প্রাগৈতিহাসিক ২.০ (আধুনিক সংস্করণ) --- jontrona - অধ্যায় ৩৯

🔗 Original Chapter Link: https://xossipy.com/thread-51901-post-5069763.html#pid5069763

🕰️ Posted on December 21, 2022 by ✍️ ddey333 (Profile)

🏷️ Tags:
📖 405 words / 2 min read

Parent
পরদিন সকালে সুমন আমাকে বলল তার শহরে কাজ আছে তাই সে আমাকে আমার বাবার বাড়ি রেখে শহরে গেল। আর বলে গেল সে রাত্রে ফিরবে। আমি দুপুরে রান্না বান্না করে কোনো রকম দুটো মুখে দিলাম। তারপর সুমন কখন আসবে সেই আশায় রাস্তার দিকে তাকিয়ে বসে রইলাম। ঘোর সন্ধ্যার সময় আসল। তবে সুমন না, পুলিশ। পুলিশ আমাকে বলল যে সুমন গলায় দড়ি দিয়ে মারা গেছে। আর আমার জন্য এই চিঠিটা রেখে গেছে। চিঠিতে পড়লাম ‘হঠাৎ করেই তোমার অসুস্থতার খবর পেয়ে বিদেশ থেকে চলে আসলাম তাই কোনো নগদ টাকা সাথে আনতে পারিনাই। তোমাকে কিছু দিয়ে যেতে পারলামনা। আমাকে ক্ষমা করে দিও’। হায়রে মানুষ! লোকটা আমাকে একা রেখে না বলে চিরদিনের জন্য চলে গেল তার জন্য ক্ষমা চাইলনা! অথচ টাকা রেখে যেতে পারলনা বলে ক্ষমা চাইছে! সুমনদের বাড়ি যেতে যেতে পুলিশের মুখে সব শুনলাম – সুমন শহরে গিয়ে আমাকে ডিভোর্স দেয়, তারপর বাড়িতে যায়। বাড়িতে গিয়ে গলায় দড়ি। সাথে পুলিশের উদ্দেশ্যে চিরকুট লিখে রেখে যায় যেখানে লেখাটা এরকম- তার মৃত্যুর জন্য আমি কোনোরকম দায়ী নই। সুতরাং পুলিশ যেন আমাকে কোনো রকম হেনস্থা না করে। সে তার বাবা-মার চাপে পরে আমাকে ঐদিনই ডিভোর্স দিয়েছে। তাই পুলিশের পক্ষে যদি সম্ভব হয় তাহলে পুলিশ যেন আমাকে কিছুদিন পাহাড়া দেয়। থানার ওসি আমাকে জিজ্ঞাসা করে আমি মামলা করব কিনা? আমি না বলে দেই। পুলিশ অপমৃত্যুর ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি (GD) দায়ের করে। সুমনের কথা মতই হোক বা আমি ;.,ের স্বীকার বলেই হোক পুলিশ আমাকে পাহাড়া দেয়। একদিন ;.,ের মামলার ব্যাপারে কথা বলতে থানায় গিয়েছিলাম। সেখানে ওসি সাহেবকে বললাম আপনি শুধু নিশ্চিত করুন আমার উপর কোনো হামলা বা হুমকি ধামকি আসবেনা তাহলেই আমার বাড়িতে আর পুলিশি পাহাড়া রাখা লাগবেনা। ওসি সাহেব সুমনের বাবা-মা কে বলল। ‘সুমন মারা যাওয়ার পর পুলিশ যে GD করেছে, পাঁচীকে কোনোরকম বিরক্ত বা হুমকি ধামকি দিলে আপনাদের বিরুদ্ধে ঐ GD অনুসারে ‘সুমন হত্যা মামলা’ নতুন করে দায়ের করা হবে’। এরপর আমাকে পাহাড়ায় থাকা পুলিশ চলে গেল। আমার কাছে আর কোনো কিছু ভালো লাগত না। সুমনকে বলেছিলাম আমি টিউশনি করাব। কিন্তু বই খাতা দেখলে মনে হত সব কিছুতে আগুন ধরিয়ে দেই। এভাবে সপ্তাহ খানিক কেটে গেল। সম্ভবত আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম। তাই একদিন রাত্রে নিজের ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে চলে গেলাম এলাকা ছেড়ে। কোথায় কোথায় কবে গেলাম এখন আর মনে নেই। ৫-৬ বছর পর বসিরের সাথে দেখা হল কোনো এক বাজারে। তারপর ও আমাকে বিয়ে করল। আর তারপর থেকে গত ৯-১০ বছর যাবৎ বসিরের সাথেই আছি। তুই এসে দিলি বসিরকে মাইরা। বসিরের সাথে বিয়ের পর আস্তে আস্তে আমার সব কিছু ভালো লাগা শুরু হল। বসির বলত ‘পাগলী আমার ভালো হইয়া গেছে’। ______________________________
Parent