পদি পিসির্ র্বর্মী বাক্স , মা আর সন্তু কাকিমা --- virginia_bulls - অধ্যায় ৪২

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-52889-post-5127299.html#pid5127299

🕰️ Posted on February 7, 2023 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 848 words / 4 min read

Parent
সে রাতের পর মা কাকিমা আমাদের বাড়িতে আর আলাদা থাকে নি । কাকু বা বাবা আমারই সিদ্ধান্ত অনুসরণ করে খুব সুখে শান্তিতে ছিল । কেউ আমাকে প্রাণপাত গালাগালিও করে নি । অন্য মায়ায় সংসার যেন বাঁধা পড়ে গিয়েছিলো । যেটা আমার জীবন টাকে আমূল পাল্টে দিয়েছিলো সেটা হলো কাকিমার গর্ভবতী হওয়া । যে বাবা হয় নি সে এই উপলব্ধি কোনো দিন করতে পারবে না । সন্ন্যাস নিতে গেলে কিছু বিশেষ লোকাচার করতে হয় । পদি পিসি এক মাস ধরে হববুসি অন্ন খেয়ে তার লোকাচার পালন করেছিল বৃন্দাবন যাওয়ার আগে। আমি বুন্দেল খন্ডে আমার জীবনের শুরু ভালোই করেছিলাম । কিন্তু এমন কিছু অজানা অকর্ষণ কাজ করেছিল আমার জীবনে , যে কারণে বাড়ি ফিরে এসেও আমায় অজাচারের জীবন কাটাতে হয় নি । যেমন আগে কথা দিয়েছিলাম পদি পিসি কে আমি বাড়ি ফিরলেই যেন পদি পিসি বৃন্দাবন যায়, তাই প্রথম মাসের মেইন নিয়ে ফিরে আসলাম বাড়িতে । আজি বৃন্দাবনে চলে যাবে পদি পিসি । মা কাকিমার মন খুবই খারাপ । বাবা কাকা কেউই আজ অফিস যায় না । অমৃত যোগে সিদ্ধি লাভের আশায় বিধবা পিসি শ্রী ভগবান কৃষ্ণের স্মরণ নেবেন । আমার প্রথম থেকে দিন টা যেন কেমন কাটছে । সকাল থেকে ইডা আর পিঙ্গলা দিক বদলাচ্ছে থেকে থেকে । পদি পিসির কাছে বসলাম । যে মানুষটা এই জীবনের বড়ো একটা পথ পেরিয়ে নতুন পথে পা দিচ্ছে নতুন রাস্তায় তার মন কতটা ভারী বোঝা দরকার । একটু আদর করলাম পদি পিসিকে । পদি : কিরে নোংরামি করছিস না এসে থেকে ! জানিস সন্তু পোয়াতি । আমি: নারে পদি পিসি ঠিক মন টাকে মানিয়ে নিতে পারছি না , আমার কিছু একটা হয়েছে । পদি: কিছুই হয় নি তুই বড়ো হয়ে গেছিস । আমি: আচ্ছা তুই কি জাবিইই?? পদি: যে কদিন বাঁচি তাঁর পায়ে সপে দিতে চাই পটল , তুই তো এখন অনেক বড়ো ,তুই ছেলে মানুষই করবি? তুই আটকালে আমি যাবো কি করে ? আমি: বেশ ,আমি আটকাবো না ! কিন্তু তুই আমায় একটা কথা বলবি? পদি: বল ? আমি: আমি সন্তু কাকিমার কাছে কি বলে ক্ষমা চাই বলতো ? পদি: সন্তান ধারণ বাবা মার্ একটা ভগবানের আশীর্বাদ তার চেয়ে বেশি আর কিছু নয় । তাই ওহ চিন্তা মন থেকে সরিয়ে দে । আমি: তবুও আমি যাই সন্তু কাকিমার কাছে । পদি পিসি সব গুছিয়ে নিয়েছে ট্রেন বিকেল ৪ টা ১৫ । আমি সন্তু কাকিমার ঘরে ঢুকলাম । সন্তু: কি পটল মন খারাপ ? দেখো পদি চলে যাচ্ছে ! আমি: আচ্ছা কাকিমা তোমার কাছে একটু বসবো? সন্তু: কেন