নীলা by Kalidash - অধ্যায় ৩৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39301-post-3592137.html#pid3592137

🕰️ Posted on August 13, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 389 words / 2 min read

Parent
সাত-৭ পর দিন সকাল সাড়ে আটটায় ঘুম ভাঙ্গল। জেগে দেখি নীলা গোসল সেরে কাপড় পাল্টাচ্ছে। সেজেছেও খানিকটা। চোখে কাজলও দিয়েছে। আমার নড়াচড়া দেখে বলল, ঘুম ভাঙ্গল! আমি বললাম হুম— তুমি কখন উঠলে, নীলার তার কোন উত্তর দিলনা।সোজা বিছানায় নেমে আসল। আমার মাথায় বাম হাত রাখল। ডান হাতটা বুকের উপর দিয়ে চোয়াল ছুয়ে বলল, এই সোনা তাড়াতাড়ি ওঠ, বেড়াতে যাবে না? এখনও গোসল করবে, নাস্তা করবে, কত কাজ, ওঠ॥ আমি ইচ্ছা করে বললাম, ভাল লাগছে না। আর একটু শুই।চোখ বুঝে বিছানায় শুয়ে থাকতে ভাল লাগে। আমার সোনা বলল, তুমি চোখ বুজে আরাম করে শোও। আমি মাথাটা একটু টিপে দিচ্ছি। আরাম করে আর শোয়া হলনা। ওর শরীরের মিষ্টি মিষ্টি গন্ধ আর উঞ্চ স্পর্শ আরমের বারটা বাজিয়ে দিল। সকালের শান্ত পরিবেশ কে অশান্ত হয়ে উঠল। ভাবলাম- আর লুকোচুরি নয়। সত্যি সত্যিই কাজী ডাকতে হবে। এই পবিত্র সিলেটের হযরত শাহাজালাল (র) দরগা শরীফেই বিয়ে করতে হবে। আর শোয়া হল না। ওর আদরের বাহুবন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে উঠে পড়লাম। গোসল করলাম। বাহিরে থেকে নাস্ত করলাম। রাতেয় পরিকল্পনা অনুসারে জাফলং দেখতে রওনা হলাম, সকাল দাশটায়। শহর থেকে জাফলং মাত্র দুই ঘন্টার পথ। পথে যেতে যেতে আমার নীলা মনির আনন্দ আর ধরে না। জানালায় চোখ রেখে শুধু হাসতে লাগল। সাদা ঝকঝকে দাত মুক্তের মত লাগল। দেখতে দেখতে শ্রীপুরে চা বাগানের নৈশঙ্গিক দৃশ্যে ওর হৃদয় গলে যেতে লাগল। বেলা প্রায় বারটার দিকে জাফলং নামক শান্ত নিরিবিলি একটা গ্রামে আমরা পৌছালাম। জাফলংয়ের মেঘ, পাহাড়, অরন্য আর নদী যেন সত্যিই প্রকৃতির এক অপরুপ মিলন মেলা। সেখানকার সৌন্দার্য হৃদয় ছোয়া।পাহাড়ের চুড়ায় যেন মেঘদের মেলা। তামাবিল সীমান্তে উচু পাহাড়ের গায়ে পাহাড়ী ঝর্ণার দৃশ্য সাদা বরফের মতো সবুজের বুক চিরে এসব ঝর্ণাপ্রবাহ নৈসর্গিক দৃশ্যকে আরও আকর্ষনীয় করে তুলেছে। হিমালয় পর্বত থেকে আগত নদীটি সাপের মতএকে বেকে জাফলংয়ের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশ ভারতের সীমানা এঁকে দিয়েছে। সীমানার ওপারে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। মেঘের দেশ মেঘালয়কে দেখে আমার সোনারানীর আনন্দ আর ধরে না। ময়ুরের মত নেচে নেচে সৌন্দার্য উপভোগ করতে লাগল। জাফলং নদীর রং বেরং এর পাথর দেখে বায়না ধরল পাথর কুড়াবে। সোনালী রঙের চিক চিক করা পাথর দেখে নীলা কেবলই হাত ধরে আমাকে দেখাতে লাগল। দেখ গো কি স্ন্দুর! নদীর তীরে আমরা হাটতে লাগলাম। নদীর তীরে শুধু পাথর আর পাথর দেখে মনে হল জাফলং শুধু পাথরের দেশ। দেখতে দেখতে আমরা ক্লান্ত হয়ে পড়রাম। পাথরের উপর বসে নদীর পরিস্কার পানি, পাহাড়, ঘন সবুজ বন দেখতে লাগলাম। নৌকা চড়লাম।এই সময় ভাবলাম এই দিনের স্মৃতিকে ক্যামেরা বন্দী করলে কেমন হয়? এই প্রথম ক্যামেরার অভাব অনুভব করলাম।
Parent