নীলা by Kalidash - অধ্যায় ২৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39301-post-3582342.html#pid3582342

🕰️ Posted on August 10, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 606 words / 3 min read

Parent
বাসায় ফিরে আর এক যন্ত্রনায় পড়লাম। নীলা আমাকে জেকে ধরল, বলল, কোথায় কোথায় গেলে? আমি সমস্ত দিনের হিসাব মহারনীর কাছে দাখিল করলাম। তিনি বিশ্বাস করলেন না। মুখ ভার করে জানালা দিয়ে বাহিরে একটা ফেরিওয়ালার দিকে চেয়ে থাকল। আমি একটু আদর করে ডেকে একটা মিথ্যে বলে ওকে হাঁসাতে চেষ্টা করলাম ও খিলখিল করে হাঁসতে লাগল। মনে হল যেন সমস্ত বাড়িটা খুশিতে ঝলমল করছে। গোসল করে খেয়ে একটু রেষ্ট নিয়ে চাচির সাথে আরেক দফা বেড়াতে বের হলাম। গাড়ি থাকলে বেড়াতে কত সুবিধা! বেড়ানো সময় সাধারণত চাচি থাকতেন না। এই অভিভাবকহীন স্বাধীন বেড়ানোতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে উঠলাম। নীলা বোধ হয় ভাবতে লাগল, আমি আর নীলা ছাড়া আমাদের পাশে আর কেউ নেই। গাড়ি ছুটে চলেছে চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে। আমার বাম পাশে নীলা ডান পাশে চাচি। গাড়ির পিছনের ছিটে আমরা বসা। এর মধ্যে নীলা ডান পায়ের হাটু দিয়ে আমার হাটুটে ঘষতে লাগল। চোখ জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আর হাটু চলে এল আমার দিকে- ভাবা যায়! এমন দুর্দন্ত প্রেমিকা যার আছে সেই জানে এইসব মেয়েদের দাপাদাপি সামলানো কত কঠিন কাজ। আমি চাচির সাথে কথা বলতে বলতে বাম হাতটা আমার বাম কানের লতিতে ঘষতে লাগলাম। হাতে নীলার উড়ান্ত চুলের স্পর্শ্ব পেলাম এই স্পশ্বের সুখ অনুভব করলাম শুধু আমরা দু’জন। চন্দ্রিমা উদ্যান যাবার কথা থাকলেও আমরা শের-এ বাংলা নগর হয়ে সংসদ ভবন এলাকায় এসে নামলাম।চমৎকার! সমনে কত লোক অথচ কেউ কাউকে চিনি না। ড্রাইভার গাড়িতে বসে। আমরা তিনজন হাটতে লাগলাম। লুই অ্যাই ক্যান কে ধন্যবাদ দিলাম। আমরা হাটছি এর মধ্যে নীলা আমার একটা হাত ধরে ফেলল। কাছা কাছি চলতে চলতে আমি প্রায় ওর পায়ে জড়িয়ে পড়ে গেলাম। সাথে সাথে চাচি ডান হাতটা ধরে রক্ষা করলেন। চাচি নিজেকে সামলাতে পারলেন না, নীলার দিকে কঠিন চোখে তাকিয়ে বললেল, এভাবে হামলে পড়ছিস কেন? একটু ভদ্র, সভ্য হ বেহায়া হয়ে গেছিস দিন দিন। প্রেমে কি দুনিয়ায় আর কেউ পড়ে না। লোকজন মানবি না? নীলার সাদা ফর্সাা আশ্বর্য মুখটা মুহুর্তে মলিন হয়ে গেল। আমি যে খুশি হলাম তা না। আমার অন্তরের উচ্ছ্বাস মরে কাট হয়ে গেল। বেড়ানোর আর কোন ইচ্ছা থাকল না। দ্রুত বাসায় ফিরে আসলাম। সে দিন রাত আটটার সময় চাচা জান বাসায় ফিরলেন খাওয়া দাওয়া সারলেন। আমি তখন নীলার রিডিং রুমে বসে ম্যাগাজিন দেখছিলাম। ম্যাগাজিনের নাম উরংঢ়ষধু ড়ভভষড়বিৎ.নানা রকম সব ফুলের বর্ণনা দেওয়া তাতে। নীলার কোন ফুল পছন্দ, কোন ফুল কত দিন পর পর ফোটে আর ঝরে যায় এই নিয়ে আলোচনা করছিলাম আমরা। দেখলাম, এ ব্যাপারে নীলা মাঝারী ধরনের একজন বিশেষজ্ঞ হয়ে গেছেন। চিন দেশের একটা ফুলের বর্ণনা দিচ্ছিল হাত নেড়ে নেড়ে। এমন সময় চাচি জান আমাদের মাঝে হাজির হলেন। মুখটা খুব খুশি খুশি মনে হলো না। তবে যে খুব মরা মরা তাও না। এই দুটির মাঝা মাঝি অবস্থায়। এর কি নাম বাংলা অভিধানে আছে মনে পড়ছে না। আমাকে বললেন সঞ্জু ছাদে যা তোর চাচা তোর জন্য অপেক্ষা করছে। কথা বলবে। সেদিন ছাদে চাচা আমার সম্পর্কে বললেন,— শোন সঞ্জু, তুমি আমাদের বংশের এক মাত্র আলো। আমি তোমাকে ভীষণ ভালবাসি, স্নেহ করি। আমি চায় তুমি জীবনে অনেক বড় হও, প্রতিষ্টিত হও। আমাদের বংশের মুখ উজ্জ্বল কর। আমি কত বড় হয়েছি সেটা নিজের চোখে দেখেছো। আগামী দশ বছরের একটা প্লান আছে আমার। সেই অনুযায়ী আমি ঢাকা সিটি করর্পোরেশন এর মেয়র সহ মুন্ত্রি পর্যায় চলে যাব। কেউ ঠেকাতে পারবেনা। তাই আমি চাই তুমিও বড় হও। ফালতু আবেগ বাদ দিয়ে লেখা পড়া করে মানুষ হও।তুমি ইচ্ছা করলে পৃথিবীর যে কোন উন্নত দেশে যেয়ে পড়া শুনা করতে পার। সব ব্যবস্থা আমি করে দেব। আমার যে অর্থ সম্পদ আছে সাভাবিক ভাবেও তুমি তার একটা অংশ পাবে। তার পরও আমি দু’টো কটন মিল এবং সাভারের বাড়িটা তোমার নামে লিখে দিচ্ছি। বাড়িটা কতটুকু জমির উপর তৈরী তা জান? মাত্র এগার একর। কটন মিলদু’টোর খরচ বাদ দিয়ে বাৎসরিক আয় কত টাকা জান? কোটি টাকার উর্দ্ধে।বাংলাদেশের সব চেয়ে বড় দু’টি কটন মিল আছে। সেই দু’টিই আমার। আজ থেকে তুমি তার মালিক। তবুও তুমি নীলাকে চেয়েও না সঞ্জু।
Parent