ধকল গেছে… কুন্তলা ছোট করে শিপ্রার দিকে তাকলো… শিপ্রা মুখ ঘুরিয়ে নিলো. খাওয়া শেষ করে তমাল বলল… আচ্ছা এবার বাড়ির পুরুষদের সাথে একটু পরিচিত হওয়া যাক… কাল থেকে তো মনে হচ্ছে যেন কোনো মহিলা রাজত্যে এসে পড়েছি. এ বাড়ির পুরুষরা কী পর্দা-নসিন নাকি? সবাই হেঁসে উঠলো… তারপর কুন্তলা ইশারা করতে টুসি সমর বাবু কে ডেকে নিয়ে এলো….. সমর বাবুর বয়স ৫০ কী ৫৫ হবে. বেশ মার্জিত চেহারা… ধপ্-দূরস্টো হয়ে নিয়েছেন এই সকালেই… অথবা উনি এমন সেজে গুজেই থাকেন. এসে নমস্কার করলেন হাত জোড় করে… তমাল একটা চেয়ার দেখিয়ে দিতে সেখানে বসলেন. শালিনী ছাড়া সবাইকে ঘরে চলে যেতে বলল….
Parent