নতুন জীবন - Written By sagnik - অধ্যায় ১৪

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-29594-post-2296542.html#pid2296542

🕰️ Posted on August 12, 2020 by ✍️ ChodonBuZ MoniruL (Profile)

🏷️ Tags: None
📖 351 words / 2 min read

Parent
সাগ্নিক সাইকেলে উঠতে বাপ্পাদা আবার ডাকলো, ‘এই সাগ্নিক।’ সাগ্নিক- হ্যাঁ দাদা। বাপ্পাদা- তোমাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে। শুধু মাথাব্যথাই? না অন্য সমস্যাও আছে। সাগ্নিক- মাথা ব্যথাই। তবে দু’বেলা সাপ্লাই দিতে খুব প্রেশার হয়ে যায়। আবার না দিলেও হয়না। বাপ্পাদা- দেখো তবু। শরীর বাঁচিয়ে করবে যা করার। বেশী লোড নিয়ো না। সাগ্নিক- আচ্ছা দাদা। আসি। সাগ্নিক বেরিয়ে গেলো। বাপ্পাদা চেয়ে রইলো পথের দিকে। সাগ্নিককে কেনো বাড়ি ছাড়তে হয়েছে বাপ্পাদা জানে না। তবে সাগ্নিককে পছন্দ করে বাপ্পাদা। বড্ড ভালো ছেলেটা। পড়াশুনা আছে। ভাগ্যের পরিহাস আর কি! দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে দরজা বন্ধ করে রুমে ঢুকলো বাপ্পাদা। লাঞ্চ করে দোকানে যেতে হবে। রাতে আবার বাপ্পাদার দোকানে গেলো সাগ্নিক। বাপ্পাদা- এখন কেমন শরীর? সাগ্নিক- একটু আরাম লাগছে। বাপ্পাদা- আজ আসার কি দরকার ছিল? ঘরে ঘুমাতে পারতে। সাগ্নিক- আসলাম। তবে চলে যাবো তাড়াতাড়ি। বাপ্পাদা- বোসো আমার পাশে। সাগ্নিক বসলো। বাপ্পাদা- তুমি কিন্তু টিউশন পড়াতে পারো। সাগ্নিক- একই খাটনি। পড়াতাম কোলকাতায়। বাপ্পাদা- আচ্ছা। তোমাকে কোনোদিন জিজ্ঞেস করিনি। তুমি বাড়ি ছাড়লে কেনো? সাগ্নিক- কি বলি। জানোই তো আজকাল চাকরির অবস্থা। ব্যাবসার জন্য টাকা চেয়েছিলাম। দিলো না। উল্টে ভাইকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে বাইক কিনে দিলো। আমি আমার বাবার প্রথম পক্ষের সন্তান। ভাই দ্বিতীয় পক্ষের। এই নিয়ে ঝামেলা। বাবা ত্যাজ্যপুত্র করে দিয়েছেন সৎ মায়ের উস্কানিতে। আমারও আত্মসম্মান আছে৷ তাই সব মায়া কাটিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম। আসাম যাবার কথা ছিলো। এখানে এসে নেমে গেলাম কি মনে হওয়ায়। তারপর তোমার মতো ভগবানের সাথে পরিচয় বাপ্পাদা। বাপ্পাদা- ধ্যাত কি বলছো। তোমাকে ভদ্র ঘরের ছেলে মনে হওয়ায় সাহায্য করেছিলাম। সাগ্নিক- যা করেছো, তাতেই সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। বাপ্পাদা- টিউশন পড়ানোর ব্যাপারটা ভেবে দেখো। এভাবে দুধ বিক্রি করে পেট চলবে। আর কিছু হবে না। বাড়ি হয়তো আর ফিরবে না। তাহলে এখানে নিজের বাড়ি করতে হবে তো থাকতে চাইলে। বিয়েও করতে হবে ভবিষ্যতে। সাগ্নিক- ওত কিছু ভাবিনি বাপ্পাদা। বাপ্পাদা- জানি। তবে ভাবতে হবে। আর টিউশন পড়াতে ইচ্ছে হলে বলবে আমাকে। সাগ্নিক- স্টুডেন্ট আছে? বাপ্পাদা- আমার পুঁচকিটাকে পড়াতে বলতাম আর কি! হাজার দুয়েক দিতে পারবো। সাগ্নিক- সে তোমার মেয়েকে পড়িয়ে দিতে পারবো। ক’দিন পড়াতে হবে? বাপ্পাদা- সপ্তাহে তিনদিন আসো। আপাতত তোমার কাজের ব্যাঘাত ঘটাতে বলছি না। রাতে ৮ টায় এখানে আসো। সেই সময় তিনদিন আমার মেয়েটাকে পড়ালে। সাগ্নিক- আচ্ছা। বাপ্পাদা- ঠিক আছে। আমি পাওলার সাথে কথা বলে ফোন করে দেবো। চলবে…..
Parent