নীলা by Kalidash - অধ্যায় ২৮

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39301-post-3585394.html#pid3585394

🕰️ Posted on August 11, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 385 words / 2 min read

Parent
অপরিকল্পিত ভাবে পালিয়ে প্রথম একটা হোচট খেলাম। কোথায় যাব, থাকব ঠিক ছিলনা। ঢাকার বাইরে একটা অখ্যাত হোটেলে আশ্রয় নিলাম। প্রথম দিন গেল খোজ খবর নিতে। প্রথমে ঠিক করলাম দেশের কোন এক অখ্যাত গ্রামে আশ্রয় নেব। পরে বুঝলাম, সেটা ঠিক হবে না। সারা দেশ চষে ফেলাবে আমার নকশানলী কসাই চাচা। ঠিকই ধরে নিয়ে যাবে আমার সোনারাণীকে। এমন এক জায়গায় যেতে হবে যেখানে আমার কসাই চাচা পৌছাতে পাবেনা। এই প্রথম বুঝলাম, প্রেম করে পালাতে হলে ভূগোল সম্পর্কেও ভাল জ্ঞান থাকা চাই। এই দিকটাই আমি দুর্বল। ঠিক করলাম কোন একজন ভাল ভূগোলবিদের কাছে জানতে হবে পৃথিবীর কোন কোন এলাকায় এখনও জনবসতি গড়ে উঠেনি। কিংবা কোথায় আশ্রায় নিলে আমাদের কেউ খুজে পাবে না। তেমন একজনকে পেয়েও গেলাম।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের চেয়ারম্যান। ভদ্রলোক প্রথমে আমাকে আমল দিলেন না। ভ্রু কুচকে তাকাতে লাগলেন। শেষে একটা কার্ড দিয়ে বললেন, সন্ধার পর বাসায় এসো, এখন ব্যস্ত। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে একটা সন্দেহ মনের কোণে উকি মারল। সোনাকে নিয়ে পালিয়েছি আজ দু’দিন। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়নি তো ছবি দিয়ে? ফার্মগেট থেকে কয়েকটা পত্রিকা কিনলাম। তন্ন তন্ন করে ঘাটলাম।কোথাও আমাদের খরব ছাপা হয়নি। কিছুটা দুঃচিন্তা মুক্ত হলাম। ভাবলাম সমানে বড় কঠিন পথ এই পথ আমাদের একা একা চলতে হবে। আমাদের এই প্রেমের স্বীকৃতি কেউ দেবেনা। নিজেদের প্রেমের পথে নিজেদেরকেই চলতে হবে। সন্ধ্যা হতে তখন চার ঘন্টা বাকী। এই সময়টা কি করা যায়? নীলাকে রেখে এসেছি সেই হোটেলে। সেখানে আপাতাত নিরাপদ আছে। কারও মনে কোন সন্ধেহ জন্মেনি।একবার ভাবলাম হোটেলে যেয়ে একবার ওকে দেখে আসি। পরক্ষণে ভাবলাম সময় নষ্ট করা ঠিক হবে না। আমাদের কিছু কেনা কাটা করতে হবে। সেটা আগে করা দরকার। আমি গুলশান- মতিঝিল এলাকার দোকান গুলোর ধারে কাছে গেলাম না। কারণ ওসব দোকানের কর্মচারী, ম্যানেজার সবাই আমাকে দেখেছে চাচার সাথে। শেষে সব ধুলোয় মিশে যাবে। আমি ঢুকলাম ফার্মগেটের পাশে কিছু দোকান আছে সেখানে। একটা ব্যাগ কিনলাম। আমার জন্য কয়েকটা প্যান্ট, গেঞ্জি, রাফ ইউজের জন্য তিনটা হাফশার্ট, চারটা তোয়ালে। নীলার জন্য এক ডজন স্কার্ট,মোজা, কেডস। সামনে শিতকাল সেজন্য ওম ধরনের গরম কোর্ট। চুলের ফিতা, গাদার, সিনেটারী প্যাড, কিছু ঔষধপত্র। ওখান থেকে বাংলা বাজার গেলাম। কিছু বই কিনার দরকার। দীর্ঘ পথের সাথি বই। নীলার খুব পছন্দের কিছু ম্যাগাজিন। রূপ চর্চার উপর তিনটি বই। একটা পৃথিবী ভ্রমণের গাইড ও একটি বিশ্ব মানচিত্র। এই সব কিনতে কিনতে সন্ধ্যা হয়ে গেল। জিনিষ গুলি গুছিয়ে একটা দোকানে রাখলাম। বললাম একটু পরে নিয়ে যাব, ধরেন এক ঘন্টা পর। দোকান দার কাচা-পাকা চুলের মাঝারী বয়েসের মাইডিয়ার টাইপের একজন লোক। তিনি হাসি মুখে সম্মতি দিলেন।
Parent