নীলা by Kalidash - অধ্যায় ৫২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39301-post-3604066.html#pid3604066

🕰️ Posted on August 16, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 372 words / 2 min read

Parent
কবিতাটি তিন দিন পর এক বন্ধুর চাপে পত্রিকা অফিসে পাঠিয়ে দিলাম। দুদিন পর প্রকাশ পেল। খুব প্রশংসা পেলাম। কয়েকজন সমালোচনা করে বলল, বিরহ কাতর প্রেমিক কবি। নীলাকে ভুলে থাকতে চেষ্টা করতাম, মাঝে মাঝে রিভলবরের নলটা নিজের কপালে টেকিয়ে বসে থাকতাম। যদি অন্যমনস্ক ভাবে আঙ্গুলটা ট্রিগারে চাপ দিত? তাহলে নীলার জ্বালা রক্তের সাথে ভেসে যেত। আমাকে আর জ্বলতে হত না। পুড়তে হত না।মনে মনে নীলার স্বামী, ওর বাবাকে গালাগালি দিতাম। একবার ভাবলাম ওর বাবাকে আগে খতম করে দেই। ও একটা আদর্শহীন মানুষ। ওদের পাপাচারিতে দেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ওদের রেখে কি লাভ এদেশে? ওরাতো প্রেমের শত্র“, আবার দেশেরও শত্র“।ওদের অপরাধের বিচারতো কেউ করেনি, কেউ কোনদিন করবেও না। আমি নিজেই না হয় নিজের আদালতে বিচার করে ওকে মৃত্যুদন্ড দিলাম- ফায়ারিং স্কোয়ার্ডে মৃত্যু, প্রকাশ্যে নয়- গোপনে, কোথায় পাব জল্লাদ? আমি —আমি— ওরে –আমি, আমি অভিযোগকারী আমি আদালত, আমি বিচারক, আমিই জল্লাদ, স্পটটা কোথায় হবে? মনে মনে ভাবতে লাগলাম——— কি ভাবে ওর বাবাকে খুন করলে ধরা পড়ার সম্ভবনা কম, তা নিয়ে গবেষনা করতে লাগলাম। গুপ্ত হত্যা সংক্রান্ত কিছু বইপত্র পড়লাম। বেশ কিছু পদ্দতি বার বার কল্পনা করতে লাগলাম। কিন্তু বই পড়া পদ্ধতির উপর বিশ্বাস করতে পারলাম না।ভাবলাম, এগুলো সবই কল্পনা- ফাকাবুলী, টাকা কামাই করবার জন্য লেখক এই সব আজগুভী পদ্ধতির কথা লিখেছে- এগুলো ফুল প্র“প না। এই পদ্ধতি অনুসারে কাজ করতে গেলেই হাতে নাতে ধরা পড়তে হবে। ঠিক করলাম বাস্তব খুনীদের কাছে পরামর্শ নিতে হবে। উপযুক্ত বকশিস পেলে ওরা হড় হড় করে বলে দেবে। খুনের দায়িত্বটাও ওরা নিতে চাইবে। কিন্তু আমি ওদের দিয়ে কাজটা করাব না। আমি নিজে কাজটা করতে চাই। নিজের কাজ অন্যকে দিয়ে কি হয়? না তাতে তৃপ্তি পাওয়া যায়? আমার দরকার আতœতৃপ্তি, চরম তৃপ্তি। আমার সামনে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করবে, আমি হাসব, যেমন আমার নীলা সোনা কেঁদে ঘর ফাটিয়েছে, সে শুনেনি। সেও ওই রকম চিৎকার দেবে। মৃত্যুর চিৎকার। কাশ্মীর কিংবা জাপান থেকে আমার সোনা শুনতে পাবে। আমি দাঁতে দাত চেপে হাসব- তৃপ্তির হাসি—-হ্যাঁ—হ্যাঁ—হ্যাঁ। বেশ কিছু টাকা খরচ করে একদিন দু’জন পেশাদার খুনীর সাথে দেখা করলাম। ওদের চেহারা দেখে বুঝা গেলনা যে এরা এতবড় কিলার। খুনটাকে এরা একেবারে আর্টের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। মাসে দু’একটা ওডার পেয়ে থাকে। পেমেন্টের ক্ল্যাসিফিকেশন আছে। দামী মানুষ বিগ পেমেন্ট, সাধারণ মানুষ লাইট পেমেন্ট।তবে কোন বাকীতে এরা কাজ করে না। সবই এডভ্যান্স করতে হয়। এডভ্যান্স করে কাজ না হলে টাকা ফিরিয়ে দেয়। মেরে দেয় না। আমাকে পেয়ে ওরা খুশী হল।
Parent