নীলা by Kalidash - অধ্যায় ৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-39301-post-3575385.html#pid3575385

🕰️ Posted on August 8, 2021 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 457 words / 2 min read

Parent
নীলার সয়স যত বাড়তে লাগল। বানিয়ে বানিয়ে মিথ্যে কথা বলার অভ্যাসও বেড়ে যেতে লাগল। একদিনের একটা ঘটনার কথা বলি, সে দিন ছিল মঙ্গলবার। শ্রাবন মাস।ঝর ঝর বৃষ্টি ঝরছে। নীলা বাবাকে চা তৈরী করে দিল। ঔ এক কাপ নিল। আমি শুনলাম নীলা বলছে, জানেন চাচাজি, আজ একটা অদ্ভত ব্যাপার ঘটবে। রাত দুটোয়। বাগানে একটা বিরল প্রজাতির ফূলের চারা আছে। রাত দু’টোয় ফুল ফোটে। পনের মিনিট পরেই ঝরে যায়। কত মর্মান্ত্রিক ব্যাপার, তাইনা চাচাজি? বাবা মাথা নাড়লেন, হ্যাঁ, খুবই দুঃখজনক। মাত্র পনের মিনিটের আয়ূ। নীলা সাথে সাথে আবদার ধরল আজ কিন্তু সাথে থাকবেন চাচাজি। আমি আর আপনি দেখব, কখন ফুল ফোটে। ঠিক দুটোয় কিনা! বাবা সাথে সাথে বললেন না মা, আমি যেতে পারব না। আমার আবার ঠন্ডা লাগলে সমস্যা হবে। নীলা ততই জোর ধরে। শেষটায় বাবা বললেন, তোমরা দেখগে মা।কাল আমার সাথে গল্প করলেই আমার দেখা হবে। নীলা কপট রাগ দেখাল। আমি হাসলাম।নীলা ঠিক রাত একটা আটান্ন মিনিটে আমাকে ডেকে তুলল। শিগগিরি চল ছাদে। আমি বললাম, এই বৃষ্টির মধ্যে? বলল, আমার বৃষ্টিতে ভিজতে ইচ্ছা করছে। দু’জনে ছাদে উঠে গেলাম। একটি ছাতার নীচে আমরা দু’জন। ঝুমবৃষ্টি হচ্ছে। সিড়ির দরজায় ছিটকিনি লাগিয়ে দিয়ে মাথা থেকে ছাতা ফেলে দিল। আমরা ভিজতে থাকলাম। বৃষ্টির রিনি ঝিনি শব্দে মন চঞ্চল হয়ে উঠল। আমি ওর ঠোটের নোনতা স্বাদ নিলাম। পরম আবেশে ও আমাকে জড়িয়ে ধরল। ওর ভেজা শরীরে হাত বোলাতে লাগলাম। শরীরের উত্তাপ বৃষ্টির পানি যেন ঠান্ডা করতে পারছিল না। ওর ঘাড়ের নরম চুলে, থুতনিতে অসংখ্য দুষ্টামির ছাপ মেরে দিলাম। ঠিক পনের মিনিট পরে নীচে নেমে গেলাম। ঘরে ঢুকে টিউব লাইটের আলোয় ঠিক জলপরীর মত দেখাল ওকে। আমাদের সমস্ত সুখের মাঝেও নীলার মধ্যে মাঝে মাঝে দুঃখবোধ জেগে উঠত। তখন ওর কাছে সব কিছুই মিথ্যে হয়ে যেত। হাতের কাছে যা কিছু থাকত ছুড়ে ফেলে দিত। আমাকেও ওর অসহ্য মনে হত।সাময়িত। তারপর আমার বুকের মধ্যে মাথা রেখে ফুঁফিয়ে ফুঁফিয়ে কাদত। আমি ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দুঃখ ভোলাতে চেষ্টা করতাম। একসময় বাচ্চা মেয়েদের মত ঘুমিয়ে পড়ত। নীলার এই দুঃখটা ওর বাবাকে নিয়ে বাবা বেচে আছে কি মরে গেছে তাসে জানেনা। এই দুঃখবোধ তীব্র হত ছাব্বিশে মার্চ ও ষোলই ডিসেম্বর। বছরের এই দুই দিনে ওকে সামলানো খুব কঠিন হত। এই দুদিনে আমাদের বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থা হত। যখন খুব ছোট ছিল বাবা ওকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যেতেন। সারা দিন চিড়িয়াখানা, পার্ক, ইত্যাদি সব জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। অজস্র লজেন্স, চকলেট খেতে দিতেন। ওকে হাসাবার জন্য বাবা মাঝে মাঝে জুকারদের মত ব্যবহার করতেন।জামা-কাপড় আর খেলনার দোকানে নিয়ে যেতেন। ওর পছন্দ মত খেলনা, প্যান্ট, ফ্রক, কেডস, চুলে বাধা গাডার, ফিতা যা যা ওর পছন্দ হত সব কিনে দিতেন। সন্ধায় যখন বাড়ি ফিরত নীলার মনে কোন দুঃখ থাকত না। হেসে হেসে কেনা জিনিস দেখাত। বাবা রাতে ওকে কেনা জামা কাপড় পড়তে বলতেন। ও পরত আর বেনী দুলিয়ে হেসে হেসে ঘর ভরিয়ে দিত। আমরা খুশি হতাম। নতুন জামা প্যান্ট আর কেডস পরে টিউব লাইটের আলোয় যখন হেটে বেড়াত মনে হত একটা বাচ্চা পরী হেটে বেড়াচ্ছে।
Parent