মায়ের হিল্লায় বিয়ে - অধ্যায় ৪৮

রিয়াজ কাকা ওরফে আমার নতুন বাবা যে আমার মায়ের নতুন ভাতার সে আমায় নিয়ে গঞ্জের হাটে গেল। হাটে গিয়ে কাকা প্রথমে চা এর দোকানে বসল। একটা সিগারেট ধরিয়ে টানতে টানতে বলল কি রে ইমন খাবি নাকি। আমি শুধু তাকিয়ে থাকলাম। কাকা সিগারেট খাচ্ছে আর আমার মুখে ধোয়া দিচ্ছে। - আজ অনেক বাজার করব। তোকে সব নিতে হবে,পারবি তো । - জি কাকা। - কি রে কাকা বলছিস কেন। এখন আমি তোর বাপ। তোর মায়ের ভাতার আমি। মায়ের স্বামী কে হয় জানিস না। বাবা বল। সে সময় চা দোকানের সবাই তাকাচ্ছে। একজন আমাদের গ্রামের,সে বলল কি বিয়াদব রে আব্বা বল তারা তারি। -জি আব্বা । - এই তো আমার সত ছেলে।নে সিগারেট খা। মরদ হতে হলে সিগারেট খেতে হবে।‌ - আমি এগুলো খাই না আব্বা। - কি বাপের মুখের উপর কথা।নে খা। ঐ সময় আমার নিজের বাবা কামাল ওখান দিয়ে যাচ্ছিল।আমায় রিয়াজ এর সাথে দেখে বলছে। বাবা- তুই এখানে কেন?কি করছিস। সতবাবা- আমার সাথে আসছে।নে রিফাত টান দে। বাবা- আমার ছেলে কে তুই সিগারেট খেতে বলছিস। আমার ছেলে থেকে দূরে থাক রিয়াজ। সতবাবা- তোর বউ এখন আমার , সুলেখার বাপ এখন আমি।আমার বউয়ের ছেলে আমার কথা শুনবে । নে সিগারেট নে। বলে আমার দিকে তাকালো রিয়াজ বাবা। আমি ভাবলাম রিয়াজ কাকার কথা না শুনলে মা অনেক রাগ করবে,আমার সাথে কথা বলবে না। আমার মা কে হারাতে হবে। এটা আমি চাইনা । আমি হাতে সিগারেট টা নিলাম। নিতেই আমার বাবা আমার গালে একটা চর দিল। অমনি রিয়াজ কাকা আমার বাবার বুকে একটা লাথি দিল। আমার বাবা হুরমুর করে পড়ে গেল । সত বাবা- তোর এত বড় সাহস ,তুই আমার সত ছেলেকে মারিস। বাবা উঠে এসে রিয়াজ কাকার করার ধরে মারতে গেল। কিন্তু রিয়াজ কাকা হলো বুনো ষাড় ,কালো নিগ্র জোয়ান তাগড়া পুরুষ। আমার বাবা হল ছাগলের মত। রিয়াজ কাকা আমার নিজের বাবা কে সেই মার দিল। হাটের লোকজন ছুটে আসল। রিয়াজ কাকা একটাও মাইর খাইনি। লোকজন আসল ,সব শুনে । আমায় বলল। -তুই কার কথা শুনি এখন আমি বললাম রিয়াজ কাকার। - তোর বাবা তো কামাল? - আমার এখন সত বাবা রিয়াজ। উনি এখন আমার মায়ের স্বামী।আমার মায়ের আদেশ রিয়াজ ই আমার এখন বাবা‌ । রিয়াজ কাকার বিজয়ের হাসি ।আমায় বলল। তুই আমার সত ছেলে। আমার সব কথা শুনবি। পানি এনে এখন সবার সামনে আমার পা ধুয়ে দে। আমি কোন সংকোচ না করে পানি এনে সবার সামনে নিজের বাবার সামনে আমার মায়ের নতুন ভাতার আমার সত বাবার পা ধুয়ে দিলাম। কাকা বাজার করল করে এক দোকানে রেখে আমায় নিয়ে ডাকতার এর কাছে গেল। যেতে যেতে বলছে,তোর বাবা কে কেমন দিলাম বল। সালাকে সেই মাইর দিয়েছি। তোর কষ্ট হয়নি তো তোর বাবার জন্য। -না,এখন আপনি তো আমার বাবা। -তোর বাবাকে যদি মারতে মারতে মেরে ফেলতাম তো তুই কি করতি।? - কিছুনা। তোর বাবা আমার হাতেই মরবে। বলে ডাক্তার খানায় গেলাম। - কি খবর রিয়াজ, তোমার কোন খোঁজ নাই - জী ভাই ।এইতো। - শুনলাম নতুন বিয়ে করছ নাকি। -হ ভাই‌। - এত সুন্দর মাল সুলেখা কে তুমি মিয়া একাই ভোগ করছ। আমরা তো দেখেই গেলাম মালটারে। কামালের কাছ থেকে একেবারে কেরে নিলা। download wonder woman ita