নীলা by Kalidash - অধ্যায় ৫

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39301-post-3550232.html#pid3550232

🕰️ Posted on July 31, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 341 words / 2 min read

Parent
দুই-২ আজ হোস্টেলের ছাদে বসে আমি যে কাহিনী লিখছি, সে কাহিনী সর্বনাশা দুর্দান্ত ঝড়ের প্রকোপে সর্ব শ্রান্ত প্রকৃতির কাহিনী। তার সূত্রপাত ঘটে উনিশত আটত্তর সালের বসন্তের আগমনের প্রথম দিকে। আমার বয়স তখন প্রায় তের ছুই ছুই। তের বছর বয়সে কি বসন্তের আগমন উপলব্দি করা যায়? আমি সে দিন স্কুলে মন বসাতে পারছিলাম না। বার বার বাইরে মন চলে যাচ্ছিল।স্যার ক্লাসে কি পড়াচ্ছেন বুঝতে পারছিনা। খড়কুটোর মত নিরস মনে হতে লাগল।সেই দিন আমার জীবনের সর্বনাশার যে বীজ শরীরে প্রবেশ করেছিল তা থেকে চারা গজাতে শুরু করল। শরীর,মন,চঞ্চল হয়ে উঠল। মনকে আর ধরে রাখতে পারছিলাম না।শরীরের আশ্চার্য পরিবর্তনে ভয় পেয়ে গেলাম। বিষয়টা নিয়ে কারোর সাথে আলোচনা করার প্রয়োজন বোধ করলাম। কিন্তু বিশ্বস্ত কাউকে পেলাম না। এভাবে ঘোরের মধ্যে কাটল বেশ কয়েক সপ্তাহ। এর পর একদিন ক্লাসের মধ্যে দেখলাম আমার একবন্ধু একটা সাপ্তাহিক বিনোদন পত্রিকা দেখছে। তাতে অসম্ভব সুন্দরী সবমেয়েদের ছবি, নানা ভঙ্গিতে ছাপান। বন্ধুর নাম তুষার। লম্বা দোহারা গড়ন।হালকা নরম গোপ নাকের নীচে উঠার আয়োজন করছে। আমার সাথে দারুন ভাব। ছাত্র হিসেবে দ্বিতীয় শ্রেণীর। ওর আই, কিউ, খুব উন্নত নয় আমার মত। আমি দেখতে চাইলাম। খুব আগ্রহ নিয়ে আমাকে পত্রিকা দেখাল। মুগ্ধের মত দেখলাম। সমস্ত শরীর চঞ্চল হয়ে উঠল। আমার শারীরিক পরিবর্তন এবং চঞ্চলতা বাবার চোখ এড়াল না।বাবা তার পরিচিত এক ডাক্তার বন্ধুর কাছে আমাকে পাঠিয়ে দিলেন বাবার একটা ঔষধ আনার উছিলায়। ডাক্তার আংকেলের বয়স পঞ্চাশ ছুই ছুই ভাব। টেকো মাথা।কাধের উপরে হালকা কিছু চুল। হিসাব কষলাম, এরকম একটা টেকো মাথার চুল টাকাতে নাপিতেরা কত নেয়? ডাক্তার আমাকে বাবার ঔষাধটা দিলেন। তার পর আমার সাথে কথা বলা শুরু করলেন। ঐ বয়সের শারীরিক সমস্যার অহেতুক ভয় দুর করার যাবতীয় পরামর্শ দিলেন।বাজে চিন্তা মাথায় আনতে নিষেধ করলেন। কিছু ঔষধ পত্রও দিলেন। সৎ থাকতে পরামর্শ দিলেন। ভাল বন্ধুর সাথে মিশতে বললেন। আমি বাধ্য ছেলের মত আংকেলের সমস্ত উপদেশ মেনে নিলাম। আংকেল আরও বললেন, তোমাদের এই যে বয়ঃসন্ধিকালের ব্যাপার স্যাপার নিয়ে তোমরা আমাদের মত পরামর্শক পাচ্ছ। কিন্তু আমাদের সময় এসব কথা কাউকে বলাও যেত না। লোকে নীচু চোখে দেখত। আতংকিত ভাব জাগিয়ে দিত।তিনি আরও বললেন স্কুলের পাঠ্য বিষয়ে এই সব বিষয় অন্তর্ভূক্ত করা উচিত। আমি আর বসতে চাইলাম না। বিদায় নিলাম বুড়ো ডাক্তার, পরামর্শক আংকেলের কাছ থেকে।
Parent