আবার তোমার সেই নোংরামিঃ? যেন তো আমার পেটে বাচ্ছা আসছে ? গিয়ে বসলাম কাকিমার পাশে কাকিমার কাঁধে হাত দিলাম "আচ্ছা তোমার আমার উপর রাগ হয় না ? সন্তু: হ্যাঁ আগে হয়েছিল ! কিন্তু এখন, নাঃ হয় না ! যবে থেকে তুমি ফিরেছো তুমি পাল্টে গেছো পটল ! আমি: যেমন ? সন্তু: তোমার চোখ আর ছটফট করে না ! আমি: সন্তান টা কি তোমার খুব দরকার ? কারণ এটা পাপ ! সন্তু: অত পাপ পুন্য বুঝি না । আমি একলা থাকি তার চেয়ে এই ভালো ! আমি আর দার্শনিক হতে চাইলাম না । বাইরে গাড়ি এসে গেছে । বাবা আর কাকু তাদের মধ্যবিত্ত দুর্বল মেরুদন্ড সোজা করতে পারলো না । আমি বললাম আমি পিসি কে তুলে দিয়ে আসছি ট্রেনে । পদি পিসি ঘর ছেড়ে বেরোবার আগে মার দিকে তাকিয়ে বললো "বর্মী বাক্স টা রেখে গেলাম ! " আমি বুক থেকে একটা শুন্য নিঃস্বাস ফেললাম । হয়তো বাবাও জানে বাক্সে কিছুই নেই । আমার বেয়াদপি কোনো দিন উলঙ্গ হয়ে পড়বে । জানি না অজাচারের ফুল গুলো সেই মনের পাপের পাঁক থেকে ফুটবে কিনা ।অজানা পিসির এই পরিভ্রমণ বিষুভ রেখায় আর কোনো নতুন দাগ ফেলবে না । তবে ভগবান চাইলেও পদি পিসির মতো নিঃস্ব বিধবা কে কাছে টানতে পারেন হয় তো । পদি পিসি পুরো রাস্তা টা আমার হাত নিজের হাতে নিয়ে রাখলো । আমি বাড়ি থেকে স্টেশনের পুরো রাস্তায় নতুন করে রাস্তা টা চিনতে লাগলাম গাড়িতে বসে । ফেলে যাচ্ছে তার পরিচয় পদি পিসি। ফেলে যাচ্ছে তার ত্রিকোণ সমিতি যা দিয়ে ছোট থেকে আমাদের প্রকৃতির সাথে পরিচয় হয় । ভগবান নিরাকার । তাঁকে জানতে হলে আগে নিজের ভাবনা গুলো নিরাকার করতে হয় । আমি বেশি জ্ঞানী নয়ই তাই ভগবান কে বোঝার দুঃসাহস করি নি । গাড়ি এসে গেছে স্টেশনে । বিশেষ কিছু নিতে হয় না সন্ন্যাস নিতে গেলে । কারণ সব কিছু ফেলে পরম প্রভুর দিকে ছুটে যাওয়াই সন্ন্যাস । পোটলা! একটা কথা বলবো ? আমি: বোলো পদি পদি: আচ্ছা মরে গেলে , তুই মুখে আগুন দিয়ে আসবি? আমি মনে মনে ভাবলাম এই টুকু চাহিদা মানুষের ফিরিয়ে দি কি করে । পিসির হাত ধরে মুখে নিলাম । ইচ্ছা হলো না কিছু বলি । "কথা দিলাম পিসি আমি আগুন দেব যেখানেই থাকি । " পিসি উঠে গেলো ট্রেনে তার নিদ্দিষ্ট স্থানে ।গাড়ির ড্রাইভার দাঁড়িয়ে থাকবে যতক্ষণ না আমি ফিরে যাই । এখন আর পদি পিসি কে টাকা দেয়ার কোনো দরকার নেই । ইচ্ছা হলো পায়ে একটা প্রণাম করি । করলাম কি ভেবে তা মন জানে না । যদি প্রণাম টা পিসি ভগবান কে পৌঁছে দিতে পারে । আমার প্রণাম ভগবান মনে হয় নেবেন না । পিসি বরণ একটু বেশি কাছে তার । আগেই নিয়ে এসেছি শুদ্ধ সব খাবার , মিষ্টি । দিয়ে দিলাম পিসি কে । পিসির মুখ নির্বিকার । নাঃ কান্না নেই । শুন্যতা নেই । হয়তো ভগবানের সান্নিধ্যের মজাই আলাদা । ট্রেনটা ছেড়ে দিলো ।
Parent